অনলাইন ডেস্ক:
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) বিকেলে নভোএয়ারের একটি আভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে সঙ্গে আগ্নেয়াস্ত্রটি নিয়ে যান নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) আন্দোলনের চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। এ সময় অভ্যন্তরীণ টার্মিনালের প্রথম গেটের স্ক্যানার মেশিনের নজর এড়িয়ে ৯ এমএম পিস্তল আর ১০ রাউন্ড গুলি ব্যাগসহ বিনা বাধায় স্ক্যানিং মেশিন পার হন তিনি। কিন্তু আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যগটি স্কানারে ধরা পড়েনি।

এরপর নভোএয়ারের বুকিং কাউন্টারে গিয়ে ইলিয়াস কাঞ্চন জানান, তার সঙ্গে নিয়ে আসা পিস্তলও গুলি ভর্তি ব্যাগ স্ক্যানারে ধরা পড়েনি।

এ বিষয়ে ইলিয়াস কাঞ্চন বুধবার (৬ মার্চ) সকালে বলেন, চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে আমার লাইসেন্সকৃত ৯ এমএম পিস্তলসহ ১০ রাউন্ড গুলি বাসা থেকে ভুল বসত নিয়ে চলে আসি। আমার প্রশ্ন স্ক্যানার মেশিনে কেন ধরা পড়লো না?

বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে শাহজালাল বিমানবন্দরের মেম্বার সিকিউরিটি শাহ এমদাদুল হক, বিমানবন্দরের পরিচালকসহ (নিরাপত্তা) বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তা উপস্থিত হন। এ ঘটনায় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ৫ কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা পরিচালক নূরে আলম সিদ্দিকী স্ক্যানিংয়ে ইলিয়াস কাঞ্চনের ব্যাগে থাকা পিস্তল ধরা না পড়ার বিষয়টি দুঃখজনক বলে জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত ২৪ ফেব্রুয়ারির বিমান ছিনতাই চেষ্টা ঘটনার পর শাহজালালসহ দেশের সব কটি বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে বলে সিভিল এভিয়েশন থেকে জানানো হয়েছিল। ওই দিনে বিকেলে ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া দুবাইগামী বিজি-১৪৭ ফ্লাইটে খেলনা পিস্তল নিয়ে উঠে বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টা করেন পলাশ আহমেদ ওরফে মাহিবি নামে এক যুবক।

ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, সেসময় তার সঙ্গে থাকা খেলনা পিস্তলটি শাহজালাল বিমান বন্দরের স্ক্যানিং মেশিনে ধরা পড়েনি। বিষয়টি নিয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের তদন্তনাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার (৫ মার্চ) আবার এ ঘটনাটি ঘটল। এর আগে বিমান ছিনতাই চেষ্টার ঘটনার তদন্তের স্বার্থে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ৬ নিরাপত্তাকর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে কর্তৃপক্ষ।