নিজস্ব প্রতিবেদক:
এবারও এসএসসিতে প্রশসংনীয় সাফল্যে দেখিয়েছে কুমিল্লা মহানগরীর খ্যাতনামা সু-শৃংখল প্রতিষ্ঠান কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড সরকারি মডেল কলেজ। এবছর এ কলেজ থেকে এসএসসিতে ৮২ জন অংশ নিয়ে সকলে পাস করেছে। আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫০ জন।
দুপুরে ফল শোনার পর উচ্ছ্বাসে মেতে উঠে কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড সরকারি মডেল কলেজ কলেজের শিক্ষার্থীরা। স্কুল প্রাঙ্গণেই নাচ-গানে মাতোয়ারা হয়ে পড়ে তারা। পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষক ও অভিভাবকরাও আনন্দ-উৎসবে অংশ নিয়েছেন। ঢাকঢোল বাজিয়ে, নেচে-গেয়ে ও হৈ-হুল্লোড় করে ভাল ফল অর্জনের আনন্দে মেতে ওঠে শিক্ষার্থীরা।
বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী আল আমিন সেজান বলেন, ‘অভিভাবক, শিক্ষকদের সহযোগিতায় ভাল ফল করেছি। আমাদের কলেজের শৃংখলা আর অধ্যক্ষ স্যারের তত্বাবধান আমাদের ভালো ফলের আরো একটি কারণ। সবাই পাস করায় খুবই আনন্দ লাগছে যা ভাষায় বলে প্রকাশ করতে পারব না। আমি ভবিৎষতে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হতে চাই।’
জিপিএ-৫ পাওয়া ছাত্রী সুহি বলেন, এ প্লাস পেয়েছি। কি বলবো ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। ভাল ফলাফলের পিছনে সব চেয়ে বড় অবদান রেখেছেন আমাদের শিক্ষকরা।
ফলাফল সম্পর্কে কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড সরকারি মডেল কলেজের অধ্যক্ষ ড. এ কে এম এমদাদুল হক বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীরা ভাল ফলাফল করেছে। পাসের হার শতভাগ। শিক্ষকদের প্রচেষ্টা অভিভাবকদের সহযোগিতা আর শিক্ষার্থীদের পরিশ্রমের ফসল হিসেবে এ ফল হয়েছে। এতে আমরা সন্তুষ্ট। তাদের সাফল্যেই আমাদের আনন্দ। সাফল্যের এ ধারা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে।’
উল্লেখ্য, শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের তত্বাবধানে ও কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের অর্থায়নে প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড সরকারি মডেল কলেজ ২০০৮ সালে যাত্রা শুরু করে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে সকল পাবলিক পরীক্ষায় কলেজটি শতভাগ পাসের ধারা অব্যাহত রেখে চলেছে। কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ছিলেন কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের বর্তমান সচিব প্রফেসর মো.আবদুস ছালাম।
এছাড়া দীর্ঘ অর্ধ-যুগ কলেজের অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেছিলেন কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের নবাগত চেয়ারম্যান প্রফেসর মো.রুহুল আমিন ভূঁইয়া। বর্তমান অধ্যক্ষ ড. এ কে এম এমদাদুল হক কলেজটিকে ডিজিটাল ক্যাম্পাসে রূপান্তর করে বেশ সুনাম অর্জন করে। সাফল্যের ধারায় ২০১৮ সালে কলেজটি জেলার শ্রেষ্ঠ কলেজ ও কলেজের অধ্যক্ষ ড. এ কে এম এমদাদুল হক দ্বিতীয় বারের মতো শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ নির্বাচিত হন।