অনলাইন ডেস্ক:
তামাকমুক্ত দিবস-২০১৮ উপলক্ষে আলোচনা সভাস্বাস্থ্যমন্ত্রী মো. নাসিম বলেছেন, ‘যদি মেডিক্যাল কলেজের কোনও ছাত্র ধূমপান করে তাহলে তাকে মেডিক্যালে রাখা হবে না, বহিষ্কার করা হবে।’ বৃহস্পতিবার (৩১ মে) বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উপলক্ষে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়োজিত এক আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যদি কোনও চিকিৎসক ধূমপান করেন তাহলে তিনি মেডিক্যালে পড়াতে পারবেন না। নিজে উপদেশ দিবেন আর নিজেই ধূমপান করবেন, এটা হবে না। এছাড়া যারা ধূমপায়ী তাদের মেডিক্যালে ভর্তি পরীক্ষা দিতে দেওয়া হবে না।’
তিনি বলেন, ‘ধূমপান মানেই বিষপান। এর কোনও সুফল নেই। সব গবেষণায় দেখা গেছে, যেকোনও ধরনের তামাক গ্রহণ স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন মন্তব্য করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মাদকের ভয়াবহতা গ্রামেগঞ্জে ছড়িয়ে পড়েছে। মাদক বিভিন্ন পরিবারকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদকব্যাধির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন।এখানে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’
এসময় ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ব্রিগেডিয়ার (অব.) ডা. আব্দুল মালিক বলেন, ‘হার্ট ফাউন্ডেশন তামাকবিরোধী আন্দোলনে কাজ করছে। তামাক শুধু বাংলাদেশের সমস্যা নয়, সমস্ত বিশ্বকে তামাকমুক্ত করতে হবে। সবাই মিলে কাজ করলে বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করা সম্ভব।’
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘হৃদরোগে যত মৃত্যু হয় তার ১৭ ভাগ তামাকজনিত কারণে। তামাককে প্রতিরোধ করতে পারলে এই হার অনেক কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। আমাদের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কর্মস্থলে চিকিৎসকদের ধূমপান নিষিদ্ধ করেছেন। বাংলাদেশ সরকার ২০৪০ সালের মধ্যে এদেশকে তামাকমুক্ত করতে চায়। সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।’
অনুষ্ঠানে প্রতি বছরের মতো এবারও তামাক নিয়ন্ত্রণে অবদান রাখার জন্য পুরস্কার দেওয়া হয়। ২০১৪ সাল থেকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এ পুরস্কারের আয়োজন করে। এ বছর তামাক নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে ব্যক্তি হিসেবে পুরস্কার পেয়েছেন বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা মরহুম অধ্যাপক ড. ফজলুল হক। তিনি ২০০৫ সালে মৃত্যুবরণ করেন। তার পক্ষ থেকে পুরস্কার গ্রহণ তার মেয়ে সৈয়দা ফিরোজা হক। প্রতিষ্ঠান হিসেবে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন ব্রিগেডিয়ার (অব.) আব্দুল মালিক। জেলা হিসেবে পুরস্কার পেয়েছে জামালপুর জেলা টাস্কফোর্স।
Leave a Reply