অনলাইন ডেস্ক:
টাকা চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই বন্ধু বাড়ি থেকে পালিয়ে সুইসাইড নোট লিখে আত্মহত্যা করেছে। বৃহস্পতিবার (২১ জুন) এমনি ঘটনা ঘটেছে ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার ভায়না ইউনিয়নের বাহাদপুর গ্রামে।
নিহত রিপন জেলার হরিণাকুন্ডু উপজেলার ভায়না ইউনিয়নের বাহাদপুর গ্রামের জুল বক্সের ছেলে আর আওয়াল একই গ্রামের বিশারত মণ্ডলের ছেলে। রিপন জোড়াদাহ কলেজ থেকে দুই বছর আগে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেয়। তখন পরীক্ষায় বহিষ্কৃত হয় সে। এরপর আর পড়াশুনা করেনি। আওয়াল দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশুনা করেছে। এরপর কৃষি কাজ করতো। দুই বন্ধু এক সঙ্গেই থাকতো বেশিরভাগ সময়।
ঝিনাইদহের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (শৈলকুপা সার্কেল) তারেক আল মেহেদি জানান, সকালে বাহাদুরপুর গ্রামের স্কুলের পাশে মাঠে দুই যুবকের লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে কীটনাশকের ২টি বোতল ও সুইসাইড নোট পাওয়া গেছে। লাশ দুইটির মুখ থেকে সাদা ফেনা বের হচ্ছে। কিভাবে তাদের মৃত্যু হয়েছে ময়না তদন্তের পর জানা যাবে।
সুইসাইড নোটে রিপন লিখে, ‘মা আব্বা তোমাদের খুব জালাইছি, আমাকে মাফ করে দিও, টাকা আমি নিছিলাম ভুল করে, ইয়ারকি করতে যায়ে চোর হয়ে গেলাম, তোমরা সবাই আমাকে মাফ করে দিও, বিদায় পৃথিবী’ মেহেদি, রাজন, সবুজ, অপু তোদের সবাইকে আমি খুব ভালোবাসতাম, তোরা আমাক মাফ করে দিস’।
আর আওয়াল লিখে, ‘মা আমার জান, তার কষ্ট আমি আর সজ্য করতে পারলাম না, তাই চলে গেলাম মা তুমি আমাকে খমা করে দিও’ ‘আল্লাহ আমি বড় পাপি বান্দা তোমার, তুমি আমাকে খমা করে দিও, জুলি মুনি তুই ভালো থাকিস, অনেক আদরের বুন তুই আমার।’ একথা লিখে একই সঙ্গে আত্মহত্যা করেছে দুই বন্ধু। বৃহস্পতিবার (২১ জুন) সকালে ওই গ্রামের মাঠ থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
তিনি আরও জানান, বুধবার (২০ জুন) রিপন তার প্রতিবেশী আলমের বাড়ি থেকে টাকা চুরি করে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর রিপন ও আওয়াল বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। এ কারণেই তারা ‘আত্মহত্যা’ করতে পারে বলে ধারনা করছে পুলিশ।
Leave a Reply