আসসালামু আলাইকুম
আমি সুখি সাখাওয়াত
বলছি ইতালির প্রানের শহর মিলান থেকে।।
আমার দেশ, আমার মানুষ আমার অক্সিজেন। দেশ ভালো থাকলে আমি ভালো থাকি। সারা বিশ্বের প্রায় অর্ধেকের বেশি দেশ গুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে করোনা আতঙ্ক।
ভাইরাস টি প্রথম শুরু হয়েছিলো চীনের উহান শহর থেকে। কিন্তু এরই মধ্যে ইতালি হয়ে উঠেছে লাশের মিছিলের দেশ। ২১ শে ফেব্রুয়ারী এর অাক্রান্ত সংখ্যা ছিলো মাত্র ১৬ জন এবং মৃতের সংখ্যা মাত্র ১ জন। অথচ অাজ ২৭ মার্চ মৃতের সংখ্যা দাড়িয়েছি ৯১৩৪, চিকিৎসাধীন ৬৬৪১৪,
মোট আক্রান্ত ৮৬৪৮৯।।
মাত্র একটি মাসে কি নিষ্ঠুর চিত্র।
ইতালিতে এতো মৃত্যু হচ্ছে আমরা খুব আতঙ্কে আছি, আমার স্বামীর এখনো অফিসে যেতে হয় প্রতিদিন। খুব সচেতনতার সাথে বেঁচি আছি এখনো।
ইতিমধ্যে বাংলাদেশে করোনা রোগী দিনদিন বাড়ছে যা মন আর সামলিয়ে রাখতে পারছিনা। ভয়াবহ অবস্থায় ইতালিতে আছি তারপরেও সবচেয়ে বেশি চিন্তিত দেশ নিয়ে কি যে হবে বাংলাদেশের…!!
ইতালি পরিষ্কার পরিছন্ন দেশ, চিকিৎসা ব্যবস্থায় অনেক উন্নত, কোন অভাব নেই।
কিন্তু আমার দেশের মানুষ অনেক আবেগী এখনো অনেক মানুষ দিনে আনে দিনে খায়। জনসংখ্যাও বেশি।
শুরুতে ভুল ছিলো প্রবাসীদের হোম কোয়ারেন্টাইন না মানা, তারপর নানা অনিয়ম যার শাস্তি হয়তো খুব শীঘ্রই দেখা দিবে।
বাঁচার জন্য অনেক কিছুই করেছেন সারাজীবন এবার বাঁচার জন্য, মাস্ক, গ্লাভস ও টিস্যু ব্যবহার করুন।
হয়তো আপনার আশেপাশের সবাই খুব সচেতন হয়ে গেছে শুধু আপনি বাকি, এটা ঘরে থাকার যুদ্ধ এই যুদ্ধে জয়ী হতে হলে আপনাকে ঘরে থাকতেই হবে।
বাঁচার জন্য অভ্যাস পরিবর্তন করুন,
হাত ধুঁতে হবে বেশি বেশি। হ্যান্ড স্যানিটাইজার হাতে লাগিয়ে রাখতে হবে। পুরো ঘর স্যাভলন দিয়ে মুছতে হবে বারবার ।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ,
কমন জিনিস গুলো সবাই একটি ব্যবহার করা ছেড়ে দিন। (টাওয়াল, পানি খাওয়ার গ্লাস, ইত্যাদি )
সারাক্ষণ মোবাইল, রিমট, টাকা এসব ব্যবহারে যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করুন।
বাঁচতে হলে মানতেই হবে,
রোগ প্রতিরোধের জন্য নিজের শরীর কে যথেষ্ট প্রস্তুত করুন। ভিটামিন সি ও বিভিন্ন সবজি, গরম পানি পান করেন।
আবেগের দিন শেষ, পরিবারের সদস্যদের থেকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন, শিশুদের ও বৃদ্ধদের সাবধানে রাখুন, এটা আপনার দায়িত্ব।
সব শেষে বেশি বেশি নামাজ পরুন, তওবা করুন, একমাত্র আল্লাই পারবে সবাইকে বাঁচাতে।
প্লিজ সতর্ক ও প্রস্তুত হন!! আমাদের জন্য দোয়া করবেন।
Leave a Reply