মোঃ ফখরুল ইসলাম সাগর,দেবিদ্বার
সরাদেশের ন্যায় কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদ স্কুলের ম্যানেজিংকমিটির সভাপতি ও নির্বাহী অফিসার রাকিব হাসান এর নির্দেশনায় শিক্ষকদের আন্তরীক প্রচেষ্টায় অনলাইনে ফেসবুকে পেইজ এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের নিয়মিত পাঠদান করাচ্ছেন। সরকারী সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত মার্চে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণার পর এপ্রিল পর্যন্ত নানা ছুটির কারণে বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় মে মাস থেকেই অনলাইনে এই শিক্ষা কার্যক্রম চালু করেন।
জানা যায়, আধুনিক মানসম্মত শিক্ষার দৃঢ় প্রত্যয়ে মনোরম পরিবেশে ১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদ স্কুল। বিদ্যালয়ের শুরু থেকে গুরুত্ব দেওয়া হয় নিয়ম শৃঙ্খলা ও পড়াশোনা দিকে। যার ফলে ব্যাপক সাফল্যও এসেছে। প্রতি বছরের বার্ষিক পরীক্ষায় প্রতিষ্ঠানটি ভালো ফলাফল অর্জন করে আসছে। লেখাপড়ার পাশা-পাশি নিয়মিত সংস্কৃতির চর্চার কারণে উপজেলার অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তুলনায় স্কুলটি ব্যাপক পরিচিত লাভ করেছে। বর্তমানে স্কুলটিতে ৩৮০ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে রয়েছে ১১ জন অভিজ্ঞ শিক্ষক-শিক্ষিকা। এছাড়াও অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সু-শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশেরে বিভিন্ন দপ্তরে দেশ সেবায় কর্মরত রয়েছে।
তবে এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার গুনগত মানবৃদ্ধির লক্ষে এই বৈশ্বিক করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে দীর্ঘদিন যাবত বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের বইয়ের পাতায় মনোযোগ রাখতে অনলাইনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে উপজেলা পরিষদ স্কুলের ১১ জন শিক্ষক/শিক্ষিকা বৃন্দ প্লে- থেকে ৫ঞ্চম শ্রেনী পর্যন্ত ৬৫ টি ক্লাশ অনলাইনের মাধ্যমে সম্পন্ন করেন। এই ক্লাসে অংশ নিতে অনেক শিক্ষার্থী মা-বাবার মোবাইল ব্যবহার করেই পাঠদান করেন।
দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদ স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নাছিমা চৌধুরী জানান, অত্র বিদ্যালয়ের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাকিব হাসান মহোদয়ের নির্দেশনায় অনলাইনে শিক্ষার্থীদের ক্লাশ চালু করেছি। ইতি মধ্যে সকল ক্লাশের উপর বিনামূল্যে মুল্যায়ন পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। এবং যে সকল ছাত্র ছাত্রীরা গ্রামে বসবাস করে নেটের সমস্যার কারনে নিয়মিত ক্লাশ করতে পারেননি তাদের জন্য সিলেবাস তৈরি করে তাদের বাসায় পৌছে দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যপারে দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদ স্কুলের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাকিব হাসান বলেন,এই করোনা মহামারিতে অত্র বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদানের ধারাবাহিকতা যাতে ব্যাহত না হয় সেই লক্ষে উপজেলা পর্যায়ে প্রথম অনলাইন ক্লাশ চালু করা হয়। ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষা ক্ষেত্রে গুনগত পরিবর্তন আনার চেষ্টা করেছি। তবে আমাদের স্কুলের পেইজ থেকে ক্লাশ গুলো কোমলমতি শিক্ষার্থীদেরকে নিয়মিত মোবাইলের মাধ্যমে পড়াতে অভিভাবকদের অনুরোধ করছি । সামগ্রীক ভাবে যেন কোন শিক্ষার্থী ঝড়ে না পরে সেই লক্ষে আমাদের এই প্রচেষ্ঠা। তবে অন্যান্য বন্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছি তারা যেন অনলাইনের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখে।
Leave a Reply