1. jagocomilla24@gmail.com : jago comilla :
  2. weekybibarton@gmail.com : Amit Mazumder : Amit Mazumder
  3. sufian3500@gmaill.com : sufian Rasel : sufian Rasel
  4. sujhon2011@gmail.com : sujhon :
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:২২ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজঃ
কুমিল্লায় একই দিনে পানিতে ডুবে চার শিশুর মৃত্যু জব্বারের বলী খেলায় এবারের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লার বাঘা শরীফ! বর্নিল আয়োজনে কুমিল্লায় হোটেল এলিট প্যালেসের ২য় বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠিত কুমিল্লায় হেয়ার স্টুডিও উদ্যোগে  বিশুদ্ধ খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ কার্যক্রম শুরু  কুমিল্লা বাস চাপায় দুই শিশুসহ একই পরিবারের ৪ জন নিহত কুমিল্লায় হত্যা মামলায় সাবেক চেয়ারম্যানসহ  ১৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড কুমিল্লার কৃতি সন্তান জাতীয় পতাকার নকশাকার  শিব নারায়ণ দাস আর নেই! যেভাবে ৩১ দিন পর মুক্ত হলো ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ! দলীয় মনোনয়ন না থাকায় উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীর জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে- এলজিআরডি মন্ত্রী সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করুন : প্রধানমন্ত্রী

অন্তঃসত্ত্বা শামীমা, কার পরিচয়ে বড় হবে সন্তান?

  • প্রকাশ কালঃ শুক্রবার, ১১ মে, ২০১৮
  • ৩৪৯

অনলাইন ডেস্ক:
একটু ভালো থাকা আর পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে বাংলাদেশ থেকে স্বজনদের ছেড়ে বিদেশে পাড়ি জমায় লাখো মানুষ। এর মধ্যে একটি বড় সংখ্যক মানুষই নারী। আর মধ্যপ্রাচ্যেই এসব নারী শ্রমিকের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। কিন্তু কেন সেখানে এত নারী শ্রমিকের চাহিদা? কেমন আছেন সেখানে আমাদের মা-বোনেরা? এর জবাব দিয়েছেন মধ্যপ্রাচ্যের দেশ থেকে ফিরে আসা মানিকগঞ্জের শামীমা আক্তার (ছদ্মনাম)। তার গল্প শুনে হতভম্ব হয়ে গেছেন উপস্থিত সকলে।

‘মদ খাইয়া প্রতি রাইতে মারধর করতো। খুনতি দিয়া পিঠে ছ্যাঁকও দিছে। সারাদিন পায়ে শিকল দিয়া ঘরে আটকে রাখতো।’ এমন বর্বর নির্যাতন করা হত জর্ডান ফেরত শামীমাকে। শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখিয়ে প্রবাসে তার ওপর নির্যাতনের এমন বর্ণনা করছিলেন।

মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার বাসিন্দা এই তরুণী বাসাবাড়িতে কাজ নিয়ে জর্ডানে পাড়ি জমিয়েছিলেন। কিন্তু নিজ এলাকারই অপর এক প্রবাসী নারীর বিরুদ্ধে তাকে আটকে রেখে যৌনকাজে বাধ্য করার অভিযোগ ওঠেছে। শামীমা এখন ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। দুই মাস জেল খেটে সম্প্রতি বাড়ি ফিরেছেন তিনি। শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার অন্তঃসত্ত্বা এ তরুণীর চিকিৎসার প্রয়োজন হলেও অর্থাভাবে দরিদ্র মা-বা তা করাতে পারছেন না।

শামীমার বাবা পেশায় একজন ভ্যানচালক। নিজের জমি নেই। শ্বশুরবাড়িতে ছোট একটি টিনের ছাপরা ঘরে বসবাস করেন। সামান্য বৃষ্টিতেই ছিদ্র টিনের চাল দিয়ে পানি পড়ে। তিন ছেলে-মেয়ের মধ্যে শামীমাই সবার বড়। তাইতো সংসারে সচ্ছলতা ফেরাতে স্থানীয় আদম ব্যবসায়ী কাশেম আলীর প্ররোচনায় ২০১৬ সালের ২৩ অক্টোবর জর্ডানে পাঠানো হয় শামীমাকে। কথা ছিল বাসাবাড়িতে কাজ দেবেন তাকে। কিন্তু জর্ডানে গিয়ে কাজের বদলে তার কপালে জোটে নানা নির্যাতন।

