অনলাইন ডেস্ক:
বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল আউয়াল খান আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।করোনা ভাইরাসের কাছে হার মেনে আজ সোমবার (২০ জুলাই) দুপুর সোয়া ২ টায় তিনি মহাখালীতে শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তিনি আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন।এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আবদুল আউয়াল খানের ছোট ভাই আবদুল নবিন খান।
তিনি বলেন, ভাইকে (আবদুল আউয়াল খান) গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মুগদা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার করোনা টেস্টের ফল পজিটিভ আসে। তার শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে মুগদাতে আইসিইউ বেড না পেয়ে শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।আবদুল নবিন খান বলেন, মুগদা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তির আগে গত ৪-৫ দিন চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে বাসাতেই আইসোলেশনে ছিলেন আবদুল আউয়াল খান।
কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার কাসারীখোলা গ্রামে জন্ম নেওয়া ঢাকা কলেজের সাবেক জিএস আবদুল আউয়াল খান স্ত্রী, এক ছেলে, এক মেয়ে ও ৬ ভাই, ২ বোনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। বিকালে ঢাকা থেকে মুঠো ফোনে যুবদল নেতা জসিম উদ্দিন জানান, ‘করোনার কারণে ঢাকায় নামাজে জানাজা হচ্ছে না, তবে স্বাস্থ্য বিধি মেনে কুমিল্লা মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা টিপুর নেতৃত্বাধীন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘ বিবেক’ এর ১২ সদসের টিম এবং জেলার দেবিদ্বার উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি নুরুজ্জামানের নেতৃত্বে পরিচালিত জেড ফোর্স 21 এর সহায়তায় বাদ এশা দেবিদ্বার উপজেলার ধামতী হাবিবুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাজা শেষে মরহুমের গ্রামের বাড়ি কাসারীখোলায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন কাজ সম্পন্ন করবে, এরই মধ্যে কবর খনন সম্পন্ন করা হয়েছে।’
এদিকে আবদুল আউয়াল খাঁনের মৃত্যুতে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, দেবিদ্বারের সাবেক সংসদ সদস্য ও কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মন্জুরুল আহসান মুন্সি, হংকং বিএনপির সভাপতি ও দেবিদ্বার উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এএফএম তারেক মুন্সী, দেবিদ্বার উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন এবং কুমিল্লা (উত্তর) জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম (ভিপি শাহীন)সহ দলীয় নেতৃবৃন্দ গভীর শোক ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
Leave a Reply