সোমবার, ২৯ মে ২০২৩, ০৮:০৯ পূর্বাহ্ন

অনলাইন ডেস্ক:

অপ্রয়োজনে যদি কোন প্রাইভেট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোন গর্ভবতী মায়ের সিজার করে আর তা যদি প্রমাণিত হয় তাহলে সেই প্রতিষ্ঠান প্রয়োজনে বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

রোববার (২৭ মে) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। বর্তমানে প্রাইভেট হাসপাতালগুলোতে সিজারের হার ৭০ থেকে ৮০ শতাংশের বেশি। এটা সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশের বেশি হওয়ার কথা নয় বলেও জানান তিনি।

সিজার বেড়ে গেছে, উপস্থিত একজন সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, হ্যাঁ, আপনি ঠিকই বলেছেন। এটা নিয়ন্ত্রণে আমরা কাজ করছি। এটা কমাতে আমরা ইতোমধ্যে একটি ফরম করেছি। যদি কোন প্রাইভেট হাসপাতালে সিজার হয় তাহলে তার বিষয়ে বিস্তারিত জবাবদিহি করতে হবে। এক্ষেত্রে রোগির কোন সমস্যার কারণে সিজার করা হলো তা উল্লেখ করতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, এতে আমরা ফল পাচ্ছি। তবে যদি অপ্রয়োজনে কোন প্রতিষ্ঠান সিজার করে তাহলে তা প্রয়োজনে বন্ধ করে দেওয়া হবে। সিজার করলে একজন মায়ের নানা ধরণের ক্ষতি হয়। তাকে দুর্বল করে দেওয়া হয়।

জাহিদ মালেক বলেন, প্রতিবছরের মতো এ বছরও আগামীকাল ২৮ মে নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস পালন করবে সরকার। এ দিবস উপলক্ষে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্রে সকালে একটি র‌্যালি ও বিকেলে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। নিরাপদ মাতৃত্ব দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নানা কর্মসূচি পালন করে আসছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো কমিউনিটি ক্লিনিক। এখানে মায়েরা সেবা নিয়ে থাকেন।

তিনি বলেন, সারা দেশে ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ার সেন্টার রয়েছে প্রায় ৪ হাজার। সেখানে প্রসব কার্যক্রমসহ নানা কাজ হয়ে থাকে। এমসিডব্লিউসিগুলোতে সিজারের ব্যবস্থা রয়েছে এবং নরমাল প্রসবের ব্যবস্থা রয়েছে। প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় নিরাপদ প্রসব পদ্ধতির ব্যবস্থা করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রায় ৩০ হাজার স্যাটেলাইট ক্লিনিক রয়েছে। যার মাধ্যমে মায়েদের নানা চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আমাদের এই ক্লিনিকের কর্মীরা শুধুমাত্র ক্লিনিকে বসে থাকেন না বরং তারা মায়েদের নিকট চলে যান এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। আমরা মায়েদের বিনামূল্যে অ্যাম্বুলেন্স সেবা চালু রয়েছে। আপনারা জানে সরকার মাতৃত্বকালীন ভাতাও দিয়ে থাকেন। এটা ভাল কাজ দিচ্ছে। আমরা তিন হাজার মেডিক্লিনিক্যাল প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা ইতোমধ্যে ১৫ হাজার নার্স নিয়োগ দিয়েছি। এটা নিরাপদ মাতৃত্বে ভাল ভূমিকা রাখবে। এখন আমরা মায়ের নিরাপদ মাতৃত্বের ক্ষেত্রে ৬ মাসের ছুটির ব্যবস্থা করেছি। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার নির্মাণ করেছি। প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানগুলোকে আমরা বাধ্য করছি এ ধরণের উদ্যোগ নিতে।

আরও পড়ুন

%d bloggers like this: