1. jagocomilla24@gmail.com : jago comilla :
  2. weekybibarton@gmail.com : Amit Mazumder : Amit Mazumder
  3. sufian3500@gmaill.com : sufian Rasel : sufian Rasel
  4. sujhon2011@gmail.com : sujhon :
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৫৩ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজঃ
কুমিল্লার কৃতি সন্তান জাতীয় পতাকার নকশাকার  শিব নারায়ণ দাস আর নেই! যেভাবে ৩১ দিন পর মুক্ত হলো ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ! দলীয় মনোনয়ন না থাকায় উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীর জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে- এলজিআরডি মন্ত্রী সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করুন : প্রধানমন্ত্রী দেবিদ্বারে অপহরণের পর যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ; সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আটক দৈনিক আজকের জীবনের আয়োজনে কুমিল্লায় সাংবাদিকদের সম্মানে ইফতার মাহফিল কুমিল্লায় দরজা ভেঙ্গে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার ট্রেন দুর্ঘটনা: একসাথে ঈদের কেনাকাটা হলো না ১১ বন্ধুর, না ফেরার দেশে ৩ বন্ধু কুমিল্লায় নিখোঁজের ৩৩ দিন পর বস্তার ভেতর থেকে নৈশপ্রহরীর মরদেহ উদ্ধার কৃষককে অফিস থেকে বের করে দেওয়ায় দুই কৃষি কর্মকর্তাকে বদলি

যে পরিবারে সবাই মাদক ব্যবসায়ী

  • প্রকাশ কালঃ রবিবার, ১৭ জুন, ২০১৮
  • ২৮৯

অনলাইন ডেস্ক:
নাম তানিয়া খাতুন ওরফে তানিয়া বেগম। রাজধানীর ২৩ শীর্ষ নারী মাদক ব্যবসায়ীর মধ্যে অন্যতম সে। রাজধানীর সবুজবাগ থানার ওহাব কলোনিতে তার বসবাস।

সবুজবাগ থানাতেই তার নামে মাদকের ২২টি মামলা রয়েছে। খিলগাঁও এবং ওয়ারী থানায়ও আছে একাধিক মামলা। ২০১১ সাল থেকে চলতি বছরের ১১ জুন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে এসব মামলা দায়ের করা হয়।

প্রত্যেক মামলায়ই সে গ্রেফতার হয়েছে। সবুজবাগ থানা পুলিশের হাতেই সে গত বছর গ্রেফতার হয় চারবার। চলতি বছর ওয়ারী এবং সবুজবাগ থানা পুলিশ তাকে একাধিকবার গ্রেফতার করে। জামিন পেয়ে সে বারবার ফিরে আসে একই পেশায়। পুলিশের চলমান মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযানের মধ্যেও চলছে তানিয়ার ইয়াবা কারবার।

সবশেষ ১১ জুন ইয়াবা বিক্রির সময় তাকে ওহাব কলোনির সামনের রাস্তা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে ৫২ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সে এখন কারাগারে আছে। পুলিশের তালিকায় তানিয়া ইয়াবা এবং নেশাজাতীয় ইনজেকশনের পাইকারি ব্যবসায়ী।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কেবল তানিয়া একা নয়, তার পরিবারের সবাই পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। তানিয়ার মা সুফিয়া আক্তার শোভা, বাবা আইয়ুব আলী মৃধা, স্বামী আরমান, ভাই আশিকুর রহমান শান্ত ও শামীমের বিরুদ্ধে অসংখ্য মাদকের মামলা রয়েছে। তারা সবাই সবুজবাগ থানার তালিকাভুক্ত শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী।

তানিয়ার মা শোভার বিরুদ্ধে মাদকের ১৯টি মামলা রয়েছে। ২০০২ সাল থেকে গত বছরের জুলাইয়ের মধ্যে এসব মামলা দায়ের করা হয়। বেশিরভাগ মামলায়ই তাকে গ্রেফতার করা হয়। গত বছরই গ্রেফতার হয় চারবার। পুলিশের খাতায় সে ইয়াবার পাইকারি কারবারি। গত বছরের ২১ জুলাই তাকে সর্বশেষ গ্রেফতার করা হয়। এরপর জামিনে বের হয়ে সে পলাতক থেকে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।

