1. jagocomilla24@gmail.com : jago comilla :
  2. weekybibarton@gmail.com : Amit Mazumder : Amit Mazumder
  3. sufian3500@gmaill.com : sufian Rasel : sufian Rasel
  4. sujhon2011@gmail.com : sujhon :
শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৪২ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজঃ
পথশিশুকে অপহরণ করে কুমিল্লায় এনে ধর্ষণ ! আটক ২ বরুড়ায় শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে আইন শৃঙ্খলার প্রস্তুতি সভা কুমিল্লায় গার্ডিয়ান লাইফ ইন্সুরেন্সের ১১ বছর পদার্পণ উদযাপন কুমিল্লা মডার্ণ হসপিটালের আয়োজনে বিশ্ব হার্ট দিবস পালিত, ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প চৌদ্দগ্রামে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় অটোরিকশা চালক নিহত ছাত্র আন্দোলনে ১৫৮১ জন নিহত হয়েছেন- স্বাস্থ্য বিষয়ক উপ-কমিটি ভারতে পালানোর সময় এমপি বাহারের সহযোগী ‘টাইগার টিপু’ গ্রেফতার রাসুল (সাঃ) কে নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে কুমিল্লায় বিক্ষোভ মিছিল কুমিল্লায় ঠিকাদার মওদুদ শুভ্র’র উপর হামলা,  দ্রুত বিচার আইনে মামলা টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট থেকে অবসরের ঘোষণা দিলেন  সাকিব

কয়েক মিনিটের ঝড়ে লণ্ডভণ্ড কুমিল্লা !

  • প্রকাশ কালঃ বৃহস্পতিবার, ১০ মে, ২০১৮
  • ৩০০

( জাগো কুমিল্লা.কম)
হঠাৎ করে মেঘ, বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ায় লণ্ডভণ্ড কুমিল্লা। দুপুর ১২ টার দিক থেকে মেঘে ঢাকতে শুরু করে কুমিল্লার আকাশ। মুহূর্তে সেই মেঘ পরিণত হয় কালো বজ্রমেঘে। দিনেই রাতের মতো কালো আঁধার নেমে আসে। সাথে ঝড়ো হাওয়া। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এখনও কোন ক্ষয়-ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

বৃহস্পতিবার (১০ মে)  ১২ টার ২০মিনিটের দিকে কালো আকাশ ভেঙে নামে বৃষ্টি। সঙ্গে শুরু হয়ে ঝড়ো হাওয়া। ঝড়ো হাওয়ায় কুমিল্লা বিভিন্ন এলাকার গাছ ভেঙ্গে পড়েছে রাস্তায়। কোথাও কোথাও রাস্তায় গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। সাড়ে ১২ টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত  ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে।

এদিকে হঠাৎ বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ মানুষ। বৃষ্টির কবলে পড়া মানুষদের ছাতা উল্টিয়ে ফেলতে দেখা গেছে কুমিল্লার কান্দিরপাড়।

কুমিল্লায় অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে প্রবাসীর স্ত্রীসহ ৬ নারী পুরুষ আটক

লাকসাম প্রতিনিধি:
লাকসামে পতিতাবৃত্তির অভিযোগে এক প্রবাসীর স্ত্রীসহ ৬ নারী পুরুষকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে শহরের বাইপাস নশরতপুর এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। বুধবার আটককৃতদের কুমিল্লা আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।

আটককৃতরা হলো বাগেরহাট জেলার মোল্লার হাটের খান আতাউর রহমানের মেয়ে জান্নাতুল ফেরদাউস (২৪), জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলার মাতপুর গ্রামের লিটন মিয়ার স্ত্রী হাসনা বেগম (২০), সদর দক্ষিণ উপজেলার কালরা গ্রামের প্রবাসী হারুন মিয়ার স্ত্রী সাহিদা বেগম (৪০), নাঙ্গলকোট উপজেলার আদ্রা গ্রামের মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে মিজানুর রহমান (৪২), একই উপজেলার পরিকোট গ্রামের মৃত আলী হোসেনের ছেলে শাহাবুদ্দীন (৪৮) এবং লাকসাম উপজেলার কাদরা গ্রামের মৃত আবদুল কাদেরের ছেলে মোঃ সাফায়েত হোসেন (২৪)।

জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতে শহরের বাইপাস নশরতপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে থেকে পুলিশ ওই ৩নারী ও ৩পুরুষকে আটক করে।

লাকসাম থানার এস আই জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে অসামাজিক কার্যকালঅপের অভিযোগে মামলা দায়ের করা জয়েছে। বুধবার আটককৃতদের কুমিল্লা জেল হাজতে প্রেরন করা হয়।

