অনলাইন ডেস্কঃ
গুগল এখন শুধুই সার্চ ইঞ্জিন নয়। বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজের পরিধি সম্প্রসারণ করতে করতে এবার ওষুধ শিল্পে যাত্রা শুরু করেছে টেক জায়ান্ট গুগল। ওষুধ শিল্পের বড় বড় কোম্পানির সঙ্গে একতাবদ্ধ হয়ে কাজ শুরু করেছে তারা। গ্লাস্কোস্মিথক্লাইনের ভ্যাকসিন ব্যবসার সাবেক প্রধানের নেতৃত্বে গুগলের এই অভিযাত্রা শুরু হয়েছে। হেল্থইমপ্যাক্ট নিউজ জানায়, ব্যাপক পুনর্গঠনের মাধ্যমে গুগল লাভবান হতে পারে, এই ধারণা থেকে ২০১৫ সালে গুগলের সহপ্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেজ এবং সের্গেই ব্রিন গুগলের শাখা-প্রশাখা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেন।
এর ধারাবাহিকতায় তারা তাদের প্রধান ইন্টারনেট ব্যবসাকে বিভক্ত করে ‘‘এক্স ল্যাব’’ এবং ‘‘ক্যালিকো’’র মতো প্রকল্প চালু করেন। ‘‘অ্যালফাবেট’’ নামের নতুন একটি প্রতিষ্ঠানের আওতায় গুগলসহ এর অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে এনে কার্যক্রম চলতে থাকে। এরমধ্যে রয়েছে গুগল ম্যাপস, ইউটিউব, ক্রোম এবং অ্যান্ড্রয়েড। জীববিজ্ঞান নিয়ে কাজ করা অ্যালফাবেটের একটি প্রতিষ্ঠান ভেরিলি। এই ভেরিলি গুগলের ওষুধ শিল্পের যাত্রা দেখভাল করবে।
অনেকগুলো ওষুধ কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে ভেরিলি। এরমধ্যে রয়েছে নোভার্টিসের সাথে স্মার্ট লেন্স তৈরি, জনসন অ্যান্ড জনসেনর সাথে সার্জিক্যাল রোবট তৈরি, মার্ক এবং ডোমির সঙ্গে দুরারোগ্য ব্যাধির দ্রুত সনাক্তকরণ ও সমাধানে কাজ করা এবং সানোফির সঙ্গে ডায়াবেটিস রোগ ব্যবস্থাপনার কাজ। গিলিয়াড এবং বিশ্বের বৃহত্তম ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান গ্লাস্কোস্মিথক্লাইনের সাথেও যৌথভাবে কাজ করছে ভেরিলি। গালভানি বায়োইলেকট্রনিক্স এর উদ্ভাবনে এবং গ্লাস্কোস্মিথক্লাইনের সহায়তায় ভেরিলি নিজস্ব ওষুধ কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেছে, যেখান থেকে বায়োইলেকট্রনিক ওষুধের উন্নয়ন, গবেষণা এবং বাজারজাতকরণে কাজ করছে তারা।
ডেঙ্গু, জিকা, চিকুনগুনিয়া এবং হলুদ জ্বরের ভাইরাস বহনকারী মশার বংশবৃদ্ধি রোধেও কাজ করছে ভেরিলি। প্রযুক্তির সহায়তায় উৎপাদিত বন্ধা(sterile) পুরুষ মশা এসব রোগের ভাইরাস বহনকারী মশার বংশবৃদ্ধি রোধ করবে-এমন প্রকল্পের উন্নয়নে কাজ করছে তারা। রোগশয্যা সংক্রান্ত গবেষণাতেও কাজ করছে গুগলের সহপ্রতিষ্ঠান ভেরিলি। ‘বেসলাইন’ নামে নিজেদের গবেষণাও রয়েছে ভেরিলির। বিডি প্রতিদিন/আরাফাত
Leave a Reply