মাহফুজ নান্টুঃ
খুব সহজ সরল মানুষ সুমন। বাড়ি কুমিল্লা সদর উপজেলার আমড়াতলী ইউনিয়নের বাশমঙ্গল গ্রামে। রাঙ্গামাটিতে একটি ফার্নিচার দোকানে কাজ করতেন। স্ত্রী দু’ছেলে ও এক মেয়ে আছে। সুমনের ডায়বেটিস ছিলো। নিয়মিত ইনসুলিন নিতেন। ২০১৭ সাল। এক রাতে খাবারের আগে ইনসুলিন নিয়েছেন। না খেয়ে রাতে ঘুমিয়ে যান। রাতে স্ট্রোক করেন। রাঙ্গামাটিতে কিছু দিন চিকিৎসা নেন। অভাব অনটনের কারণে পরিবারের লোকজন সুমনকে নিয়ে আসেন কুমিল্লায়। তারপর থেকে সঠিক চিকিৎসা না পেয়ে জীবন্ত কঙ্কালে পরিণত হয়ে গেছেন সুমন।
সুমনের চিকিৎসা নেই। স্ত্রী ও তিন ছেলে মেয়ে অর্ধাহারে অনাহারে দিন পার করছেন। সুমনের স্ত্রীর আকুলতা। তার স্বামীকে কেউ যদি একটু চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দেন। বাবার আশেপাশে ঘুরে ফিরে অসহায়ভাবে তাকিয়ে থাকে সুমনের সন্তানরা। অসুস্থ সুমনও সন্তানদেরকে আদর করতে পারেন না। এ এক হৃদয় বিদারক দৃশ্য।
সুমনের বাবা নাবালক মিয়া জানান, তিনি তহসিল অফিসের পিয়ন ছিলেন। ২০১২ সালে অবসরে আসেন। এখন সামান্য পেনশন পান। তা দিয়ে সংসার চালানোই কষ্ট কর। কিভাবে সন্তানের চিকিৎসা করাবেন বলে প্রশ্ন রাখেন।
দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে অসুস্থ সুমনের বাবা নাবালক মিয়া জানান, আমার অন্য ছেলেরাও এত দিন কিছু সহযোগিতা করেছে। সবার সংসার আছে। এখন আমিতো সন্তানকে ফেলে দিতে পারি না। আবার সন্তানকে সঠিক চিকিৎসাও দিতে পারি না। আমার মত অসহায় কে আছে?
অসহায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে নাবালক মিয়া বলেন, এ সমাজে কত বড়লোক মানুষ আছেন। কত হৃদয়বান মানুষ আছেন। তারা কি আমার ছেলের জন্য একটু চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিবেন। আমি তাদের জন্য আল্লাহর দরবারে দোয়া করবো। আমি আমার অবুজ নাতি-নাতনীদের নিয়ে আর পারছি না।
সাহায্যকারীরা যোগাযোগ করতে পারেন এই নম্বরে০১৮২৮৫০৮৮৬৩।
]
Leave a Reply