অনলাইন ডেস্ক:
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) প্রথম সমাবর্তন আগামী বছরের ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি জানানো হয়। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বারের মতো অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক এই সমাবর্তনের সাংস্কৃতিক পর্যায়ে গান গাইতে আসবেন ব্যান্ড তারকা জেমস ও তাঁর ব্যাণ্ডদল নগরবাউল।
সমাবর্তন সফল করতে এরই মধ্যে প্রস্তুতি শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় চ্যান্সেলর এর সম্মতি সাপেক্ষে ২৭ জানুয়ারি ২০২০ সোমবার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হবে।
সমাবর্তন সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় কমিটি ও বিভিন্ন উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সমাবর্তনের বিস্তারিত তথ্যাদি বিজ্ঞপ্তি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব সাইটে প্রকাশ করা হবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোঃ আবু তাহের বলেন, ‘মহামান্য রাষ্ট্রপতির দপ্তর থেকে প্রথম সমাবর্তনের তারিখ নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন সফল করতে আমরা সবাই মিলে কাজ করবো। আমাদের প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে।’
সমাবর্তনের রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই কার্যক্রম চলবে আগামী ৩০ নভেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০৬-০৭ শিক্ষাবর্ষ থেকে ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রিপ্রাপ্ত এবং ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষ হতে ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত স্নাতোকোত্তর ডিগ্রিপ্রাপ্ত সকল শিক্ষার্থীকে উক্ত সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সনদ প্রদান করা হবে।
সংশ্লিষ্ট ডিগ্রিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা নির্ধারিত ওয়েবসাইটে (www.cou-convocation.com) প্রয়োজনীয় তথ্যাদি প্রদান করে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। এই ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে।
সমাবর্তনে প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থী সবারই অন্যতম আগ্রহের জায়গা থাকে সমাবর্তনের সাংস্কৃতিক অংশে৷ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন রাঙাতে তাই আনা হচ্ছে পুরো ভারতবর্ষ ছাপিয়ে যিনি বাংলা ব্যান্ডকে তুলে ধরেছেন সেই জেমসকে।
এ ব্যাপারে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ বলেন, ‘কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে প্রথম সমাবর্তন আর জেমসও আমাদের ক্যাম্পাসে প্রথমবারের মতই আসছেন।’
তিনি বলেন, ‘উপাচার্য স্যারের সাথে কথা বলে আমি নিজে বুকিং দিয়েছি ২৭ জানুয়ারির জন্য। আমাদের সমাবর্তন অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণ হতে চলেছে।’ নগরবাউল আসার সংবাদে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
কুমিল্লায় পরিবহন ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখতে কুমিল্লা বাস মালিক সমিতি ও কুমিল্লা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের সাথে বুধবার সন্ধ্যায় বৈঠক করেছেন কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার।
তিনি বলেন সড়ক আইনের বিরোধীতা করে কুমিল্লায় পরিবহন সেক্টরে কেউ যেন অরাজকতা সৃষ্টি করতে না পারে সেদিকে বাস মালিক সমিতি ও কুমিল্লা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দকে সতর্ক ও সজাগদৃষ্টি রাখারে হবে।
পরিবহন ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখা ও সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব ধরনের উদ্দ্যেগ গ্রহণ করতে হবে।
তিনি আরো বলেন কুমিল্লা শান্তির শহর, কারো কোন দাবি থাকলে আলোচনা করে সমাধান করা হবে, আন্দোলনের নামে কুমিল্লায় অশান্তি করা যাবে না।
সড়ক আইনের বিরোধীতা করে সারাদেশে পরিবহন শ্রমিকদের অবরোধে সকাল থেকে স্থবির হয়ে পরে কুমিল্লা শাসনগাছা, জাঙ্গালিয়া বাস টার্মিনালসহ সড়ক-মহাসড়ক রাস্তাগুলো। বুধবার সকাল থেকে কুমিল্লা নগরীর শাসনগাছা ফ্লাইওভারের মুখে অবরোধ করতে থাকে শ্রমিকরা।
খবর পেয়ে দুপুর ১২ টায় ফ্লাইওভার এলাকায় আসেন কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য ও মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি হাজী আকম বাহাউদ্দিন বাহার। এসময় সড়ক অবরোধকারীদের উদ্দেশ্যে করে এসব কথাগুলো বলেন এমপি বাহার।
এদিকে মহাসড়কের কুমিল্লার পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড এলাকায় একদল পরিবহন শ্রমিক সড়ক অবরোধ করে নৈরাজ্যের চেষ্টা চালায়। খবর পেয়ে কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য হাজী আ.ক.ম বাহাউদ্দিন বাহার পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড আসলে ধর্মঘটের নামে নৈরাজ্যকারিরা পালিয়ে যায়। মুহুর্তের মধ্যেই সড়ক-মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে উঠে। অঘোষিত ধর্মঘটের নামে পরিবহন শ্রমিকরা যাতে মহাসড়কে কোন প্রকার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করে, তাৎক্ষণিক ফোন করে কুমিল্লার পরিবহন নেতাদের সে ব্যাপারে কথা বলেন এমপি বাহার ।
জনা যায়, সড়ক আইনের বিরোধীতা করে কুমিল্লা পরিবহন শ্রমিকদের অবরোধে ফলে সকাল থেকে কুমিল্লা শাসনগাছা-কান্দিরপাড় সড়কে গাড়ী চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। শ্রমিকরা এক পর্যায়ে চালকদের মুখে মবিল মেখে দেয়। ভোগান্তির মধ্যে পরে হাজার-হাজার যাত্রী। পরে এমপি বাহারের হস্তক্ষেপে পরে অবরোধকারীরা চলে যেতে বাধ্য হয়।দুপুড় সাড়ে ১২টা থেকে পুনরায় যান চলাচলা স্বাভাবিক হয়।
এদিকে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার অংশে দু একটা মালামাল আনা নেয়ার কাজে ট্রাক দেখা গেলেও চোখে পড়েনি কোন যাত্রীবাহী বাহন। পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড ও জাঙ্গালীয়া বাসস্ট্যান্ডে যানবাহনের জন্য হাজারো যাত্রীর হাহাকার ছিলো লক্ষনীয় বিষয়। এ বিষয়ে জেলা বাস মালিক সমিতির মহাসচিব তাজুল ইসলাম জানান, কেন্দ্রীয়ভাবে এমন সিদ্ধান্ত হয়নি। কিছু পরিবহনের চালক ও হেলপাররা যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘাটায়। এটা কোন কেন্দ্রীয় ধর্মঘট নয়।
Leave a Reply