1. jagocomilla24@gmail.com : jago comilla :
  2. weekybibarton@gmail.com : Amit Mazumder : Amit Mazumder
  3. sufian3500@gmaill.com : sufian Rasel : sufian Rasel
  4. sujhon2011@gmail.com : sujhon :
সোমবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২৮ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজঃ

যে স্বামী আদর করে, সে এতটা নিষ্ঠুর হয় কিভাবে?

  • প্রকাশ কালঃ রবিবার, ৩ জুন, ২০১৮
  • ৩৮৭

অনলাইন ডেস্ক:
পাবনার ঈশ্বরদীতে মাদকাসক্ত স্বামীর অমানবিক নির্যাতন, এডিট করা পর্ণোগ্রাফী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি ও আদরের নাড়ি ছেঁড়া ধন একমাত্র কন্যা সন্তান কে কেড়ে নেওয়াসহ বিভিন্ন অত্যাচার হুমকি ধামকি থেকে বাঁচতে মুন্নি নামক এক গৃহবধু গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (৩০ মে) রাতে ঈশ্বরদী উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের চরমিরকামারী পশ্চিমপাড়া গ্রামে। বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে।

জানা যায়, সলিমপুর ইউনিয়নের চরমিরকামারী গ্রামের মুন্তাজ আলীর মেয়ে মুন্নির সঙ্গে ২০১০ সালে রুপপুর ফটু মার্কেট এলাকার মৃত নিয়ামত আলীর ছেলে রেজাউল ইসলামের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের পাঁচ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।

মুন্নির চাচা ডাবলু অভিযোগ করে বলেন, বিয়েতে যৌতুক হিসেবে মটর সাইকেল, আসবাবপত্র ও স্বর্ণালংকারসহ ৫ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। পর্যায়ক্রমে রেজাউল মুন্নির পরিবারকে চাপ প্রয়োগ করে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেই। তারপরও থেমে থাকেনি যৌতুক লোভী রেজাউল। বিয়ের পর থেকে বারবার যৌতুকের জন্য মুন্নিকে অব্যাহত ভাবে চাপ প্রয়োগ করে। এক পর্যায়ে মুন্নি অতিষ্ঠ হয়ে রেজাউলের বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে চলে আসেন। এরপরেও রেজাউল বিভিন্ন সময় মুন্নির বাবার বাড়িতে এসে মুন্নিকে মানসিকভাবে নির্যাতন চালিযে যেতে থাকে।

সম্প্রতি মুন্নির পরিবার টাকা অপারগতা প্রকাশ করায় নতুন ফন্দি আটে রেজাউল। মুন্নির বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালানোর জন্য মুন্নির বেশ কিছু ছবি কম্পিউটারে গ্রাফিক্স ডিজাইনের মাধ্যমে পর্ণোগ্রাফী ছবি তৈরি করে। মুন্নির পরিবারকে এসব ছবি দেখিয়ে রেজাউল নানাভাবে হুমকি ধামকি দিতে থাকে। এদিকে রেজাউলের অভিনব এসব প্রতারণায় মানসিকভাবে বিধ্বস্থ হয়ে পড়ে মুন্নি। এরই এক পর্যায়ে রাতে মুন্নি তাঁর শয়ন কক্ষে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করে।

মুন্নির স্বামী রেজাউলের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি মুন্নির বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতনের কথা অস্বীকার করেন।

এ বিষয়ে সলিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ বাবলু জানান, ছেলেটা ড্রাগ এ্যাডেক্টেড। চেষ্টা করেছিলাম দুই পরিবারের সমন্বয় করে সংসার করানোর জন্য এবং মুন্নির বাচ্চা টা কে যতদিন মিমাংসা না হয়, মা মুনির কাছে রাখার জন্য। কিন্তু রেজাউল বাচ্চাটি কে নিয়ে যাওয়ার কারণে মেয়েটি মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়ে। আমার জানা মতে, যৌতুক হিসেবে ৫ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা নগদ নিয়েছিল এবং লোকমুখে শুনেছি মেয়েটির খারাপ ছবি নাকি ফেসবুকে ছেড়ে দিবে।

ঈশ্বরদী থানার ওসি আজিম উদ্দিন জানান, মুন্নির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন দেখে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুনঃ

© All rights reserved © 2024 Jago Comilla
Theme Customized By BreakingNews