অনলাইন ডেস্ক:
কুমিল্লার দেবিদ্বারে নতুন করে করো’নায় আ’ক্রান্ত ৬ জনের মধ্যে ডা. সুকুমার চন্দ্র দে নামের একজন হোমিও চিকিৎসক মা’রা গেছেন। বৃহস্পতিবার সকালে উপজে’লা সদরের বাসায় তিনি মা’রা যান। গত ২৭ এপ্রিল ঢাকার আইইডিসিয়ারে ২১ জনের রিপোর্ট পাঠায় উপজে’লা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার দুপুরে ৬ জনের করো’না পজেটিভ রিপোর্ট আসে। এ নিয়ে এ উপজেলায় বর্তমানে করো’না পজেটিভ রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ১৪ জনে। বৃহস্পতিবার নতুন আ’ক্রান্তদের ঘরবাড়ি এবং ডা. সুকুমার চন্দ্র দে মা’রা যাবার পর তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান শঙ্কর হোমিও হলসহ বাসা ও আশপাশের কিছু দোকান লকডা’উন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে এসব তথ্য জানান উপজে’লা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আহম্মেদ কবীর।
দেবিদ্বার উপজে’লাকে ”হটস্পট ” হিসেবে ঘোষণা করেছে উপজে’লা প্রশাসন। আগামীকাল থেকে উপজেলা প্রশাসন কঠোর ভূমিকায় থাকবে। রাস্তাঘাটে যাকেই পাবে জেল জরিমানাও করা হতে পারে। কাল থেকে এ্যাম্বলেন্স ছাড়া ছোট বড় সড়কে সকল ধরণের যানবাহন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে প্রশাসন। কেবলমাত্র ফার্মেসী ছাড়া সকল দোকান পাট বন্ধ রাখতেও নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে নিউ মার্কেট সদরের পান বাজারে অবস্থিত এর স্বত্ত¦াধিকার ডা. সুকুমার চন্দ্র দে মা’রা যাওয়ার পর তার ছয়তলা বাড়ির সকল ভাড়াটে আতঙ্কে বাসা ছেড়ে চলে যায় বলে জানা যায়। উপজেলা প্রশাসন সকাল সাড়েস১১টার দিকে তার বাড়ির আশ-পাশের কয়েকটি দোকান, বাণিজ্যিক অফিস, প্রাইভেট হাসপাতাল ও পান বাজার, মুদি দোকান, কসমেটিক, ফার্মেসীসহ কিছু দোকানপাট লকডাউন ঘোষণা করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজে’লা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোসা শাহিদা আক্তার, উপজে’লা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আহম্মেদ কবীর, মেডিকেল অফিসার ডা. অর্জুনসহ পুলিশের একটি টীম। এর আগে বুধবার দুপুরে ডা. সুকুমারের শঙ্কর হোমিও হল এ কর্মরত গুনাইঘর উত্তর ইউনিয়নের মো. নুরুল ইসলামের পজেটিভ রিপোর্ট পাওয়া যায়। ওই দিন সন্ধ্যায় শঙ্কর হোমিও হল লকডাউন ঘোষণা করে উপজে’লা প্রশাসন।
উপজে’লা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আহম্মেদ কবীর জানান, দেবিদ্বার নিউ মার্কেট সদর এলাকার ডা. সুকুমার ছাড়াও বাগুরে নতুন করে আ’ক্রান্ত হয়েছেন আরও চারজন। বরকামতার ইউপির নবিয়াবাদ এলাকার একজন। বৃহস্পতিবার দুপুরে বাগুরের চারজন হলো, করোনায় আ’ক্রান্ত হয়ে মা’রা যাওয়া ইউপি সদস্য শাহ জালালের স্ত্রী রেহেনা বেগম, বাগুর একটি মসজিদের ইমাম মাও. মো. আবুল কালাম আজাদ, মাইনুল ইসলাম ও মনিরুল ইসলাম এবং বরকামতা ইউনিয়নের নবিয়াবাদ এলাকার গৌরাঙ্গ ।
দেবিদ্বার নির্বাহী অফিসার মো: রাকিব হাসান জানান, বর্তমানে এ উপজে’লায় ১৪ জন ক’রোনা পজেটিভ রোগী রয়েছেন, এদের মধ্যে ১৩ জনই বড়কামতা ইউনিয়নের নবীয়াবাদ ও বাগুর এলাকার। এছাড়াও এরই মধ্যে ওই এলাকার বাসিন্দা জীবনকৃষ্ণ সাহা ও শাহ জালাল মেম্বার ক’রোনায় আ’ক্রান্ত হয়ে মা’রা গেছেন। তাই উপজে’লার মধ্যে ওই এলাকাটিসহ দেবিদ্বার উপজে’লাকে হট স্পট হিসেবে দেখছি আমরা, সেখানকার লোকজনের যাতায়াত নিয়ন্ত্রন করতে বলা হয়েছে। নতুন করে করোনার সংক্রমন ঠেকাতে আক্রান্তদের ঘর-বাড়ি লকডাউন করার পাশাপাশি লোকজনকে ঘরে থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান, আক্রান্তদের পরিবারের জন্য উপজেলা প্রশাসন থেকে প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী সরবরাহ করা হচ্ছে।
Leave a Reply