অনলাইন ডেস্ক:
দু’র্বৃত্তদের হা’মলায় গু’রুতর আ’হত দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানমের জ্ঞান ফিরেছে। তার অবস্থা এখন স্থিতিশীল রয়েছে। তবে তিনি এখনও শঙ্কা’মুক্ত নন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার র’ক্তচাপ ও হৃ’দস্পন্দন স্বাভাবিক আছে। শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর নাগাদ তার পরিস্থিতি জানাতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলবেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ইউএনওর বাবা ওমর আলী রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১৯ নম্বর নিউরোসা’র্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছেন। তার মাথা ও শরীরে ধাতব বস্তু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাংবাদিকদের বলেন, আমি ভোর সাড়ে ৪টার দিকে নামাজ আদায় করতে উঠে পাশের ঘর থেকে মেয়ের চিৎকার শুনতে পাই। সেখানে যাওয়ার চেষ্টা করলে একজন মুখে কাপড় বাঁধা অবস্থায় এসে আমাকে ভয় দেখিয়ে আলমারির চাবি চায়।
বলে, না দিলে মেরে ফেলা হবে। এরপর হাতু’ড়ি দিয়ে আমার মাথায় আ’ঘাত করলে আমি লু’টিয়ে পড়ি। এরপর আর কিছু বলতে পারি না। ইউএনওর বাবা আরও বলেন, ঘোড়াঘাটে মেয়ে একা থাকে। জামাতা রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার ইউএনও। মেয়ের সঙ্গে তিন বছর বয়সী নাতি থাকে। এই উপজেলায় আড়াই বছর ধরে মেয়ের সঙ্গে থাকছি।
মাঝেমধ্যে মহাদেবপুরের বাড়িতে যাই। আমি মেয়ের সঙ্গে না থাকা অবস্থায় তাকে কেউ কোনো হুমকি দিয়েছে কি না, তা আমার জানা নেই। বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে মাথায় অস্ত্রোপচারের পর থেকে ঢাকার নিউরো সায়েন্সেস ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হাসপাতালে ৭২ ঘন্টার পর্যবেক্ষণে রয়েছেন নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানম। জ্ঞান ফেরার পর তিনি কথা বলেছেন তার স্বামীর সঙ্গে।
Leave a Reply