1. jagocomilla24@gmail.com : jago comilla :
  2. weekybibarton@gmail.com : Amit Mazumder : Amit Mazumder
  3. sufian3500@gmaill.com : sufian Rasel : sufian Rasel
  4. sujhon2011@gmail.com : sujhon :
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৪:১৭ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজঃ
কুমিল্লায় স্কুল থেকে ফেরার পথে ৯ বছরের শিশুকে ‘ধর্ষণের’ পর হত্যা কুমিল্লায় একই দিনে পানিতে ডুবে চার শিশুর মৃত্যু জব্বারের বলী খেলায় এবারের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লার বাঘা শরীফ! বর্নিল আয়োজনে কুমিল্লায় হোটেল এলিট প্যালেসের ২য় বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠিত কুমিল্লায় হেয়ার স্টুডিও উদ্যোগে  বিশুদ্ধ খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ কার্যক্রম শুরু  কুমিল্লা বাস চাপায় দুই শিশুসহ একই পরিবারের ৪ জন নিহত কুমিল্লায় হত্যা মামলায় সাবেক চেয়ারম্যানসহ  ১৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড কুমিল্লার কৃতি সন্তান জাতীয় পতাকার নকশাকার  শিব নারায়ণ দাস আর নেই! যেভাবে ৩১ দিন পর মুক্ত হলো ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ! দলীয় মনোনয়ন না থাকায় উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীর জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে- এলজিআরডি মন্ত্রী

পাহাড়ে নতুন পর্যটন স্পট

  • প্রকাশ কালঃ সোমবার, ৫ নভেম্বর, ২০১৮
  • ৪৮৪

পরিসংখ্যান অনুযায়ী অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় পার্বত্য এলাকায় দেশি-বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা বেশি। ফলে ওই অঞ্চলের অর্থনীতিতে গতির সঞ্চার হয়েছে। পার্বত্য অঞ্চলের তিন জেলা রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ির পর্যটন এলাকাগুলোকে সঠিক ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারলে পর্যটন আয় বাড়ানো সম্ভব কয়েক গুণ। ইতিমধ্যে পাহাড়ের চূড়ায়, আঁকাবাঁকা ঢালু পথের ধারে কিংবা স্বচ্ছ জলরাশির পাড়ে গড়ে উঠেছে অসংখ্য পর্যটন স্পট। বিশেষ করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদ, শুভলংসহ বিভিন্ন অঞ্চলে পর্যটন স্পট গড়ে উঠেছে। এসব স্পটে দিনরাত আনন্দ ভ্রমণে আসছেন দেশি-বিদেশি পর্যটকরা। এ ছাড়া গহিন অরণ্যে পর্যটকদের প্রত্যক্ষভাবে নিরাপত্তা দিচ্ছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা। ফলে পার্বত্য অঞ্চলের এই পর্যটন আয়ই জাতীয় অর্থনীতিকে বদলে দিতে পারে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রয়োজনীয় অবকাঠামোর উন্নয়ন, সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি ও শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারলে দেশের জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এই পর্যটনকে ঘিরে স্থানীয়ভাবে গড়ে উঠছে বিভিন্ন ধরনের হস্তশিল্প। যেসব জিনিসপত্র ছড়িয়ে পড়ছে সারা দেশে। সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, রাঙামাটিতে ইতিমধ্যে ‘এক্সক্লুসিভ ট্যুরিজম জোন’ বা ‘বিশেষ পর্যটন অঞ্চল’ গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের মাধ্যমে। এ লক্ষ্যে ১২০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ। এর মাস্টার প্লানসহ ডিপিপি প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে।

 

এ প্রকল্পের অধীনে রাঙামাটি সদরসহ জেলার ১০ পয়েন্টে পর্যটন স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে। শহরের ফিশারিঘাট থেকে পুরাতন বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত সংযোগ সড়কের দুই পাশে পর্যটকদের জন্য আন্তর্জাতিক মানের গ্যালারি নির্মাণ, উভয় দিকের আশপাশের দ্বীপগুলোকে সংযুক্ত করতে আধুনিক মানের ক্যাবল ব্রিজ নির্মাণ ও ক্যাবল কার সংযোগ স্থাপন করা হবে।

এ ছাড়া কাপ্তাই হ্রদের ভাসমান টিলাগুলোতে রেস্টুরেন্ট ও গেস্ট হাউস নির্মাণ, শহরের পর্যটন মোটেল এলাকায় আধুনিক মানের বিনোদন স্পট, সুইমিং পুল, ক্যাবল কার সংযোগ স্থাপন, প্যাডল বোট, ওয়াটার ট্যাক্সি চালু, শহরের জিরো পয়েন্টের লাভপয়েন্ট স্পট উন্নয়ন, লুসাই পাহাড়ে আবাসিক গেস্ট হাউস নির্মাণ করা হচ্ছে। পাশাপাশি বালুখালী হর্টিকালচার এলাকায় কমিউনিটি সেন্টার ও ক্যাবল ব্রিজ নির্মাণ, শহীদ মিনার এলাকায় ৪০ কক্ষের একটি আবাসিক হোটেল নির্মাণ, সুবলং ঝরনা স্পট উন্নয়ন এবং নির্বানপুর বৌদ্ধ বিহার স্পট উন্নয়নে কাজ করা হবে। এদিকে পার্বত্য অঞ্চলের বিস্তৃত সংরক্ষিত বনাঞ্চল, উপত্যকা, নদী, পাহাড়ের ভাঁজে ভাঁজে ঢেউ খেলানো সৌন্দর্য, পাহাড়ি ঝরনা-ঝিরি দেশ-বিদেশের অনেক আকর্ষণীয় স্থানকেও হার মানাতে পারে। পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির চারদিক ঢেউতোলা সবুজের উঁচু পাহাড়ের দেয়াল। সময়ের ব্যবধানে আলুটিলার রহস্যময় সুরঙ্গ, রিছাং ঝরনা,  তৈদুছড়া ঝরনা, হর্টিকালচার সেন্টারসহ খাগড়াছড়ির অরণ্যঘেরা সবুজ প্রকৃতির টানে পর্যটকরা ছুটছে পাহাড়ের পথে। মাত্র ৫-৭ বছরের ব্যবধানে বদলে গেছে পার্বত্য খাগড়াছড়ির পর্যটন শিল্প। সময়ের ব্যবধানে সমৃদ্ধির পথে হাঁটছে খাগড়াছড়ির পর্যটন শিল্প। পর্যটনের রানী খ্যাত বান্দরবান ও রাঙামাটির পরে পর্যটনের তীর্থভূমিতে পরিণত হয়েছে খাগড়াছড়ি। খাগড়াছড়ির পর্যটন শিল্পে সাম্প্রতিক যুক্ত হওয়া ‘মায়াবিনী লেক’ পাহাড়ের পর্যটনকে করেছে সমৃদ্ধ। রাঙামাটি জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাদেক আহমেদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, পর্যটনের বিকাশে যেসব প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে তা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। রাঙামাটিতে আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় পর্যটকের সংখ্যাও বেড়েছে। এতে এ খাত থেকে আয়ও বেড়েছে। যা নানাভাবে দেশের জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বলে তিনি মনে করেন।

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুনঃ

© All rights reserved © 2024 Jago Comilla
Theme Customized By BreakingNews