শনিবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৪:৩৭ পূর্বাহ্ন

অনলাইন ডেস্ক:

অবৈধভাবে নৌকাযোগে সাগরপথে দালালের মাধ্যমে লিবিয়া হয়ে ইউরোপে যাওয়ার পথে ৭দিনে কয়েক দফায় নৌকা ডুবিতে অন্তত ৩৫ বাংলাদেশি অভিবাসী মারা গেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। এদেরই একজন নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে ফিরে আসা এক বাংলাদেশি এ তথ্য জানান।

ওই ব্যক্তি জানান, গত সপ্তাহে ৭০ জনের বেশি বাংলাদেশিসহ প্রায় ৫০০ যাত্রী নিয়ে ৪টি ট্রলার লিবিয়া থেকে ছেড়ে যাওয়ার পর নিখোঁজ হয়।

এ ঘটনার দু’দিন পর একটি ট্রলার লিবিয়া উপকূলে ফিরে গেলে ৩৫ বাংলাদেশিকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে মধ্যসাগরে ২০ বাংলাদেশির সলিলসমাধি হলেও কূলে এসে প্রাণ হারান বাকি ১৫ জন।

নিহত বাংলাদেশি অভিবাসীদের মধ্যে মৌলভীবাজারের বড়লেখার চান্দগ্রামের ফারুক হোসেন ও বিয়ানীবাজার পৌরসভার ইমন নামের দুই যুবকের পরিচয় ইতোমধ্যে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

এ বিষয়ে লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপলিতে বাংলাদেশের দূতাবাসের শ্রম সচিব আশরাফুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনার কথা তিনি শুনেছেন। তবে এর বেশি কিছু বলতে চাননি তিনি।

ওই ঘটনার পর বেঁচে যাওয়া বাংলাদেশিরা চাইছেন যেন তাদেরকে কোনো ধরনের হয়রানি না করে দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য ব্যবস্থা করা হয়।

গত বছরের আগস্ট মাসের জাতিসংঘের জরিপে দেখা গেছে, আফ্রিকান নারী-পুরুষ ও শিশুরা সবচেয়ে বেশি এমন ঝুকিপূর্ণ যাত্রা করেন। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান ৩ নম্বরে রয়েছে।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, নৌকাডুবির ঘটনায় বিয়ানীবাজার ও বড়লেখার একাধিক তরুণ নিখোঁজ রয়েছেন। নিখোঁজ তরুণদের মধ্যে এমনই একজন হলেন- ইমন।

নিখোঁজ ইমনের ছোট ভাই ঝুমন বলেন, গত তিন মাস আগে তার ভাই ইমন দালালের মাধ্যমে লিবিয়া যান। তাকে ইউরোপে পাঠানোর উদ্দেশ্যে এক দালাল তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা নেয়। পরে ওই দালাল বহু লোকের সঙ্গে ইমনকে নৌকায় করে সাগরপথে ইউরোপ পাঠায়।

ভাইয়ের ভাগ্যে কি ঘটেছে তা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তার পরিবার।

ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন:

 

আরও পড়ুন

%d bloggers like this: