( জাগো কুমিল্লা.কম)
তথ্যপ্রযুক্তি আইনে দায়ের করা একটি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবর। মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) একটি টিম তাকে গ্রেফতার করে। সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএস) মোল্যা নজরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মোল্যা নজরুল ইসলাম জানান, সুরকার ও কণ্ঠশিল্পী শফিক তুহিনের দায়ের করা তেজগাঁও থানার একটি মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলা নম্বর ১৪। তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।’
সিআইডির গাড়ি করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
সোমবার সন্ধ্যায় (৪ জুন) দায়ের করা এ মামলায় আসিফ আকবর ছাড়াও আরও ৪/৫ জন অজ্ঞাত আসামি রয়েছে বলেও জানায় পুলিশ।
আসিফ আকবরকে নিয়ে যাচ্ছে সিআইডিশফিক তুহিন এজাহারে অভিযোগ করেছেন, গত ১ জুন আনুমানিক রাত ৯টার দিকে চ্যানেল ২৪-এর সার্চ লাইট নামের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন, আসিফ আকবর তার অনুমতি ছাড়াই তার সংগীতকর্মসহ অন্যান্য গীতিকার, সুরকার ও শিল্পীদের ৬১৭টি গান সবার অজান্তে বিক্রি করেছে।
পরে তিনি বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করে জানতে পারেন, আসিফ আকবর আর্ব এন্টারটেইনমেন্টের চেয়ারম্যান হিসেবে অন মোবাইল প্রা. লি. কনটেন্ট প্রোভাইডার, নেক্সনেট লি. গাক মিডিয়া বাংলাদেশ লি. ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে গানগুলো ডিজিটাল রূপান্তরের মাধ্যমে ট্রু-টিউন, ওয়াপ-২, রিংটোন, পিআরবিটি, ফুলট্রেক, ওয়াল পেপার, অ্যানিমেশন, থ্রি-জি কন্টেন্ট ইত্যাদি হিসেবে বাণিজ্যিক ব্যবহার করে অসাধুভাবে ও প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল অর্থ উপার্জন করেছে।
তল্লাশি করছেন সিআইডির কর্মকর্তারাএজাহারে তিনি আরও উল্লেখ করেন, পরে ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি গত ২ জুন রাত ২টা ২২ মিনিটে তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে অনুমোদন ছাড়া গান বিক্রির এই ঘটনা উল্লেখ করে একটি পোস্ট দেন। তার ওই পোস্টের নিচে আসিফ আকবর নিজের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে অশালীন মন্তব্য ও হুমকি দেন। পরের দিন রাত ৯ টা ৫৯ মিনিটে আসিফ আকবর তার প্রায় ৩২ লাখ লাইকার সমৃদ্ধ ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে লাইভে আসেন। ৫৪ মিনিট ৩৪ সেকেন্ড লাইভ ভিডিওর ২২ মিনিট থেকে তার বিরুদ্ধে অবমাননাকর, অশালীন ও মিথ্যা-বানোয়াট বক্তব্য দেন।
ভিডিওতে আসিফ আকবর তাকে (শফিক তুহিন) শায়েস্তা করবেন এ কথা বলার পাশাপাশি ভক্তদের উদ্দেশে বলেন, তাকে যেখানেই পাবেন সেখানেই প্রতিহত করবেন। এই নির্দেশনা পেয়ে আসিফ আকবরের ভক্তরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে হত্যার হুমকি দেয়। আসিফ আকবরের এই বক্তব্য লাখ লাখ মানুষ দেখেছে। তিনি উসকানি দিয়েছেন। এতে তার (সফিক তুহিন) মানহানি হয়েছে।
এজাহারে শফিক তুহিন আরও উল্লেখ করেন, বিষয়টি সংগীতাঙ্গনের সুপরিচিত শিল্পী, সুরকার ও গীতিকার প্রীতম আহমেদসহ অনেকেই জানেন।
আসিফ আকবর ২০০১ সালে প্রকাশিত তার প্রথম গানের অ্যালবাম ‘ও প্রিয়া তুমি কোথায়’-এর মাধ্যমে ব্যাপক পরিচিতি ও জনপ্রিয়তা লাভ করেন।
জনপ্রিয় এই শিল্পী কুমিল্লা জেলায় ১৯৭২ সালের ২৫ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। পাঁচ ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তিনি ষষ্ঠ। তিনি সালমা মিতুকে বিয়ে করেন। তাদের রণ এবং রুদ্র নামে দুই সন্তান রয়েছে।
