অনলাইন ডেস্ক:
একাদশ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যোগাযোগ মাধ্যমে বিএনপি’র দুই নেতার আরো দু’টি ফোনালাপ ফাঁস হয়েছে। যেখানে নির্বাচনে নাশকতা করার জন্য দলের নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিতে শোনা যায়। এর মধ্যে একটিতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা এবং নোয়াখালী-২ আসনে দলটির প্রার্থী জয়নুল আবদিন ফারুককে এক দলীয় কর্মীর কাছে বিস্ফোরক দ্রব্য পাঠানোর কথা শোনা যায়।
অন্যদিকে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের বিএনপি প্রার্থী আবুল খায়ের ভূঁইয়াকে নেতাকর্মীদের দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে প্রতিপক্ষের ওপর হামলার নির্দেশ দেয়ার অডিও প্রকাশ হয়েছে
নির্বাচনের আগ মুহূর্তে বিএনপি প্রার্থীদের একের পর এক নাশকতার পরিকল্পনার তথ্য জানা যাচ্ছে। সর্বশেষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফাঁস হওয়া দলটির নোয়াখালী-২ ও লক্ষ্মীপুর-২ আসনের প্রার্থীর আলাদা দুটি ফোনালাপে নাশকতার পরিকল্পনার কথা জানা যায়।
ফাঁস হওয়া অডিওতে শোনা যায়, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও নোয়াখালী-২ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী জয়নুল আবদিন ফারুক দলীয় এক কর্মীর কাছে বিস্ফোরক দ্রব্য পাঠানোর কথা বলছেন।
ফোনালাপ:-
জয়নাল আবদিন ফারুক: সাক্কু ভাই! আমি আপনার ৭টা সেন্টারের জন্য ৪ কেজি ১৫ পাউন্ড ডিআইটি।সাক্কু: হ্যাঁ!জয়নাল আবদিন ফারুক: বুজঝেন তো?সাক্কু: বুজঝি, ওকে।আরেকটি ফোনালাপে আলাউদ্দীন নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলেছেন জয়নাল আবদিন ফারুক:জয়নাল আবদিন ফারুক: লাঠি, লাঠি ছিলছেন?সাক্কু: হ্যাঁ।জয়নাল আবদিন ফারুক: কয়টা ছিলছেন?আলাউদ্দিন: বাঁশ কাটছি।জয়নাল আবদিন ফারুক: লাঠি লন, একশ’ লাঠি লন। যা করেছি জীবনে আর কিছু লাগব না।অপর একটি ফোনালাপে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের বিএনপি প্রার্থী আবুল খায়ের ভূঁইয়া দলীয় নেতার্মীদের দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জড়ো হওয়ার নির্দেশ দেন।আবুল খায়ে ভূইয়ার ফোনালাপ:আবুল খায়ের ভূঁইয়া: হ্যাঁ, ঠিক আছে এখন তোমরা নিজেরা ৮-১০ জন মিলে ঘুরো। লাঠি, সোটা, রাম দা নিয়ে এবার ওদের দৌড়াও।দুলাল: স্যার আমরা নির্বাচন কিভাবে? কেমন করে করবো বুঝতাছি না?
আবুল খায়ের ভূঁইয়া: কোনো ভয় নাই। আমি আছি। তারা মারামারি করবে। তোমরা কি চুমা দিবা নাকি দৌড় দিবা? নাকি মাইর খাবা?আরেকটি ফোনালাপে আবুল খায়ের ভূঁইয়া ও মিনুর কথোপকথোন:আবুল খায়ের ভূঁইয়া: মিনু, কেন্দ্রে থাকবা তো?মিনু: ভাই ওরা আজ বাড়িতে গিয়ে হামলা দিসে।
আবুল খায়ের ভূঁইয়া: আচ্ছা ঠিক আছে। এখন হামলা দিসে শুনছি। যদি ব্যাটা হও, তাহলে কাল থেকে লোক জোগাও। ২০-১৫ জন লোক জোগাও। খাসেরহাটে রাম দা, বল্লম-টল্লম যা আছে সবকিছু নিয়ে কালকে রেব হও।তোমরা কাল ওদের দৌঁড়ানি দিবা। লোক জোগাতে হবে। কেন্দ্রে পোলিং এজেন্ট নিয়ে বসে পড়ো।
উল্লেখ্য, এর আগে আরেকটি ফোনালাপে বিএনপির স্থানীয় কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ নিতে সব ধরনের কৌশল কার্যকর করতে বলেন। এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজউদ্দিন আহমেদকে শিবিরকর্মীদের পোলিং এজেন্ট নিয়োগের নির্দেশ দিতে শোনা যায়।
Leave a Reply