মিসকল থেকে পরকীয়া শুরু, হত্যায় সমাপ্তি

অনলাইন ডেস্ক:
মুঠোফোনে পরিচয় হওয়ার পরে পরকীয়ার টানে প্রথম স্বামীর সংসার ছেড়ে বরিশালের গৌরনদী পৌর এলাকার গেরাকুল মহল্লায় জাহিদুর রহমান মৃধার সঙ্গে সংসার বেঁধেছিলেন এক সন্তানের জননী নাদিয়া বেগম (২০)।

পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে এক বছর সংসার করে অবশেষে দ্বিতীয় স্বামী জাহিদুরের নির্যাতনের শিকার হয়ে সোমবার রাতে মারা গেছে নাদিয়া বেগম। মঙ্গলবার সকালে হাসপাতাল থেকে নাদিয়া বেগমের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

মিসকল থেকে পরকীয়া শুরু, হত্যায় সমাপ্তি

মিসকল থেকে পরকীয়া শুরু, হত্যায় সমাপ্তি

নাদিয়ার স্বজনরা জানান, প্রায় ৩ বছর আগে মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলার চরপালরদী গ্রামের কবির আকনের মেয়ে নাদিয়ার সঙ্গে আগৈলঝাড়া উপজেলার মো. মনির হোসেনের (৩০) সামাজিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের ঘরে একটি ছেলে সন্তান জন্ম নেয়। স্বামী মনির হোসেন ঢাকায় থাকা সুবাদে নাদিয়া বেগম সন্তানকে নিয়ে বাড়িতে বসবাস করতেন। দেড় বছর আগে মুঠোফোনের মিস কলের সূত্র ধরে নাদিয়া বেগমের পরিচয় হয় গৌরনদী পৌর এলাকার গেরাকুল মহল্লার মৃত মো. সেলিম মৃধার ছেলে জাহিদুর রহমান মৃধার (২১) সঙ্গে। ফোনে কথা বলতে বলতে এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরকীয়ার এক পর্যায়ে গত বছর (২০১৭) এপ্রিল মাসে নাদিয়া স্বামীর ঘর ছেড়ে পরকীয়া প্রেমিক জাহিদুরকে বিয়ে করে তার সঙ্গে সংসার শুরু করেন।

নিহত নাদিয়ার মা আলেয়া বেগম অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়ে নাদিয়ার দ্বিতীয় স্বামী জাহিদুর রহমান একজন মাদক সেবি। সে মাদক সেবন করে প্রায়ই নাদিয়াকে মারধর করতো। নাদিয়া বিষয়টি পূর্বেই তাকে জানান। গত সোমবার রাতে নাদিয়ার সঙ্গে স্বামী জাহিদুরের ঝগড়াঝাটি হয়। এক পর্যায়ে জাহিদুর নাদিয়াকে পিটিয়ে হত্যা করে মৃতদেহ ঘরে ঝুলিয়ে রাখে। পরবর্তীতে মঙ্গলবার সকালে নাদিয়ার লাশ হাসপাতালে রেখে আমাকে আত্মহত্যার কথা জানিয়ে খবর দেয়। আমি এসে নাদিয়ার গায়ে নির্যাতনের চিহ্ন দেখতে পাই। আমার কন্যা নাদিয়াকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। অভিযোগের ব্যাপারে জাহিদুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া গেছে। এলাকার লোকজন জানান, হাসপাতাল থেকে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করার পর থেকে জাহিদুর রহমান গা ঢাকা দিয়েছে।

গৌরনদী মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ইকবাল কবির জানান, অভিযোগ পেয়ে সকালে হাসপাতাল থেকে গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে থানায় ইউডি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রির্পোট হাতে পাওয়ার পরে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে হত্যা মামলা রুজু করা হবে।

ছাত্রীদের ফ্লাটে নেয়া সেই শিক্ষকের অপকর্মের বর্ণনা দিলো ছাত্রী

অনলাইন ডেস্ক:
মাদারীপুরের শিবচর উমেদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের পর ভিডিও ধারণ করে তিন বছর ধরে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠা সেই শিক্ষক রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ওই ছাত্রীর মা।

সোমবার রাতে শিবচর থানায় মামলাটি করা হয়। মামলার এক মাত্র আসামি শিক্ষক রবিউল গত দেড় মাস ধরে পলাতক। মায়ের সঙ্গে থানায় মামলা করতে এসে বারবার কান্নায় ভেঙে পড়ে ওই ছাত্রী। কান্না করতে করতে পুলিশের কাছে শিক্ষক রবিউলের অপকর্মের বর্ণনা দেয় ছাত্রী।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিবচর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেন। তিনি বলেন, ওই ছাত্রীকে নিয়ে তার মা থানায় আসেন। তখন মেয়েটি কান্না করছিল। কান্নারত অবস্থায় ওই ছাত্রী রবিউলের নানা অপকর্মের বর্ণনা দেয়। পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) শাজাহান মিয়া এবং আমি ওই ছাত্রীকে বারবার স্বাভাবিক করার চেষ্টা করি। রবিউলকে গ্রেফতার ও শাস্তির আশ্বাস দিই। তবুও কিছুতেই থামছিল না মেয়েটির কান্না। অনেক বুঝিয়ে-শুনিয়ে তাদের বাড়ি পাঠাই।

ওসি বলেন, শিক্ষক রবিউলের বিরুদ্ধে মেয়েটি যে তথ্য দিয়েছে তা লোমহর্ষক। প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণের পর ভিডিও ধারণ করে তিন বছর ধরে ওই ছাত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেছে রবিউল। এছাড়া আরও দুই ছাত্রী অভিযোগ দিয়েছে। মামলা হয়েছে। মামলা ও স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে রবিউলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছি আমরা। তাকে ধরতে ইতোমধ্যে আমাদের অভিযান শুরু হয়েছে।

ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর দাবি, পুলিশ নিজে থেকেই আমাদের বাড়ি ও স্কুলে গিয়ে ঘটনার খোঁজ-খবর নিয়েছে। আমি রবিউলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

মামলার বাদী ছাত্রীর মা বলেন, শিক্ষক রবিউল আমার মেয়েসহ অনেক মেয়ের জীবন নষ্ট করে দিয়েছে। তাকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হোক। আমরা তার শাস্তি চাই।প্রসঙ্গত, উপজেলার উমেদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রবিউল ইসলাম ৫ম ও ৮ম শ্রেণির মেধাবী ছাত্রীদের দেখভাল করতো। সেইসঙ্গে ছাত্রীদের ফ্ল্যাটে নিয়ে দাওয়াত খাওয়াতো ও পড়াতো।

এর মধ্যে বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির এক ছাত্রীর ওপর নজর পড়ে তার। ওই ছাত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে রবিউল। এরপর তাকেও ফ্ল্যাটে নিয়ে দাওয়াত খাওয়ায় ১ সন্তানের জনক রবিউল।স্ত্রী অন্য উপজেলায় চাকরি করার সুবাদে রবিউলের ফ্ল্যাটে নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতো সবাই। এর মধ্যে একদিন ৭ম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের পর ভিডিও ধারণ করে রবিউল।

এরপর শুরু হয় ব্ল্যাকমেইল। ধর্ষণের ওই ভিডিও ফাঁস করে দেয়ার ভয় দেখিয়ে একাধিক বার ধর্ষণ করা হয় ওই ছাত্রীকে। এভাবে চলে তিন বছর। এর মধ্যে একাধিকবার ছাত্রীর গর্ভপাত ঘটায় রবিউল।কিছুদিন আগে অন্য ছাত্রীদের ফ্ল্যাটে ডেকে নেয়া দেখে আপত্তি জানায় ওই ছাত্রী। একপর্যায়ে ছাত্রী জানতে পারে, বিদ্যালয়ের আরও কয়েকজন ছাত্রীকে একই ধরনের কাজে বাধ্য করেছে রবিউল। তাদের সঙ্গেও রবিউলের অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। বিষয়টি সবাইকে জানানোর কথা বললে ওই ছাত্রীকে আবারও ধর্ষণ করে রবিউল। এভাবে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রবিউল ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে।

অবশেষে উপায় না পেয়ে রবিউলের বিচার চেয়ে গত ১৩ মার্চ ওই ছাত্রী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটি বরাবর লিখিত অভিযোগ দেয়। এরপরই একের পর এক বের হয়ে আসে রবিউলের অপকর্মের তথ্য।

৮ম, ৯ম ও দশম শ্রেণির আরও তিন ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে নাম প্রকাশে না করার শর্তে শিক্ষক রবিউলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয় বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির কাছে। সেইসঙ্গে একাধিক ছাত্রীর সঙ্গে রবিউলের আপত্তিকর ছবি অডিও ও ভিডিও দেয় তারা।

এসব অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও সহকারী শিক্ষকরা। তবে অভিযোগ ওঠার পরই বিদ্যালয় থেকে ছুটি না নিয়ে পালিয়ে যায় শিক্ষক রবিউল। অবশেষে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। সূত্র: জাগোনিউজ

 

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুনঃ

© All rights reserved © 2024 Jago Comilla
Theme Customized By BreakingNews