ফখরুল ইসলাম সাগর,দেবিদ্বার
হাফেজ আবুল বাশার (৩৫)তার নিজ বাড়ির অনেক মৃত মানুষের নামাজে জানাজা পাড়ালেও আজ করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হওয়া সেই হাফেজ বাশারের নিথর মরদেহ পড়েছিল রাস্তায়। আপন পরিবার, কিংবা প্রতিবেশী কেউ এগিয়ে আসেনি।
এমন ঘটনাটি ঘটেছে কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলা মোহনপুর ইউনিয়নের ভোলার বাড়ি নামক এলাকায়। সেই বি-বাড়িয়া একটি সমজিদে ঈমামের চাকরী করতেন। প্রধানমন্ত্রীর অনুদানের টাকার তালিকায় তার নাম ছিল তবে হাতে পৌছেনি বলে জানিয়েছেন তার বন্ধু জানাজা পড়ানো মুফতি মাসুদ। গত কাল শুক্রবার বিকালে জ্বর ঠান্ডা নিয়ে গ্রামের বাড়িতে আসলে রাতে তার শাররীক অবস্থা খারাপ হলে শনিবার সকালে এম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নেওয়া সময় পথিমধ্যে আনুমানিক সকাল ৮ ঘটিকায় তার মৃত্যু হয়। এসময় তার মরদেহ নোয়াদ্দা রাস্তার পাশে এম্বুলেন্স থেকে নামিয়ে দেয়া হয়।
ওই বাড়ীর ছাত্রলীগ কর্মী শাহাদাৎ এর নিকট সংবাদ শুনে বেলা আনুমানিক ১০.৩০ মিনিটে ঘটনাস্থলে ছুটে যান কুমিল্লা উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের প্রভাব শালী সদস্য ও মানবতার ফেরিওয়ালা মোঃ শাহাদাৎ হোসেন মিঠু। কান্নায় ভেঙ্গে পরে বাশারের অসহায় বৃদ্ধ পিতা আনোয়ার মিয়া। এসময় তাকে মানসিক শান্তনা দেয়া সহ হাফেজ বাশারের লাশ দাফনের যাবতীয় সকল প্রস্ততি ও ব্যায়ভার বহন করে লাশ দাফন সম্পন্ন করেন।
এসময় মুফতি মাসুম বিল্লাহর নেতৃত্বে গোসল, জানাজা ও দাফন সম্পন্ন কাজে সহযোগিতা করেছেন মরগুমের পিতা আনোয়ার মিয়া, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি নুরুল ইসলাম, সমাজসেবা অধিদপ্তওে কর্মরত মোঃ কাইয়ুম সরকার, স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা মোঃ মাসুদ, মিজান, যুবলীগ নেতা রবিউল্লাহ , ইউপি ছাত্রলীগ সভাপতি মোঃ আবুল খায়ের, ছাত্রলীগ সদস্য, মামুন, তোফায়েল, শরিফ, আবু সাইদ, শাহাদাৎ ও মোখলেস সরকার।
কুমিল্লা উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ এর সদস্য ও মানবতার ফেরিওয়ালা মোঃ শাহাদাৎ হোসেন মিঠু বলেন, বেহেশত পাব কিনা তা নির্ধারণ করবে আমার কর্মে, তবে আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করি, তিনি যেন পৃথিবীর আর কাউকে এই করোনা কালে মৃত্যু না দেয়। হাফেজ আবুল বাশার অনেক মৃত মানুষের নামাজে জানাজা পাড়ালেও আজ করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়ায় তার জানাজায় আতœীয়- স্বজন বা বাড়ীর অনেক লোককেই এগিয়ে আসেতে দেখা যায় নি। স্থানীয়দের কয়েকজনের সহোযোগীতায় লাশ দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।
Leave a Reply