অনলাইন ডেস্ক:
নোয়াখালীর হাতিয়ার মেঘনা নদীতে বরযাত্রীবাহী ইঞ্জিনচালিত ট্রলারডুবির ঘটনায় নববধূসহ সাতজনের মরদেহ এবং জীবিত অবস্থায় ৪০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন আটজন।
মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে ৮০ থেকে ৮৫ জন বরযাত্রী নিয়ে ডালচর যাওয়ার পথে ট্রলারটি ডুবে যায়।
মৃতরা হলেন- নববধূ তাসলিমা বেগম (২১), নুর জাহান, আছমা বেগম, রাহেনা বেগম, নুর জাহান, শিশু আফরিন আক্তার লামিয়া, মিলি আক্তার ও হোসনে আরা বেগম রুপা।
নিখোঁজদের উদ্ধারে নৌ-পুলিশের পাশাপাশি কোস্টগার্ডের দুইটি দল নদীর বিভিন্ন স্থানে অভিযানে চালাচ্ছে বলে জানিয়েছেন হাতিয়া নলেরচর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আকরাম উল্লাহ।
তিনি জানান, জীবিতদের দেয়া তথ্য থেকে জানা যায় ট্রলারটিতে প্রথমে বরপক্ষ থেকে শিশু নারীসহ ৩০ জনের মতো এসেছিল কিন্তু যাওয়ার সময় কনেপক্ষের আরও ১৫ জন ট্রলারটিতে উঠে পড়ে। ট্র্রলারটি চানন্দী ঘাট থেকে ভোলার মনপুরা কলাতলী গ্রামে যাওয়ার পথে কেরিংচরের শান্তিপুর ঘাটের পাশে প্রবল স্রোতের মুখে দুপুর দেড়টার সময় ডুবে যায়। পরে আশপাশের ট্রলারে থাকা জেলেরা এগিয়ে এসে অধিকাংশ যাত্রীকে উদ্ধার করলেও নববধূসহ সাতজনের মরদেহ উদ্ধার করে।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের জানান, নিখোঁজ হওয়া এক নারী ও সাত শিশুকে উদ্ধারে কোস্টগার্ড ও নৌ-পুলিশ কাজ করছে। নদীতে জোয়ার-ভাটা থাকার কারণে তারা ভেসে অন্যদিকে চলে যেতে পারে। তারপরেও তাদেরকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
Leave a Reply