1. jagocomilla24@gmail.com : jago comilla :
  2. weekybibarton@gmail.com : Amit Mazumder : Amit Mazumder
  3. sufian3500@gmaill.com : sufian Rasel : sufian Rasel
  4. sujhon2011@gmail.com : sujhon :
শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:১৪ পূর্বাহ্ন

দেশে ঘূর্ণিঝড় ‘নিভার’র প্রভাব কি পড়বে ? যা বললেন আবহাওয়া অধিদপ্তর

  • প্রকাশ কালঃ বুধবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২০
  • ৪০৪

অনলাইন ডেস্ক:

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘নিভার’র প্রভাব বাংলাদেশে পড়বে না বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ঝড়টি এখন ভারতের দক্ষিণ অংশে অগ্রসর হচ্ছে।

দেশের উপকূলের প্রায় দুই হাজার কিলোমিটার দূর দিয়ে এই ঘূর্ণিঝড় অতিক্রম করে চলে যাবে। এটি আরো শক্তি সঞ্চয় করে এগিয়ে যাচ্ছে ভারতের তামিলনাড়ু উপকূলের দিকে। বুধবার (২৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা নাগাদ ভারতের তামিলনাড়ুর মামাল্লাপুরম এবং পুদুচেরির কারাইকলের মাঝামাঝি আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড়টি।

আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান খান বলেন, এই ঘূর্ণিঝড়ের তেমন প্রভাবে আমাদের দেশে পড়বে না। তবে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা এবং পায়রা সমুদ্রবন্দরকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরবর্তী নির্দেশনা সাবধানতার সাথে পর্যবেক্ষণ করতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। নদীবন্দরগুলোর জন্য কোনো সতর্কতা সংকেত জারি করেনি আবহাওয়া অধিদপ্তর। এমনকি কোনো সতর্কবার্তাও নেই।

প্রসঙ্গত, দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট এক লঘুচাপ ঘূর্ণিঝড় ‘নিভার’ এ পরিণত হয়। নিভার’র প্রভাবে ভারতে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে এবং ঘণ্টায় ১২০ থেকে ১৩০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে, যা ১৪৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়তে পারে।

উইন্ডি ডটকমের আবহাওয়া চিত্রে দেখা যায়, ঘূর্ণিঝড় ‘নিভার’র প্রভাব পড়তে শুরু করেছে তামিলনাড়ু উপকূলে। সেখানে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। বাতাসের গতিবেগ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সৈকতে বড় বড় ঢেউ আছড়ে পড়ছে।

বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার সাইক্লোন সংক্রান্ত আঞ্চলিক সংস্থা এসকাপের তালিকা অনুযায়ী, এ ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেওয়া হয়েছে নিভার। এ নামটি এসকাপে প্রস্তাব করে ইরান।

এদিকে, আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক বিশেষ বার্তায় বলা হয়েছে, দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ’নিভার’ আরও পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড় আকারে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আজ সকাল ৬টায় (২৫ নভেম্বর) চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৭২০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১৬৭০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৬০০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৬০০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।

প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়োহাওয়া আকারে ১১৭ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুনঃ

© All rights reserved © 2024 Jago Comilla
Theme Customized By BreakingNews