তানিয়ার স্বামী আরমানের বিরুদ্ধে সবুজবাগ থানায় তিনটি মাদকের মামলার তথ্য-উাপাত্ত পাওয়া গেছে। মাদক মামলায় ২৫ এপ্রিল গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে সে এখন জেলহাজতে আছে। এর আগে ২০১১ সালের ২৪ জুন ও ২০১৭ সালের ৯ জুলাই তাকে গ্রেফতার করা হয়। তানিয়ার বাবা আইয়ুব আলী মৃধার বিরুদ্ধেও মাদকের বেশ কয়েকটি মামলার তথ্যপ্রমাণ এসেছে। এসবের মধ্যে তিনটি মামলায় আইয়ুবের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়া হয়েছে। গত বছর দায়ের করা একটি মামলায় এবং আগের বছর দায়েরকৃত দুইটি মালায় চার্জশিট দেয়া হয়েছে। আইয়ুব গত বছরের ৪ জুলাই গ্রেফতার হয়। জামিন পাওয়ার পর থেকে সে লাপাত্তা। পুলিশ তাকে হন্যে হয়ে খুঁজছে।

রমনা, সবুজবাগ এবং খিলগাঁও থানা পুলিশ জানিয়েছে, তানিয়ার ভাই শামীমের বিরুদ্ধে আড়াই বছরে ১৪টি মাদকের মামলা দায়ের হয়েছে। চলতি বছর তার বিরুদ্ধে দুইটি মামলা হয়। তাছাড়া গত বছর তার বিরুদ্ধে চারটি, ২০১৬ সালে ৬টি এবং ২০১৫ সালে একটি মাদকের মামলা হয়। এ পর্যন্ত তাকে ১০-১২ বার গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রতিবারই অল্প সময়ের ব্যবধানে সে ছাড়া পেয়ে যায়। সবুজবাগ থানার একটি মামলায় ২১ মার্চ সবশেষ সে গ্রেফতার হয়। এর আগে একই থানার মামলায় ১৩ ফেব্র“য়ারি তাকে গ্রেফতার করা হয়। ইয়াবা ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত শামীম এখন পুলিশের তালিকায় পলাতক আসামি।

পুলিশ জানায়, তানিয়ার অপর ভাই আশিকুর রহমান শান্তর বিরুদ্ধে কেবল রাজধানীর একটি থানাতেই ৯টি মাদকের মামলা আছে। ২০১৪ সালের ১৯ জানুয়ারি থেকে ২৭ মার্চ পর্যন্ত এসব মামলা দায়ের করা হয়। এর মধ্যে চলতি বছর একটি, গত বছর তিনটি, ২০১৬ সালে চারটি এবং ২০১৪ সালে একটি মামলা দায়ের করা হয়। পেশাদার ইয়াবা কারবারি হিসেবে পরিচিত শান্ত সর্বশেষ ২৭ মার্চ সবুজবাগ থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়। এ মামলায় জামিন নেয়ার পর সে বিদেশে পালিয়ে গেছে। বিদেশে অবস্থান করেই সে মাদক ব্যবসার দিকনির্দেশনা দিচ্ছে বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে।

এ বিষয়ে সবুজবাগ থানার ওসি আবদুল কুদ্দুস ফকির বলেন, আমি এ থানার দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করে কাজ করে যাচ্ছি। মাদক নির্মূলে এলাকাভিত্তিক বেশ কয়েকটি কমিটি গঠন করেছি। চলমান মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযান শুরুর আগেই এ এলাকার তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করি। তানিয়ার পরিবারের সদস্যদেরও গ্রেফতার করা হয়। তাদের মধ্যে কেউ কেউ জামিন নিয়ে পালিয়েছে। আবার কেউ কারাগারে আছে। যারা পালিয়ে থেকে মাদক ব্যবসার চেষ্টা করছে, তাদের ধরতে অভিযান চলছে। সূত্র: যুগান্তর

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুনঃ

© All rights reserved © 2024 Jago Comilla
Theme Customized By BreakingNews