(অমিত মজুমদার,কুমিল্লা)
ভাষা-সংস্কৃতি, ধর্ম-বর্ণসহ নানা সংস্কার ও ভেদাভেদ ভুলে শুধু প্রেমের টানে বাংলাদেশে ছুটে এসেছেন অনেক বিদেশি তরুণী। ঘর ছেড়েছেন ভালোবাসার টানে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পরিচয়ে হাজার হাজার কিলোমিটার দূর থেকে উড়ে এসেছেন বাংলাদেশের গ্রামেগঞ্জে। ভালোবাসার টানে ঘর ছাড়ার ঘটনা সমাজে অহরহ দেখা গেলেও দেশ ছাড়ার ঘটনা এই আধুনিক যুগেও কিছুটা বিরল।
এমনটি একটি ঘটনা ঘটেছে কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের দোখাইয়া গ্রামে। কুমিল্লার ছেলে প্রবাসী হিরুর মিয়ার প্রেমে পাগল হয়ে ছুটে এসেছেন ব্রাজিলের তরুণী। অতপর তার হাত ধরে কুমিল্লায় চলে আসেন এই তরুণী। বাংলাদেশ আর ব্রাজিলের ভৌগোলিক দূরত্ব ঘুচিয়ে, প্রেমের সাগরে ডুবে যুগলবন্দী হয়েছেন তারা। হিরু মিয়া উক্ত গ্রামের বন্দে আলী হাজী বাড়ির আবুল খায়েরর ছেলে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, হিরু মিয়া বাহরাইন প্রবাসী ছিলেন। বিদেশ থাকা কালীন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের পরিচয় হয়। সে পরিচয় এক সময় প্রেমে পরিণত হয়। ওখানেই ওরা প্রেমে বন্ধনে আবদ্ধ ছিল প্রায় ৬ বছর। এরপর এই মাসের প্রথম দিকে ছেলে ও ছেলের পরিবারের ইচ্ছায়, ঐ ব্রাজিলীয়ান তরণী ও তার বাবা এবং ছেলে দেশে আসে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে গোবিন্দপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের নিজাম উদ্দিন শামীম জাগো কুমিল্লা ডট কমকে বলেন, বিষয়টি প্রথমে ফেসবুকের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম হিরু মিয়া প্রবাসে থাকাকালীন ব্রাজিলের তরুণীর সাথে ফেসবুকে সম্পর্ক তৈরি হয়। পরবর্তী হিরু মিয়ার অনুরোধে বাবাকে নিয়ে বাংলাদেশে আসেন ঐ তরুনী। ঢাকার গুলশানে তাদের বিয়ে হয়। রবিবার লাকসামে তার নিজ গ্রামে বিবাহ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এদিকে কুমিল্লার লাকসামে পরিবারের অতিথেয়তা তাকে মুগ্ধ করেছে হিরুর ব্রাজিলিয়ান বউ ও শ্বশুরকে । রিক্সায় ঘুরে বেড়িয়েছেন গ্রামীণ জনপদ। ভালো লেগেছে বাঙালি সংস্কৃতি। বাংলা শেখার চেষ্টা করেছেন। ভিনদেশি এ ললনার আচরণে মুগ্ধ প্রেমিক হিরু মিয়ার পরিবার। গ্রামের লোকজনও মহাখুশি।
Leave a Reply