২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত পরপর ছয় বছর অ্যালবাম বিক্রির দিক থেকে শীর্ষে ছিলেন আসিফ। তার প্রথম অ্যালবাম ৫৫ লাখ কপি বিক্রি হয়েছিল, যা অডিও ইতিহাসে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ।
ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন:
অনলাইন ডেস্ক:
বাংলাগানের যুবরাজ আসিফ আকবরকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় তার স্ত্রী বেগম সালমা আসিফ বলেছেন, তার স্বামীকে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসিফ আকবর ষড়যন্ত্রের শিকার। পূর্ব পরিকল্পিতভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করতেই আসিফ আকবরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বেগম সালমা আসিফ আজ বুধবার সকালে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আসিফ আকবরের বিরুদ্ধে একটি স্বার্থান্বেষী মহল ষড়যন্ত্র করে আসছিল। যার ফলশ্রুতিতে তার বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় তথ্য প্রযুক্তি আইনে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়।
তিনি আরও বলেন, আসিফ আকবর সব সময় সঙ্গীত জগতের শিল্পী, গীতিকার, সুরকার ও কলাকুশলীদের অধিকার আদায়ে লড়াই করে আসছেন। কিন্তু স্বার্থান্বেষী মহল তার এই আন্দোলনকে বন্ধ করার জন্য শফিক তুহিনকে দিয়ে মিথ্যা ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দায়ের করেন। আমি এই মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
অনলাইন ডেস্ক:
বাংলা গানের যুবরাজ খ্যাত জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী আসিফ আকবরকে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে দায়ের করা একটি মামলায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) একটি টিম এফডিসির কাছে তার অফিস থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারের পর থেকেই এই শিল্পীর অসংখ্য শুভাকাঙ্ক্ষী তার মুক্তির দাবি জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে পোস্ট করেছেন।
আসিফ আকবরের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ ‘আসিফ’ থেকে জানানো হয়, ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় আসিফ আকবরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা তার আশু মুক্তি দাবি করছি।
জনপ্রিয় শিল্পী ও সঙ্গীত পরিচালক জুয়েল মোর্শেদ ফেসবুকে লিখেছেন, আসিফ আকবর-এর উপকার নেন নাই এমন কথা খোদ তার বিরুদ্ধে মামলাকারী পর্যন্ত বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবেন না। আমাদের অনেকেরই পায়ের তলার মাটিটা পর্যন্ত এই তথাকথিত মাতাল এর অবদান। আমাদেরকে ক্ষমা করুন আসিফ ভাই…।
সাংবাদিক রেজাউর রহমান রিজভী লিখেছেন, আসিফ আকবর যাদের জন্য অনেক করেছেন, তারাই আজ তার সবচেয়ে বড় ক্ষতি করলো। একজন শফিক তুহিনের গান না গাইলে আসিফের কিছু যায় আসে না। বরং আসিফের গানে শফিক তুহিন গংদের নাম হয়, খ্যাতি বাড়ে। তাই শিল্পীদের প্রতি অনুরোধ, কাছের মানুষ ও দূরের মানুষটিকে চিনতে শিখুন। যাদের সঙ্গে অহরহ খাতির করছেন, সেই মানুষটিই যখন ক্ষতির কারণ হয়, তখন আফসোস ছাড়া আর কিছুই করার থাকে না।
নাট্যনির্মাতা আফজাল হোসেন মুন্না লিখেছেন, আসিফ আকবর অন্যের হক মেরে খাইলে তার বিরুদ্ধে কেস তো হতেই পারে। তিনি গ্রেপ্তারও হতে পারেন। কিন্তু ৫৭ ধারা কেন? শিল্পী সমাজেই যদি ৫৭-এর চাষ করা হয় এর চাইতে দুঃখজনক আর কিছু হতে পারে না। অথচ শিল্পীদের অবস্থান এই ধরনের আইনের বিপরীতে হওয়া উচিত ছিল। দিস ইজ এলার্মিং, নট এ গুড সাইন এট অল!!
জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী রাফাত লিখেছেন, আসিফ আকবরকে গ্রেপ্তার-এর তীব্র নিন্দা জানাই।সুরকার ও কণ্ঠশিল্পী শফিক তুহিনের দায়ের করা তেজগাঁও থানার একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলা নম্বর ১৪। আজ বুধবার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে সোপর্দ করা হবে তাকে।
অনলাইন ডেস্ক:
বাংলা গানের যুবরাজ আসিফ আকবরকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় দেশ-বিদেশ থেকে নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় তুলেছেন লাখো-কোটি আসিফ ভক্তরা। তার গ্রেপ্তারের খবর পাওয়া মাত্রই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোয় নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। আসিফ আকবরের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভেরও খবর পাওয়া গেছে।
আসিফ ভক্তরা অবিলম্বে তার নি:শর্ত মুক্তির দাবি জানিয়েছেন। এ সংক্রান্ত নানা স্টাটাসে আজ সকালেই ভরে গেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের পাতা।
আব্দুল কাদের নামে এক আসিফ আকবর ভক্ত লিখেছেন, জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা আসিফ ভাইকে গ্রেফতার করা মানে বাংলা সংগীতকে গ্রেফতার করা।আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং মুক্তি দাবী করছি।যে বা যারা এর ষড়যন্ত্রকারী তাদের সংগীত অঙ্গণ থেকে বয়কট করা হোক।
মুশফিক রানা নামে আরেকজন লিখেছেন, প্রতিহিংসার মামলায় বাংলা সঙ্গীতের যুবরাজ জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবরকে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। অবিলম্বে সবার প্রিয় স্পষ্টভাষী এই গুণী শিল্পীর নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি।
Rashed Shak নামে আরেকজন লিখেছেন, আসিফ ভাইকে আটকে রাখা মানে,, গোটা শিল্পীদের সম্মানকে আটকে রাখা,,
আসিফ ভাইকে আটকে রাখা মানে সততাকে আটকে রাখা,,আসিফ ভাইকে আটকে রাখা জনপ্রিয়তাকে আটকে রাখা,,
যে বা যারাই আসিফ ভাইয়ার জনপ্রিয়তা নষ্ট করার চেষ্টা করছেন, তাদেরকে উদ্দেশ্য করে বলছি,
মিথ্যা মামলা দিয়ে আসিফ ভাইকে থামিয়ে রাখা যাবে না।
অনলাইন ডেস্ক:
জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী বাংলা গানের যুবরাজ খ্যাত আসিফ আকবরকে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে দায়ের করা একটি মামলায় গ্রেফতারের খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদের ঝড় হয়েছে। দেশজুড়ে রয়েছে অগণিত ভক্ত। তাদের মিথ্যা ও যড়যন্ত্রমূলক মামলা দিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রফিকুল ইসলাম রফিক বলেন, গ্রেফতারের তিব্রনিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং অনতিবিলম্ব নিঃসর্ত মুক্তিচাই। সাইফুল ইসলাম বলেন, আসিফ ভাইয়াকে গ্রেফতারের তিব্র নিন্দা জানাচ্ছি,অবিলম্বে তাকে মুক্তি দেওয়া হোক। সালাউদ্দিন জানান, আসিফ আকবরের মুক্তি চাই।বেশি কথা শুনতে চাই না। সংগীত জগতে সুপার হিরো।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে সিআইডির একটি দল চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (এফডিসি) সংলগ্ন নিজ স্টুডিও থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (এসপি) মোল্যা নজরুল ইসলাম জানান, তেজগাঁও থানায় সুরকার ও কণ্ঠশিল্পী শফিক তুহিনের করা একটি মামলায় আসিফকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে আদালতে হাজির করা হবে।
এজাহারে শফিক তুহিন অভিযোগ করেছেন, গত ১ জুন আনুমানিক রাত ৯টার দিকে চ্যানেল ২৪-এর সার্চ লাইট নামের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন, আসিফ আকবর তার অনুমতি ছাড়াই তার সংগীতকর্মসহ অন্যান্য গীতিকার, সুরকার ও শিল্পীদের ৬১৭টি গান সবার অজান্তে বিক্রি করেছে। গানগুলো ডিজিটাল রূপান্তরের মাধ্যমে ট্রু-টিউন, ওয়াপ-২, রিংটোন, পিআরবিটি, ফুলট্রেক, ওয়াল পেপার, অ্যানিমেশন, থ্রি-জি কন্টেন্ট ইত্যাদি হিসেবে বাণিজ্যিক ব্যবহার করে অসাধুভাবে ও প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল অর্থ উপার্জন করেছে।
বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করে জানতে পারেন, আসিফ আকবর আর্ব এন্টারটেইনমেন্টের চেয়ারম্যান হিসেবে অন মোবাইল প্রা. লি. কনটেন্ট প্রোভাইডার, নেক্সনেট লি. গাক মিডিয়া বাংলাদেশ লি. ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে গানগুলো ডিজিটাল রূপান্তরের মাধ্যমে ট্রু-টিউন, ওয়াপ-২, রিংটোন, পিআরবিটি, ফুলট্রেক, ওয়াল পেপার, অ্যানিমেশন, থ্রি-জি কন্টেন্ট ইত্যাদি হিসেবে বাণিজ্যিক ব্যবহার করে অসাধুভাবে ও প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল অর্থ উপার্জন করেছে। ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি গত ২ জুন রাত ২টা ২২ মিনিটে তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে অনুমোদন ছাড়া গান বিক্রির এই ঘটনা উল্লেখ করে একটি পোস্ট দেন। তার ওই পোস্টের নিচে আসিফ আকবর নিজের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে অশালীন মন্তব্য ও হুমকি দেন। পরের দিন ৫৪ মিনিট ৩৪ সেকেন্ড লাইভ ভিডিওর ২২ মিনিট থেকে তার বিরুদ্ধে অবমাননাকর, অশালীন ও মিথ্যা-বানোয়াট বক্তব্য দেন। ভিডিওতে আসিফ আকবর তাকে (শফিক তুহিন) শায়েস্তা করবেন। এতে তার (সফিক তুহিন) মানহানি হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক:
প্রত্যাশিত পদ না পাওয়ার জেরে কুমিল্লায় বিএনপির ১১ জন ছাত্রদল নেতারা পদত্যাগ করেছেন। এ ঘটনায় তারা দলের অফিসে চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করেছেন।
মঙ্গলবার (৫ জুন) রাত সোয়া ৯টায় এই নেতারা পদত্যাগ করেন। এর আগে বিকেলে কমিটি ঘোষণা করা হয়।
১৫ সদস্য বিশিষ্ট কুমিল্লা মহানগর ও ১১ সদস্য বিশিষ্ট দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের আংশিক কমিটি গঠনের পরপরই এ ঘটনা ঘটে।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) মেয়র মনিরুল হক সাক্কু সমর্থিত ছয়জন ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাজী আমিন উর রশীদ ইয়াছিন গ্রুপ সমর্থিত পাঁচ জনসহ ১১ জন প্রত্যাশিত পদ না পাওয়ায় নগরীর কান্দিরপাড়ের জেলা বিএনপির পার্টি অফিসে সাংবাদিক সম্মেলন করে পদত্যাগ করেন। পরে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা পার্টি অফিসের চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করেন।
