1. jagocomilla24@gmail.com : jago comilla :
  2. weekybibarton@gmail.com : Amit Mazumder : Amit Mazumder
  3. sufian3500@gmaill.com : sufian Rasel : sufian Rasel
  4. sujhon2011@gmail.com : sujhon :
রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০৪:৩৭ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজঃ
কুমিল্লায় স্কুল থেকে ফেরার পথে ৯ বছরের শিশুকে ‘ধর্ষণের’ পর হত্যা কুমিল্লায় একই দিনে পানিতে ডুবে চার শিশুর মৃত্যু জব্বারের বলী খেলায় এবারের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লার বাঘা শরীফ! বর্নিল আয়োজনে কুমিল্লায় হোটেল এলিট প্যালেসের ২য় বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠিত কুমিল্লায় হেয়ার স্টুডিও উদ্যোগে  বিশুদ্ধ খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ কার্যক্রম শুরু  কুমিল্লা বাস চাপায় দুই শিশুসহ একই পরিবারের ৪ জন নিহত কুমিল্লায় হত্যা মামলায় সাবেক চেয়ারম্যানসহ  ১৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড কুমিল্লার কৃতি সন্তান জাতীয় পতাকার নকশাকার  শিব নারায়ণ দাস আর নেই! যেভাবে ৩১ দিন পর মুক্ত হলো ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ! দলীয় মনোনয়ন না থাকায় উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীর জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে- এলজিআরডি মন্ত্রী

কুমিল্লায় ৪র্থ শ্রেনীর চাচাতো বোনকে দেড় বছর ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণ

  • প্রকাশ কালঃ মঙ্গলবার, ১৮ জুন, ২০১৯
  • ৭৪৮

অনলাইন ডেস্ক:
কুমিল্লার দেবীদ্বারে ১১ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে মোঃ সোহেল (২৪) নামে এক ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে দেবীদ্বার থানা পুলিশ।

মঙ্গলবার (১৮ জুন) দুপুরে দেবীদ্বার থানার উপ-পরিদর্শক(এস,আই) নাফিজ আহমেদ একদল পুলিশ নিয়ে উপজেলার এলাহাবাদ ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার পূর্বক থানায় নিয়ে আসে। ধর্ষক মোঃ সোহেল মোহাম্মদপুর (ডাবপার) গ্রামের সাফিকুল ইসলামের পুত্র, পেশায় সে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা চালক। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, মোহাম্মদপুর (ডাবপার) গ্রামের সাফিকুল ইসলামের পুত্র মেঃ সোহেল ভিক্টিম শিশুটিকে হত্যার হুমকি ও নানাভাবে ভীতিপ্রদর্শনে প্রায় দেড় বছর ধরে নিয়মিত ধর্ষণ করে আসছে।

ধর্ষকের সাথে ভিক্টিমের সম্পর্ক আপন চাচাতো ভাই-বোন। ভিক্টিমের মা ও এক ভাই নিয়ে সংসার। ভাই (৭) তার মায়ের গর্বে ৩ মাস থাকা অবস্থায় প্রায় ৭ বছর পূর্বে মানুষিক প্রতিবন্ধী পিতা নিখোঁজ হন। পিতার অবর্তমানে মা ভিক্ষাবৃত্তি করে সংসার চালিয়ে আসছেন। ধর্ষিতা শিশুটি মোহাম্মদপুর ইসলামিয়া মাদ্রাসায় চতুর্থ শ্রেণিতে পড়েন। তার ভাই (৭) ও একই মাদ্রাসায় প্রথম শ্রেণিতে পড়েন।

স্থানীয়রা আরও জানান, ধর্ষক সোহেল পরকিয়া প্রেমের টানে পাশ্ববর্তী মুরাদনগর উপজেলার লক্ষিপুর (দারোরা) গ্রামের ৬ সন্তানের জননী নূরজাহান (৫০) কে নিয়ে পালিয়ে বিয়ে করেন। বিয়ের পর স্ত্রী সৌদী আরবে চলে যান। প্রায় দেড় বছর কর্মজীবন শেষ করে ৭ মাস পূর্বে দেশে আসেন। আসার পর স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক বিরোধ চলতে থাকে। তার স্ত্রীর সাথে আগামী ২৫ জুন ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত হয়। গত রবিবারও ধর্ষণের শিকার হলে ভিক্টিম তার ভাইয়ের বৌ নূরজাহানকে বিষয়টি অবগত করেন। এনিয়ে ধর্ষকের স্ত্রী নূরজাহান বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বার সহ সমাজ পতিদের অবগত করেন।

