ফখরুল ইসলাম সাগর,দেবিদ্বার
“বাংলাদেশের প্রান্তিক কৃষকদের ধান চাষে ফলন বৃদ্ধি করতে বায়ায় ফর বাংলাদেশ এর একটি প্রচেষ্টা” এই শ্লোগান কে সামনে রেখে, বৈশ্বিক মহামাড়ি করোনা ভাইরাসের কারণে খাদ্য সংকট মোকাবেলায় বায়ার ক্রপসায়েন্স লিমিটেডের উদ্যোগে বিনামূল্যে কুমিল্লার দেবিদ্বারে ৩৩৩ জন প্রান্তিক কৃষকের মাঝে ৩ কেজি করে উচ্চফলনশীল হাইব্রিড অ্যারাইজ এজেড ৭হাজার ৬ জাতের ধানের বীজ বিতরণ করা হয়েছে।

গতকাল বিকালে ‘বায়ার ফর বাংলাদেশ লিমিটেড’র আয়োজনে ও দেবিদ্বার উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের সার্বিক সহয়োগীতায় উপজেলা পরিষদ হল রুমে বিনামূল্যে প্রত্যেক কৃষকের হাতে ৩ কেজি পরিমাণের এসব ধান বীজের প্যাকেট বিতরণ করা হয়।

দেবিদ্বার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ উত্তম কুমার কবিরাজ এর সভাপতিত্বে ও বায়ার ক্রপসায়েন্স লিমিটেডে’র টেরিটরি এক্সিকিউটিভ রায়হান উল্লাহ এর উপস্থাপনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাকিব হাসান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন দেবিদ্বার উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট নাজমা বেগম, বায়ার ক্রপসায়েন্স লিমিটেডে’র কুমিল্লার রিজিওনাল ম্যানেজার ও কৃষিবিদ মোঃ জাহিদুল ইসলাম।

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, দেবিদ্বার প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ ফখরুল ইসলাম সাগর, উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ হারুন অর রশিদ, মোঃ মজিবুর রহমান ও হাসিনা বেগম ও কৃষক-কৃষানী সহ অরো আনেকে।
প্রধান অতিথি ইউ এনও রাকিব হাসান বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে যেন দেশে কোনো ধরনের খাদ্য সংকট দেখা না দেয়, সেই লক্ষে উন্নত মানের হাইব্রিড জাতের ধান চাষাবাদে কৃষকদের আগ্রহ বাড়াতে হবে। সেজন্য উচ্চফলনশীল হাইব্রিড ধান উৎপাদন বৃদ্ধি করতে “বায়ার ক্রপসায়েন্স লিমিটেড” বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এই বীজ বিনামূল্যে আপনাদের দেওয়া হচ্ছে। আপনারা বাহিরে বিক্রি না করে যতœ সহকারে চাষাবাদ করবেন।

দেবিদ্বার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা,কৃষিবিদ উত্তম কুমার কবিরাজ বলেণ, দেশে আমন ধান বেশি পরিমাণ জমিতে আবাদ হলেও বোরো ধানের চেয়ে উৎপাদন অনেক কম হয়। এর কারণ, আমনে কম উৎপাদনশীল দেশি জাতের ধানের চাষ বেশি হয়। এ কারণে উৎপাদন বাড়াতে হলে মানসম্পন্ন বীজের চারা আবাদ করতে হবে। এক্ষেত্রে আমি মনে করি বায়ার এর উচ্চফলনশীল হাইব্রিড অ্যারাইজ এজেড ৭হাজার ৬ জাতের বীজ চাষাবাদে ভাল ফলন হবে। এই ধানের বিঘা প্রতি ফলন হবে ২২ থেকে ২৫ মণ।