কুসিক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু গ্রুপের যারা পদত্যাগ করেছেন তারা হলেন- মহানগর ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আসিফ ইকবাল ফারিয়াল ও সাংগাঠনিক সম্পাদক শরিফ উদ্দিন বাহার এবং কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি ওমর ফারুক সার্কিট, সহ-সভাপতি আরিফুর রহমান সুমন, জামাল হোসেন নয়ন ও সাংগাঠনিক সম্পাদক মো. সাইফুদ্দিন।
এছাড়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাজী আমিন উর রশীদ ইয়াছিন গ্রুপ সমর্থিত ৫ জন প্রত্যাশিত পদ না পাওয়ায় পদত্যাগ করেছেন। তারা হলেন- মহানগর ছাত্রদলের সহ-সভাপতি তুষার পাল, সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন শিবলু এবং জেলা দক্ষিণ ছাত্রদলের সহ-সভাপতি শরিফুল ইসলাম সওদাগর, যুগ্ম সম্পাদক রায়হান চৌধুরী ও যুগ্ম সম্পাদক ইরফানুল হক বাবু।
এ বিষয়ে মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা টিপু জানান, মেধাবীদের বাদ দিয়ে অযোগ্য ব্যক্তিদের দিয়ে দু’টি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাই আমাদের ছাত্রনেতারা পদত্যাগ করেছেন।
(আক্কাস আল মাহমুদ হৃদয়, বুড়িচং)
কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার আনন্দপুর এলাকায় আশ্রয়ন প্রকল্পের তরুনীকে তিনজন মিলে গণধর্ষনে ৫ মাসের অন্তঃসত্ত¦ার অভিযোগে ২ জন আটক করেছে বুড়িচং থানার পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জেলার বুড়িচং উপজেলার বাকশীমূল ইউনিয়নের আনন্দপুর সীমান্তবর্তী এলাকায় আশ্রয় প্রকল্পের সুরুজ মিয়ার মেয়ে লিমা আক্তার (১২) (ছদ্ম নাম) কে একই এলাকার সহিদ মিয়ার ছেলে শরিফুল ইসলাম (২৮), হামিদ মিয়ার ছেলে মো: জামান (২৭) ও আলী আশ্রাফের ছেলে হারিজ মিয়া (৩২) এর কর্তৃক প্রায় ৫ মাস আগে ধর্ষন হয়।
ধর্ষনে অন্তঃসত্তা হওয়ার খবরটি ধর্ষিতার পরিবার জেনে যায়। পরে এলাকায় জানা যানি হয়ে গেলে কিছু অসাধু লোকের মাধ্যমে ১ লক্ষ টাকার বিনিময়ে সমাধান করার চেষ্টা চলে। এতে ওই অসাধু লোকেরা টাকা আদায় করতে ব্যর্থ হয়ে যায়। এ বিষয়টি স্থানীয় মেম্বার, চেয়ারম্যানদের অবগত করলে পুলিশকে খবর দিলে ৫ জুন মঙ্গলবার সকালে শরিফুল ইসলাম ও জামান কে আটক করে নিয়ে আসে থানায়।
ধর্ষিতার ভাই এলিম জানান, আমরা বুড়িচং উপজেলার হরিপুর গ্রাম থেকে প্রায় ২০/২২ বছর আগে জায়গা সম্পত্তি না থাকাতে আমরা আনন্দপুর আশ্রয়ন প্রকল্পে এসে আশ্রয় নেই। ৩ ভাইয়ের মধ্যে ১ বোন হল লিমা আক্তার অভাব অনটনের কারণে স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করার পর তাকে আর পড়াতে পারিনি। ধর্ষনের বিষয়টি আমাদের পরিবার এবং বাজার দোকানপাটে আলোচনা হওয়ার পর ডাক্তারের কাছে নেওয়ার পর নিশ্চিত হয়েছি।
ধর্ষনের সাথে জড়িত কে বা কারা লিমা আক্তারকে প্রশ্ন করলে তাদের কথা বলেন। তারা বিভিন্ন কৌশল প্রয়োগ করে আমার বোনকে ধর্ষন করেছে। এই বিষয়টি ২/৩ দিন ধরে টাকার বিনিময়ে সমাধান হওয়ার চেষ্টা চলছিল। কে জানি পুলিশ কে খবর দিলে পুলিশ ২ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। একজন পলাতক রয়েছে। আমরা গরীব মানুষ রিক্সা চালিয়ে দিনে এনে দিনে খাই। আমরা প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু বিচার চাই।
এই বিষয়ে বুড়িচং থানার ওসি মনোজ কুমার দে নিশ্চিত করে বলেন, আমরা অন্তঃসত্তা অভিযোগে ২ জনকে আটক করেছি এবং আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন চলছে। ( ফাইল ফটো)