অনলাইন ডেস্কঃ
ইসরোর অনবদ্য প্রচেষ্টাকে কুর্নিশ জানিয়ে চন্দ্রযান- ২ নিয়ে ভারতকে শুভেচ্ছা জানাল আমেরিকা। বিক্রম ল্যান্ডারকে চাঁদে পাঠানোর বিরাট উদ্যোগের প্রশংসাও করা হয়। প্রথম প্রচেষ্টাতেই ১০০ শতাংশ সাফল্য না এলেও ভারতের জন্য এটি একটি বড় পদক্ষেপ। দক্ষিণ-মধ্য এশিয়ার কার্যনির্বাহী সহ-সচিব অ্যালিস জি ওয়েলস বলেন, “ইসরোকে অভিনন্দন। চন্দ্রযান-২ নিয়ে তাঁদের প্রচেষ্টা নিসন্দেহে প্রশংসনীয়। এই মিশন ভারতকে অনেক এগিয়ে রাখবে পাশাপাশি মূল্যবান তথ্য এনে দিতে পারবে যা বিজ্ঞানের উন্নতির গতি বাড়াবে।”
এই মার্কিন কূটনীতিক আরও জানান, “আমাদের কোনও সন্দেহ নেই যে ভারত মহাকাশের এই প্রচেষ্টা ও দেশের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করবে।” শনিবারই ভারতের চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পা রাখার ঐতিহাসিক প্রচেষ্টা বাধাপ্রাপ্ত হয়। নাসা ট্যুইট করে জানায়, “মহাকাশ কঠিন। আমরা চন্দ্রযান-২ মিশনের প্রচেষ্টার প্রশংসা করি। আপনারা আমাদের অনুপ্রাণিত করেছেন। ভবিষ্যতে যুগ্মভাবে আমাদের সৌর জগৎকে অন্বেষণ করার সুযোগের অপেক্ষায় রয়েছি।”
চন্দ্রপৃষ্ঠে নামার কয়েক মিনিট আগে থেকে চন্দ্রযান-২ ল্যান্ডার ‘বিক্রম’ ও ইসরোর সমস্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সিভান জানান, তিনি বলেন আগামী ১৪ দিন ধরে তাঁরা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবেন। ঠিক তারপরই রবিবার দুপুর নাগাদ বিক্রমের খোঁজ পেয়েছে ইসরো। অরবিটারের ক্যামেরায় ধরা পড়ল বিক্রমের ছবি। মহাকাশ বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ল্যান্ডার বিক্রম এবং রোভার প্রজ্ঞানের আয়ুষ্কাল ১৪ দিন। চাঁদের দক্ষিণ মেরু অঞ্চলে কয়েক বিলিয়ন বছর সূর্যালোক ঢোকেনি৷ সেখানে জলের সঞ্চয় রয়েছে বলে মনে করা হয়।
সেখানেই নামার কথা বিক্রমের। তবে সঠিক জায়গায় বিক্রমের অবস্থান আছে কিনা তা এখনও জানা যায়নি। এ খবর দিয়েছে কলকাতা২৪। মাত্র ১৪০ মিলিয়ন ডলার খরচেই সম্পূর্ণ হয়েছে পুরো অভিযান। আমেরিকা অ্যাপোলো মিশনে খরচ করেছিল ১০০ বিলিয়ন ডলার। হিসেব কষে দেখা হয়েছিল, ভারতের এই অভিযানের খরচ হলিউডি ছবির থেকেই কম। তবে প্রথমে অরবিটারের আয়ু একবছর ভাবা হয়েছিল। কিন্তু অতিরিক্ত জ্বালানি থাকায় সেটি সাড়ে সাত বছর চাঁদের কক্ষপথে থাকবে বলে জানিয়েছেন সিভান। এমআর/এনই
Leave a Reply