(জাগো কুুুুুমিল্লা. কম)
দেবিদ্বার উপজেলার গুনাইঘর (দক্ষিণ) ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুল হাকিম খাঁনের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন চেয়ারম্যান ও তার সমর্থকরা। সম্প্রতি এলাকায় ত্রাণের তালিকা নিয়ে আশেকে এলাহী নামের এক যুবকের সাথে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে একটি মহল বিষয়টি নিয়ে নানা অপপ্রচার চালিয়ে জনপ্রিয় ওই চেয়ারম্যানের সুনাম ক্ষুন্ন করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আশেকে এলাহীর ঘটনা তদন্ত করতে গেলে বুধবার কয়েক হাজার ভাড়াটে লোক দিয়ে এলাকায় ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে প্রতিপক্ষ একটি গ্রুপ। শুধু তাই নয় তদন্তকারী দলের সাথে তারা অশালীন আচরণ করে। এ সময় উত্তেজিত লোকজন এক গ্রাম পুলিশের উপরও চড়াও হয়।
জানা যায়, গত ইউপি নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হলেও আবদুল হাকিম খাঁন জনপ্রিয়তার কারণে স্বতন্ত্র প্রতীকে নির্বাচন করে বিজয়ী হন। এর পর থেকেই একটি গ্রুপ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নানা মিথ্যা অপপ্রচার শুরু করে। হাকিম চেয়ারম্যানের সমর্থকরা জানান, আশেকে এলাহী সরকারী ত্রাণ বিতরণের আগে একটি মনগড়া বড় তালিকা এনে তাদের তালিকাভুক্ত করার জন্য চেয়ারম্যানের উপর চাপ দেয় ও তাতে ব্যর্থ হয়ে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ফেইজবুকে নানা অপপ্রচার শুরু করে। তা জানতেই তাকে অফিসে ডেকে আনা হয়েছিল। কিন্তু একটি মহল এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে তাকে উসকে দিয়ে মাঠে নামিয়ে শেল্টার দেয়।
এ বিষয়ে আবদুল হাকিম চেয়ারম্যান জানান, জনপ্রিয়তা না থাকলে আমি ২ বার চেয়ারম্যান হতে পারতাম না। ত্রাণের টাকা খেয়ে আমাকে বাঁচতে হবে না, আল্লাহ আমাকে অনেক দিয়েছেন। এসব ত্রাণ জনগনকে না দিয়ে বিক্রি করে আমি বড় লোক হবো। এলাকায় যারা তদন্ত কমিটির সামনে বিক্ষোভ করেছে তাদের অধিকাংশই বিভিন্ন এলাকা থেকে ভাড়া করে আনা হয়। কারও মুখে মুঁখোশও ছিল। কারা এসব করিয়েছেন, শেল্টার দিচ্ছেন তাদের সবাই চেনে। সময় মতো সবার মুঁখোশ উন্মোচন করা হবে। তিনি বলেন, আমি আমার কর্মী-সমর্থক ও ইউনিয়নবাসীর প্রতি আহবান জানাচ্ছি, মাননীয় সংসদ সদস্য রাজী মোহাম্মদ ফখরুল ও উপজেলা প্রশাসন সব বিষয়ে অবগত আছেন, আপনারা এসব বিষয়ে বিভ্রান্ত না হয়ে ধৈর্য্য ধরুন, এসব ষড়যন্ত্র করে আমার জনপ্রিয়তা নষ্ট করতে হবে না ইনশাল্লাহ।
Leave a Reply