অনলাইন ডেস্ক:
লক্ষ্মীপুর পৌরসভা ১৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো: সাখাওয়াত হোসেনের ছেলে সৌদি প্রবাসী মো: আরমান হোসেনের স্ত্রী রাবেয়া আক্তার সুমি স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকাসহ প্রেমিকের হাত ধরে উধাও হয়েছেন। প্রেমিক পাপ্পুর সঙ্গে দীর্ঘদিনের প্রেমের সূত্রে তার হাত ধরে পালিয়েছে সে। এ ঘটনায় প্রাবাসীর পিতা সাখাওয়াত হোসেন বাদী হয়ে সদর থানায় একটি অভিযোগ করেন।
সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের জুলাই মাসে লক্ষ্মীপুর পৌরসভা ১৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো: সাখাওয়াত হোসেনের ছেলে সৌদি প্রবাসী মো: আরমান হোসেনের সাথে রায়পুর উপজেলার রাখালিয়া গ্রামের আহম্মদ উল্যাহর মেয়ে রাবেয়া আক্তার সুমির বিয়ে হয়। তাদের বিয়ের কিছুদিন পরেই স্ত্রী রাবেয়া আক্তার সুমিকে নিজ বাড়িতে রেখে আরমান হোসেন ফের সৌদি চলে যান।
স্বামী আরমান হোসেন সৌদি আরব যাওয়ার পর স্ত্রী রাবেয়া আক্তার সুমি পড়াশুনা করার আগ্রহ প্রকাশ করলে তাকে লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজে ডিগ্রিতে ভর্তি করা হয়।
কিন্তু কলেজে আসা-যাওয়ার পথে সুমির সঙ্গে পাপ্পু নামে এক যুবকের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। শুরু হয় সুমি-পাপ্পুর প্রেমলীলা। কিন্তু সব কিছু গোপন রেখে সুমি কৌশলে স্বামী আরমান হোসেনের কাছ থেকে স্বর্ণালংকার ও টাকা পয়সা আদায় করে নিতো। পাপ্পুর সঙ্গে সম্পর্ক চলাকালীন সময়ের ২০১৬ সালে সুমিকে সৌদি আরবে নিজের কাছে নিয়ে যায় স্বামী আরমান। সেখানে গিয়েও থেমে থাকেনি সুমি। প্রেমিক পাপ্পুর সঙ্গে নিয়মিত মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করত। কিন্তু স্বামী আরমান এ ব্যাপারে কিছুই জানত না। ৬ মাস স্বামীর কাছে থেকে পরীক্ষা দেয়ার কথা বলে পুনরায় দেশে ফিরে আসে সুমি। এ সময় স্বামীর বাড়িতে ওঠে। এরপর কয়েক মাস স্বামীর বাড়িতে থেকে সুমি লক্ষ্মীপুর শহরের গণকবর এলাকায় বাবার ভাড়া বাসায় বেড়াতে যায়। বাবা লক্ষ্মীপুর ইসলামি ফাউন্ডশনে চাকরি করার সুবাধে এ বাসায় থাকত বেশি।
গত ১৪ মে পুনরায় সৌদি আরবে স্বামীর কাছে যাওয়ার কথা ছিল সুমির। বিমানের টিকিট থেকে শুরু করে সৌদিতে যাওয়ার জন্য সব কিছুই ঠিকঠাক ছিল। সৌদিতে স্ত্রীকে রিসিভ করার জন্য একটি বিমানবন্দরে প্রস্তুত ছিল স্বামী আরমান হোসেন। বিমান ঠিকই গেছে, যায়নি শুধু সুমি। এর আগে প্রেমিক আরমান হোসেন হাওলাদার পাপ্পুর হাত ধরে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা-পয়সা নিয়ে পালিয়ে যায় সুমি।
এ ঘটনায় সৌদি প্রবাসী আরমান হোসেন টেলিফোনে গণমাধ্যমকর্মীকে জানান, তার স্ত্রী রাবেয়া আক্তার সুমি ও তার শ্বশুরকে বিশ্বাস করে বিদেশে উপার্জিত টাকা পয়সা তাদের অ্যাকাউন্টে পাঠিয়েছি। এখন আমার সব শেষ হয়ে গেছে। সারা জীবনের উপার্জনকৃত টাকা-পয়সা নিয়ে সে প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচারের দাবি জানান আরমান।
এ ব্যাপারে রাবেয়া আক্তার সুমির সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: লোকমান হোসেন জানিয়েছেন, বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply