1. jagocomilla24@gmail.com : jago comilla :
  2. weekybibarton@gmail.com : Amit Mazumder : Amit Mazumder
  3. sufian3500@gmaill.com : sufian Rasel : sufian Rasel
  4. sujhon2011@gmail.com : sujhon :
শুক্রবার, ০৮ অগাস্ট ২০২৫, ০৯:৩১ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজঃ
ঢাকাস্থ বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়াবাসীদের উন্নয়ন সংস্থার মতবিনিময় সভা নাঙ্গলকোটে সাবেক ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা কুমিল্লার গোমতী নদীর তীরে সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ  হাইকোর্টের বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি কুমিল্লা জেলা শাখার প্রথম কার্যকরী কমিটির সভা  উত্তরায় বিমান বিধ্বস্ত; চারদিন পর না ফেরার দেশে কুমিল্লার মাহাতাব বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায়  নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৭ বছরের পর বছর নিরাপত্তাহীনতায় শুভ্র, প্রশাসন হার্ড লাইনে পাকিস্তানকে উড়িয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু বাংলাদেশের কুমিল্লায় আজও দিনব্যাপী চলবে মাল্টি ডেস্টিনেশন এডুকেশন এক্সপো সাংবাদিক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ি মওদুদ আব্দুল্লাহ দায়ের করা মামলায়,আসামীগনদের গ্রেপ্তারে পুলিশ সহ যৌথ বাহিনী হার্ডলাইনে   

ভিক্টোরিয়া কলেজ; রতন সাহার সঙ্গী হান্নানেরও বিদায়; বদলি ঠেকাতে গোপন বৈঠক

  • প্রকাশ কালঃ বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর, ২০১৯
  • ২৩০০

স্টাফ রিপোর্টার:
ভিক্টোরিয়া কলেজের আলোচিত হিসাব রক্ষক মোহাম্মদ আবদুল হান্নানকে বদলি করা হয়েছে। বুধবার (৯ অক্টোবর) মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক অধিদপ্তর সহকারী পরিচালক জাকির হোসেন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশ ওয়েব সাইটে প্রকাশ হয়।

যার মধ্যে উল্লেখ করা হয়, জনস্বার্থে বদলির আদেশ জারী করা হলো। বদলিকৃত কর্মচারীকে ১২ অক্টোবর অপরাহেৃ বিমুক্ত হবেন। তার বদলিকৃত কর্মস্থল ফরিদপুর জেলার সদরপুর সরকারি কলেজ। তার বিরুদ্ধে অর্থকেলে ঙ্কারি ও রতন কুমার সাহাকে দূ র্নীতিতে সহযোগীতার অভিযোগ করেছেন তার সহকর্মীরা।

সূত্র জানায়, ২০০০ সালের ৩০ আগষ্ট তিনি স্ব-বেতনে চাকরিতে যোগদান করেন। তিনি ২০১২ সালে ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজে বদলি হয়ে আসেন।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে কলেজের একাধিক শিক্ষক-কর্মচারীজানান, ২০১২ সালে দুর্নীতির অভিযোগে তাকে কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজ থেকে বদলি করা হয়েছিলো।

তখন অল্প সময়ে সাবেক রেলপথ মন্ত্রী মজিবুল হকের মাধ্যমে তদবির করে সে লাকসাম সরকারি কলেজে আসে। এর কয়েক মাস পর ভিক্টোরিয়া কলেজে বদলি হন।

কিন্তুু এখানে এসেও বিভিন্ন ভুয়া বিল ভাউচার করে টাকা নয়-ছয় করেছে। একাধিক বার একাডেমিক কাউন্সিলে সত র্ক করার পরও স্বভাব পরিবর্তন হয়নি।

কলেজের একজন বিভাগীয় প্রধান জানান, রতন সাহা দু র্নীতির প্রধান সহকারী আ. হান্নান। তার বিরু’দ্ধে বহু অভিযোগ রয়েছে। শুধু সে নয় শিক্ষকদের মধ্যেও কয়েকজন রতন সাহার অর্থকেলে’ঙ্কারির সাথে ছিলেন।

কারণ সাবেক অধ্যক্ষ রতন কুমান সাহা কলেজ পরিচালনায় অদক্ষ ছিলেন। আ. হান্নান এ সুযোগ গ্রহণ করে টাকা লুট করেন। আমারা চাই, ভিক্টোরিয়া কলেজ তার ঐতিহ্য ফিরে পাবে।

কর্মচারি কল্যাণ পরিষদের একজন নেতা বলেন, নিজের স্বার্থে তিনি সংগঠনের জন্মদেন। রাতের অন্ধকারে কমিটির নাম নির্ধারণ করেন। রতন স্যারের সময় সর্বাধিক টাকা লুট হয়েছে মাষ্টার রুলের কর্মচারী কল্যাণ ব্যাংক একাউন্ট থেকে। পূবালী ব্যাংকে যার হিসাব নম্বর ৮৬৩৩৩। ব্যাংক থেকে প্রাপ্ত হিসাব মতে, ১ কোটি ৩৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা অতিরিক্ত উত্তোলণ করা হয়।

ভিক্টোরিয়া কলেজ কর্মচারিদের পুরাতন ও ঐতিহ্যবাহী সংগঠন ভিক্টোরিয়া কলেজ কর্মচারি কল্যাণ পরিষদ থাকার পরও তিনি গত ২৫ সেপ্টেম্বর মাত্র ১৪ জন কর্মচারি আলাদা করে পৃথক আরেকটি সংগঠনের আত্মপ্রকাশ করেন। যার সভাপতি তিনি নিজেই।

বিশেষ সূত্র মতে, বদলির বিষয়টি আ. হান্নান বুধবার বিকাল ৪টার পর অবগত হন। সন্ধ্যার পর কর্মচারি কল্যাণ পরিষদের একাংশের সাথে কান্দিরপাড় উচ্চমাধ্যমিক শাখায় মিলিত হয়ে গোপন বৈঠক করেন। বৈঠকে তার বদলি ঠেকানোর বিষয়ে পরামর্শ করেন।

বৈঠকে স্থানীয় এমপির নিকট যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। যদি এমপি থেকে সুপারিশ না পান, তাহলে আরেক এমপির বাসায় যাবেন।

বদলি প্রতিক্রিয়ায় আ. হান্নান বলেন, ভিক্টোরিয়া কলেজের জন্য উন্নয়নের জন্য অনেক কষ্ট করেছি। কর্মচারিদের জন্য অনেক কষ্ট করেছি। রতন সাহার বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ ছিল। সে যাওয়ার পর তিন বার তদন্ত হয়েছে, আমার বিরুদ্ধে এক টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া যায়নি। এ কলেজে বঙ্গবন্ধুর নামে আমি প্রথম স্লোগান দিয়েছি। উপকার করলে বিপরীত ফল ভোগ করতে হয়। আমি তার উদাহরণ। আমার বদলিতে কলেজের অনেকে খুশি হয়েছে সেটা আমি জানি। আমার মনে কোন দুঃখ নাই, রিজিকের মালিক আল্লাহ।

বুধবার রাত ১১ টার পর আ. হান্নান ব্যক্তিগত ফেসবুকে লিখেছেন : বিদায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ। এই কলেজে দীর্ঘ প্রায় ০৮ বছর কর্মকালীন সময়ে প্রতিষ্ঠান, শিক্ষার্থী, কর্মচারী কারো কোন উপকার করতে পারিনাই বলে আমি আন্তরীক ভাবে লজ্জিত ও দুঃখিত। এর জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। চলার পথে অনেকের সাথে অনেক ধরনের অন্যায় করেছি। সব কিছুর জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছি। সবাই ভাল থাকবেন আর এই প্রতিষ্ঠানকে আন্তরীক ভাবে ভালবাসবেন। আমি যা করতে পারি নাই অন্যারা যেন তা করে এই কামনা করছি। আল্লাহ সকলের মঙ্গল করুক।

কলেজ উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. আবু জাফর খান জানান, আ. হান্নান রাতে কল দিয়ে উচ্চমাধ্যমিক শাখায় আমাকে নিয়েছে। সেখানে প্রায় ৩০ জনের মত কর্মচারী উপস্থিত দেখেছি। তিনি আমাকে বদলি ঠেকানোর জন্য উচ্চমহলে সুপারিশ করার অনুরোধ করেন। বলেছি এটি আমার পক্ষে অসম্ভব। অধ্যক্ষ মহোদয় এখনো ঢাকায় আছে, তাই আমি কিছু বলতে পারবো না।

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুনঃ

© All rights reserved © 2024 Jago Comilla
Theme Customized By BreakingNews