সমাজের একটি অংশ ভিক্টিমের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে মিমাংশার প্রস্তাবে কিছু শর্ত জুড়ে দেন। ধর্ষক সোহেল ওই শর্ত মানতে রাজি না হওয়ায় মঙ্গলবার দুপুরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান গ্রাম পুলিশ দিয়ে আটক করে পুলিশে সোপার্দ করেন। ভিক্টিমের মা জানান, প্রায় দেড় বছর পূর্বে আমার মেয়ের কান্নাকাটির শব্দে সোহেলের ঘরে যেয়ে দেখি মেয়েকে নির্যাতন করেছে। তার আর্ত চিৎকারে বাড়ির লোকজনও জড়ো হয়ে যায়। বিষয়টি গোপর রাখার জন্য মেয়েকে বলি কেউ জিজ্ঞেস করলে বলবি তোর ভাই মেরেছে, তাই কান্না করেছি। কারণ আমার বুদ্ধি প্রতিবন্ধী স্বামীর অনুপস্থিতিতে আমার ভাসুরের ছেলে মানে ধর্ষক সোহেল’র বড় ভাই বর্তমানে সৌদী প্রবাসী সামসুদ্দিন কর্তৃক যৌন হয়রানীর শিকার হই। বিষয়টি আমার ভাসুর সফিকুল ইসলাম ও জা’ রাবেয়া বেগমের নিকট বিচার চাওয়ায় আমাকে অমানবিকভাবে শারীরিক নির্যাতন এবং বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার হুমকি দিয়েছিল। সে কারণে মাথাগুঁজার ঠাইটি হারানোর ভয়ে বিষয়টি গোপন রাখি। আজ তার স্ত্রীই প্রকাশ করেছে। তবে ভিক্টিম শিশুটি জানায়, আমার মা’ প্রায়ই ভিক্ষাবৃত্তি ও অন্যবাড়িতে কাজ করার কারণে ঘর খালি থাকত। সোহেল ভাই আমাকে ও আমার মা’ ভাইকে হত্যার হুমকি এবং বাড়ি ছাড়ার ভয় দেখিয়ে গত দেড় বছর ধরে মাঝে মাঝে নির্যাতন করত। তখন আমার ভাবী (সোহেলের স্ত্রী নূরজাহান) সৌদী আরব ছিল। গত রোজার ঈদের পর থেকে প্রায় প্রতিদিনই নির্যাতন করত। প্রতিবারই আমাকে ২০ টাকা করে দিত। আমি নির্যাতন সইতে না পেরে ভাবী (সোহেল’র স্ত্রী নূরজাহান)কে বিষয়টি জানাই। ধর্ষক মোঃ সোহেল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে এবং ঘটনাটি প্রকাশে তার স্ত্রীকে দায়ি করে বলেন, তার সাথে আমার আগামি ২৫ জুন ডিভোর্স হওয়ার কথা ছিল। এলাহাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সিরাজুল ইসলাম সরকার, ১নং ওয়ার্ড মেম্বার আবুল হাসেম সরকার ও ২নং ওয়ার্ড মেম্বার মজিবুর রহমান ভিক্টিম ও তার পরিবার সহ ধর্ষককে জ্ঞিাসাবাদে ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন বলে দাবি করে বলেন, ডাক্তারি পরীক্ষায় আসল সত্য বেড়িয়ে আসবে।

তারা ধর্ষকের উপযুক্ত বিচারও দাবি করেন। এব্যাপারে দেবীদ্বার থানার উপ-পরিদর্শক (এস,আই) নাফিজ আহমেদ জানান, ধর্ষক এবং ভিক্টিমকে থানায় নিয়ে এসেছি। সাথে ভিক্টিমের মা ও নানী রয়েছে। ভিক্টিমের মা বাদী হয়ে মোঃ সোহেলকে একমাত্র আসামি করে মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে। অভিযুক্ত সোহেল ধর্ষণের দায় স্বীকার করেছে। বুধবার(১৯ জুন) সকালে আসামি সোহেলকে কোর্ট হাজতে চালান করা হবে এবং ভিক্টিমকে ডাক্তারী পরীক্ষা ও ম্যাজিষ্ট্রেটের নিকট ২২ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করা হবে বলেও তিনি জানান।

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুনঃ

© All rights reserved © 2024 Jago Comilla
Theme Customized By BreakingNews