1. jagocomilla24@gmail.com : jago comilla :
  2. weekybibarton@gmail.com : Amit Mazumder : Amit Mazumder
  3. sufian3500@gmaill.com : sufian Rasel : sufian Rasel
  4. sujhon2011@gmail.com : sujhon :
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৫৮ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজঃ
কুমিল্লার কৃতি সন্তান জাতীয় পতাকার নকশাকার  শিব নারায়ণ দাস আর নেই! যেভাবে ৩১ দিন পর মুক্ত হলো ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ! দলীয় মনোনয়ন না থাকায় উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীর জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে- এলজিআরডি মন্ত্রী সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করুন : প্রধানমন্ত্রী দেবিদ্বারে অপহরণের পর যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ; সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আটক দৈনিক আজকের জীবনের আয়োজনে কুমিল্লায় সাংবাদিকদের সম্মানে ইফতার মাহফিল কুমিল্লায় দরজা ভেঙ্গে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার ট্রেন দুর্ঘটনা: একসাথে ঈদের কেনাকাটা হলো না ১১ বন্ধুর, না ফেরার দেশে ৩ বন্ধু কুমিল্লায় নিখোঁজের ৩৩ দিন পর বস্তার ভেতর থেকে নৈশপ্রহরীর মরদেহ উদ্ধার কৃষককে অফিস থেকে বের করে দেওয়ায় দুই কৃষি কর্মকর্তাকে বদলি

মুরাদনগরে দুইশ বছরের সেই দিঘী এখন আবর্জনার ভাগার

  • প্রকাশ কালঃ বুধবার, ৬ জুন, ২০১৮
  • ১৮৭

(মো. নাজিম উদ্দিন, মুরাদনগর )

কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলা সদরের জামিয়া ইসলামিয়া মুজাফ্ফারুল উলুম মাদ্রাসার দুই শতাধিক পুরনো দিঘিটি এখন ময়লা আবর্জনার ভাগারে পরিণত হয়েছে। ময়লা-আবর্জনা ফেলার কারনে পানি দূষিত হয়ে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।

পাশা পাশি পচা বর্জ্যে মশার উপদ্রবও দেখা দিয়েছে। সেখান থেকে আসা দুর্গন্ধে পাশে থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির কয়েক হাজার শিক্ষার্থী, মুছুল্লি ও স্থানীয় বাসিন্দারা অতিষ্ঠ হয়ে পরেছে। তাছাড়া ওই সকল পচা দুর্গন্ধে দূষিত করছে পরিবেশ, অন্যদিকে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়িয়ে রোগ-ব্যাধির সৃষ্ঠি হয়ে ক্রমেই হুমকির মুখে পরছে উপজেলার কেন্দ্রিয় মসজিদের মুছুল্লি, মুজাফ্ফারুল উলুম মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও আস-পাশের বাসা বাড়ির লোকজনের জনজীবন।

এ দিঘিটি উপজেলা সদরের প্রাণ কেন্দ্রে অবস্থিত হলেও বড় মাদ্রাসার দিঘী নামেই পরিচিত। প্রায় ২০০ বছর আগে দারোগা আমিন উদ্দিন নামের এক লোক দুই একর জমির উপরে এই দিঘীটি খনন করেন। তার পশ্চিম পাশেই রয়েছে একটি মাদ্রাসা ও মসজিদ আর বাকি তিন পাশে রয়েছে বাসা-বাড়ী ও মুরাদনগর সদরের বাজার। ততকালীন সময়ে এই মাদ্রাসা ও মসজিদটিকে কেন্দ্র করেই দিঘীটি খনন করা হয়েছিলো।
এ অবস্থায় দিঘিটি বিপর্যয় ঘটার আগেই দূষণমুক্ত করার তাগিদ দিচ্ছেন মসজিদে আসা মুসুল্লি ও স্থানীয়রা। দিনরাত সমান তালে ময়লা-আবর্জনা পরছে দিঘীটিতে। অসহায় দিঘী বছরের পর বছর নীরবে এই বিষাক্ত ময়লা-আবর্জনা বুকে ধারণ করে ক্রমেই বিপন্ন করে তুলছে নিজের অস্তিত্বকেই।

এখানে প্রতিদিন প্রায় শতাধিক পরিবার ও বাজারের একাংশ ব্যাবসায়ীরা ময়লা-আবর্জনা দিঘীটি ফালানোর ফলে তা পানির সাথে মিশে ক্রমেই ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে দূষণ। অতিদুষণে বহু আগেই বদলে গেছে পানির রঙ, শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে দ্রবীভূত অক্সিজেনের মাত্রা। এই বিষাক্ত পানি মাছসহ অন্যান্য জলজ প্রাণির জীবন ধারণের জন্য যেমন অন্তরায়, তেমনি ব্যবহারেরও অনুপযোগী। তবু প্রয়োজনের তাগিদে অজু ও গোসলের কাজে এই নোংরা পানি ব্যবহার করছে মসজিদে আসা মুসুল্লি ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, দিঘীর পানিতে এত পরিমানে পলিথিন ও ময়লা পরেছে যে নিচের মাটির সাথে পানির কোন সম্পর্ক নেই। মসজিদ কমিটি কিছুদিন পূর্বে এইসব পলিথিন পানি থেকে উঠিয়ে দিঘিটির এক পাশে রাখলেও তা আবার বৃষ্টির পানিতে দিঘীর পানির সাথে মিশে যায়।

মসজিদের খতিব মুফতি আমজাদ হোসাইন বলেন, এই দিঘীর পানি মসজিদে আসা মুসুল্লিদের অজু, মাদ্রাসার ছাত্রদের গোসল ও রান্নার কাজে আমাদের খুব প্রয়োজন। কিন্তু পানি এতো দূষিত হয়ে গেছে এখন আর মুসুল্লিরা অজু করতে চায় না।

বিদ্যৎ না থাকলে বাধ্য হয়ে এখানে অজু গোসল করতে হয়। এখানে কিছু দোকানের ও বাসা বাড়িরর ময়লা-আবর্জনাও ফেলানোর ফলে এ অবস্থা তেরী হয়েছে। আমরা তাদের অনেক বলেছি কিন্তু কোন কাজ হচ্ছেনা। প্রশাসনের সহযোগীতায় দিঘিটির দূষণ থেকে মুক্ত হওয়া সম্ভব।
বাজার কমিটির সভাপতি আক্তার হোসেন মেম্বার বলেন, বাজারের ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য আমাদের রেখে দেওয়া নিদ্রিষ্ট ড্রাম রয়েছে। ব্যাবসায়ীরা সেখানেই ময়লা ফেলে, দিঘীর পানিতে কেউ ময়লা ফেলেনা। যদি কেউ দিঘীর পানিতে ময়লা ফেলে তাহলে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই আমরা ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুনঃ

© All rights reserved © 2024 Jago Comilla
Theme Customized By BreakingNews