নিজস্ব প্রতিবেদক।।
কুমিল্লার বুড়িচং কলেজ গেইটের স-মিল ব্যবসায়ী ফয়েজ আহম্মেদ’র বিরুদ্ধে বৃদ্ধ মাকে মারধর ও গাছ কেটে নেওয়ায় তার ছোট ভাই রবিউল হোসেন বাদী হয়ে বুড়িচং থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগটি গত ২১ অক্টোবর দায়ের করা হয়। বুড়িচং থানার অভিযোগ নং-৮২৫।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বুড়িচং কলেজ গেইট এলাকার ‘স’ মিল ব্যবসায়ী ফয়েজ আহম্মেদ ও তার বড় ভাই আবুল হোসেন যোগসাজশে চুরি ও পূর্বশত্রুতার উদ্দেশ্যে গত ১৮/১০/১৯ ইং তারিখ ভোর ৫টা থেকে সকাল ৭টার মধ্যে রবিউলের নিজস্ব বাগান ও বাড়ি থেকে বিভিন্ন প্রজাতির ১৮টি গাছ কেটে নিয়ে যাওয়ার সময় টের পেয়ে,তার বৃদ্ধ মা ফাতেমা বেগম বাঁধা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বৃদ্ধ মা ফাতেমা বেগমকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে লাঠি দিয়ে এলোপাতারি আঘাত করে। এসময় তার ডাক-চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে কিছু গাছ নিয়ে চলে যায়। পরে রবিউলের পুরাতন বাড়ির ঘরেও ভাংচুর করে।
জানা গেছে, ফয়েজ আহম্মেদ’র বিরুদ্ধে বুড়িচং থানায় ২টি জিডি এবং ঢাকা-কদমতলী পুলিশ ফাঁড়িতে ১টি জিডি রয়েছে। বৃদ্ধ মা ফাতেমা বেগমের কোন ভরণ-পোষণ দেয় না ফয়েজ আহম্মেদ। সাম্প্রতিককালে ছেলে ফয়েজ আহম্মেদ বৃদ্ধ মাকে বিদ্যুৎ এবং পানিতে কষ্ট দেওয়ার উদ্দেশ্য রবিউলের নিজ নামের ০০৬৯০০ নং বুড়িচং পল্লী বিদ্যুতে মিটারের মেইন তার টি কেটে নিয়ে যায়। লাইনটি ছোট ছেলে রবিউল লাগাতে গেলেও বাধা দেয় ফয়েজ আহম্মেদ। ফলে ১০ দিন ধরে মানবেতর জীবনযাপন করেন ঐ বৃদ্ধ। পরে বৃদ্ধ মা ফাতেমা বেগম বুড়িচং থানার ইউএনও ইমরুল হাসানের কাছে অভিযোগ দেয়। তার বিরুদ্ধে বুড়িচং থানায় ২টি জিডি এবং ঢাকা-কদমতলী পুলিশ ফাঁড়িতে ১টি জিডি রয়েছে।
ফাতেমা বেগম ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, আমার ছেলে আবুল হোসেন, ফয়েজ আহম্মেদ ও বুড়িচং এরশাদ ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক কবির হোসেন কেউই আমার ভরণ-পোষন দেয় না। তারপরও ফয়েজ আহম্মেদ আমাকে প্রায়ই মারধর করে। স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে আমার ছোট ছেলে রবিউল গত ১৪ বছর ধরে আমাকে ভরন-পোষন করে আসছে। আমার ছোট ছেলে রবিউলের ঘরে গত ১৪ বছর ধরে বসবাস করে আসছি। বুড়িচং থানায় পুলিশের কাছে গেছিলাম বিচার চাইতে,দেখি বিচার পাই কি না? দুনিয়া বিচার না পাইলেও আল্লাহ একদিন ঠিকই বিচার করবেন।
এবিষয়ে জানতে অভিযুক্ত সেজ ছেলে ফয়েজ আহম্মেদের সাথে কয়েকবার যোগাযোগে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে বুড়িচং থানার ওসি আকুল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন একটি অভিযোগ পেয়েছি। তা প্রসিকিউসনের জন্য আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
Leave a Reply