অনলাইন ডেস্ক:
রাজধানীতে চলন্ত গাড়িতে ধর্ষণচেষ্টার ঘটনায় ১৫ ঘণ্টা পর ভুক্তভোগী তরুণী থানায় গিয়ে মামলা দায়ের করেছে। পুলিশও তাদের হেফাজতে থাকা রনিকে গ্রেফতার দেখিয়েছে।
তবে ধর্ষনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে রনি। তার দাবি ঐ দুই তরুনী যৌনকর্মী ছিল। মাত্রাতিরিক্ত মদ্যপান করায় বেসামাল ছিলেন তিনি। তার এই অবস্থার সুযোগ নিয়ে তার গাড়ির ড্রাইভার সংসদ ভবনসংলগ্ন খেজুর বাগান এলাকা থেকে ‘দুই যৌনকর্মীকে’ গাড়িতে তোলেন।
উল্লেখ্য, শনিবার রাতে কলেজগেট সিগন্যালে মদ্যপ বিবস্ত্র রনিকে আটক করে জনতা। ওই সময় প্রাইভেটকারের (ঢাকা মেট্রো- গ ২৯-৫৪১৪) ভেতরে এক তরুণীকে ধর্ষণের চেষ্টা করছিলেন রনি। তার হাত থেকে বাঁচতে তরুণী ধস্তাধস্তি করছিলেন।
মেয়েটিকে উদ্ধারকর্তা তরুণদের একজন ভিডিও করে সেটি ফেসবুকে ছড়িয়েছেন। আর ঘটনার বর্ণনাও তিনি দিয়েছেন।
ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি ভিডিও সহ স্ট্যাটাসে লিখেন, ‘আজ অফিস থেকে ফেরার পথে মোহাম্মদপুর, কলেজ গেট সিগনালে ঠিক আমার সামনের গাড়িটাতে লক্ষ্য করে দেখি ভেতরে একটি ছেলে ও একটি মেয়ে ধস্তা-ধস্তি করছে এবং গাড়ির ড্রাইভার এর গাড়ি চালানোর ভঙ্গিমা দেখে মনে হচ্ছিলো যে সে গাড়িটা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে । তবে দুর্ভাগ্য তাদের, রাস্তায় তীব্র জ্যাম থাকায় গাড়িটি বেশি দূর যেতে পারেনি।
এমতাবস্তায় আমি আমার গাড়ি থেকে নেমে সামনে যেতে যেতে দেখি আরো কিছু লোক গাড়িটির দিকে লক্ষ্য করে এগুচ্ছে । তখনও ভাবতে পারিনি এতটা নিচ ও নিকৃষ্ট ঘটনার চাক্ষুষ প্রমাণ হতে যাচ্ছি। আমি গাড়িটির কাচ্ছে যেতেই দেখি ছেলেটি মেয়েটিকে ধর্ষণ করছে। গাড়ির দরজা খুলে প্রথমে আমরা মেয়েটিকে বাইরে বের করে নিয়ে আসি পরে অপর পাশের দরজা খুলতেই দেখি অতিপরিচিত সেই ছেলেটি অর্থাৎ বড়লোক বাবার বখে যাওয়া নষ্ট সন্তান। ছেলেটিকে বাইরে বের করতে গিয়ে সহ্য করতে হয়েছে বাজে মদের গন্ধ। আর নিজেকে সামলাতে পারলাম না, অতঃপর বসিয়ে দিলাম ওই জানোয়ারের কানের নিচে আমার বাম হাতের পাঁচ আংগুলের চিহ্ন। এরপর ক্ষুব্ধ জনতা চিলের মতো করে আমার কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে তাদের বাকি দায়িত্ব পালন করলো। পরে মেয়েটির কাছ থেকে জানতে পারলাম, ওই নর-পিচাশটা মেয়েটিকে রাস্তা থেকে জোর করে তুলে নিয়ে এসেছে।’
Leave a Reply