শামীমা জানান, জর্ডানে যাওয়ার পর একটি বাসায় কাজ পান। তবে মালিকের ছেলে খুবই খারাপ ছিল। তাকে নানাভাবে নির্যাতন করতো। সেখানে যাওয়ার পরপরই বাড়ির মোবাইল নম্বরটি হারিয়ে ফেলায় বাড়িতেও বিষয়টি জানাতে পারেননি। এক মার্কেটে সোনিয়া আক্তার ওরফে রাবেয়ার সঙ্গে তার পরিচয় হয়। নানাভাবে ফুঁসলিয়ে সোনিয়া তাকে ভালো কাজ দেয়ার কথা বলে নিজের বাসায় নিয়ে আসেন। জর্ডানের দাম্মাম শহরের ওই ভাড়া বাসাটি যে মিনি পতিতালয় তা শামীমার বুঝতে সময় লাগেনি। তার মতো সেখানে আরও ৩০জন নারীকে রাখা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, প্রতি বৃহস্পতিবার খদ্দের জোগার করে নিয়ে আসতো সোনিয়া। রাতে বসতো মদের আসর। জোর করে বাধ্য করা হতো যৌনকাজে। তিনি প্রথমে রাজি না হওয়ায় তাকে বেধরক মারপিট করেছে সোনিয়া। দিনের বেলায় পায়ে শিকল পরিয়ে রাখা হতো। একদিন নরক থেকে পালিয়েও গিয়েছিলেন। কিন্তু ধরা পড়ে গেলে তাকে নির্মমভাবে মারপিট করে সোনিয়া। ভিডিও কলে শামীমাকে মারপিটের সেই দৃশ্য দেখানো হয় বাবা-মাকে। শামীমার পরিবার থেকে মেয়েকে ফিরিয়ে দেয়ার চাপ দেয়া হলে শামীমাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়। দুই মাস জেল খেটে গত ১৭ এপ্রিল দেশে ফিরেছেন তিনি।

শামীমা জানান, ১০ মাস তাকে বাসায় আটকে রেখে যৌনকাজে বাধ্য করা হলেও একটি টাকাও তুলে দেয়া হয়নি তার হাতে। শূন্য হাতেই তিনি বাড়ি ফিরেছেন। তিনি তার জীবনটা নষ্ট করার জন্য সোনিয়া আক্তারের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেন।

শামীমার মা জানান, বড় আশা করে মেয়েকে বিদেশে পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু মেয়ে নানা নির্যাতনের শিকার হয়ে দেশে ফিরেছেন। শারীরিকভাবে ভীষণ অসুস্থ। কিন্তু অর্থাভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না। মেয়ের অনাগত সন্তান কার পরিচয়ে বড় হবেন তা নিয়েই বেশি দুশ্চিন্তা তার।

শামীমার বাবা জানান, বিদেশ থেকে মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে ফিরেছেন। এলাকায় কানাঘোষা হয়। লজ্জায় বাড়ির বাইরে বের হতে পারেন না।

তিনি আরও জানান, মেয়ে সকল ঘটনার জন্য সোনিয়াকে দায়ি করলেও সোনিয়া এবং তার পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি আমলেই নিচ্ছেন না। অভিযোগ করায় উল্টো হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন।

অভিযুক্ত সোনিয়ার গ্রামের বাড়ি সিংগাইর উপজেলার চান্দহুর ইউনিয়নের চর চামটা গ্রামে। তার বাড়িতে গিয়ে জানা যায়, ১৬ বছর ধরে জর্ডানে আছেন তিনি।

টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে সোনিয়া আক্তার জানান, শামীমা একটা পাগল। এজন্যই সে বিদেশে থাকতে পারেননি। সারাদিন বাইরে বাইরে ঘুরতো। তিনি কোন খারাপ কাজে শামীমাকে বাধ্য করাননি। এর স্বপক্ষে জর্ডানে হাজার মানুষের সাক্ষী দিতে পারবেন তিনি।

এ ব্যাপারে মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক নাজমুছ সাদাত সেলিম জানান, ভিকটিমের পক্ষ থেকে আবেদন করা হলে আইনি এবং মানবিক বিষয়ে সহযোগিতা প্রদান করা হবে।

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুনঃ

© All rights reserved © 2024 Jago Comilla
Theme Customized By BreakingNews