1. jagocomilla24@gmail.com : jago comilla :
  2. weekybibarton@gmail.com : Amit Mazumder : Amit Mazumder
  3. sufian3500@gmaill.com : sufian Rasel : sufian Rasel
  4. sujhon2011@gmail.com : sujhon :
শনিবার, ০৯ অগাস্ট ২০২৫, ০৫:১৬ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজঃ
ঢাকাস্থ বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়াবাসীদের উন্নয়ন সংস্থার মতবিনিময় সভা নাঙ্গলকোটে সাবেক ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা কুমিল্লার গোমতী নদীর তীরে সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ  হাইকোর্টের বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি কুমিল্লা জেলা শাখার প্রথম কার্যকরী কমিটির সভা  উত্তরায় বিমান বিধ্বস্ত; চারদিন পর না ফেরার দেশে কুমিল্লার মাহাতাব বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায়  নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৭ বছরের পর বছর নিরাপত্তাহীনতায় শুভ্র, প্রশাসন হার্ড লাইনে পাকিস্তানকে উড়িয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু বাংলাদেশের কুমিল্লায় আজও দিনব্যাপী চলবে মাল্টি ডেস্টিনেশন এডুকেশন এক্সপো সাংবাদিক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ি মওদুদ আব্দুল্লাহ দায়ের করা মামলায়,আসামীগনদের গ্রেপ্তারে পুলিশ সহ যৌথ বাহিনী হার্ডলাইনে   

নিজের ৬৭ শতাংশ লিভার দিয়ে বাবাকে বাঁচিয়ে দেশে ফিরলেন কুবির ‘ডটার তেরেসা’

  • প্রকাশ কালঃ সোমবার, ২ মার্চ, ২০২০
  • ৯৩২

কুবি প্রতিনিধি: 

নোবেল বিজয়ী মাদার তেরেসার নাম নিশ্চয়ই মনে আছে সবার। জীবনের অন্তিমলগ্ন পর্যন্ত মানুষের সেবায় যিনি নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। তেমনি একজন মেয়ের পরিচয় আজ দিতে চাই যার নাম ঊর্মি আচার্য্য। বাবার জীবন বাঁচাতে যিনি নিজের শরীরের অধিকাংশ লিভার দিয়েছেন অকপটে। চিকিৎসা শেষে সম্প্রতি বাবাকে নিয়ে দেশে ফিরেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ডটার তেরেসা’ খেতাব পাওয়া এই শিক্ষার্থী।

ঊর্মির পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, নারায়ণ আচার্য্যের কিছুদিন ধরেই পেটে ব্যথা হতো, কিছু খেতে পারতেন না। হাসপাতালে ভর্তির পর জানা গেল তিনি লিভারের কঠিন রোগে আক্রান্ত। সুস্থ করার জন্য লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করতে হবে! কিন্তু কে দেবে লিভার? এগিয়ে এলেন মেয়ে উর্মি আচার্য্য। এই সাহসী মেয়েই তার ৬৭ শতাংশ লিভার বাবাকে দান করেছেন।

শর্মী আচার্য্য ও ঊর্মি আচার্য্য দুইবোন। বড়বোন শর্মী কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের (৭ম ব্যাচ) গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী। ছোটবোন ঊর্মি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের (৮ম ব্যাচ) অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস (এআইএস) বিভাগে পড়েন। তাদের বাবা নারায়ণ আচার্য্য দীর্ঘদিন যাবৎ লিভার সিরোসিসে ভুগছিলেন।

বাংলাদেশে চিকিৎসকদের পরামর্শে বাবাকে নিয়ে ঊর্মিরা ভারত যান গেল বছরের ২৬ ডিসেম্বর। ভর্তি হন দিল্লির ম্যাক্স হেলথকেয়ার হসপিটালে। গত ১৭ জানুয়ারি লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্টের অপারেশন হয়। ঊর্মি দান করেন ৬৭ শতাংশ লিভার। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি বাবা নারায়ন আচার্য্যকে নিয়ে দেশে ফেরেন ঊর্মি।

এর আগে বাবার চিকিৎসার জন্য সহযোগিতা চেয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন ঊর্মি আচার্য্য। সহযোগিতায় এগিয়ে আসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, দেশের জনগণ ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা। এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘সকলের সহযোগিতায় বাবার অপারেশন সম্ভব হয়েছে। কৃতজ্ঞতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, বড় ভাই-বোন, সহপাঠী, অন্যান্য শিক্ষার্থীদের প্রতি। দেশের মানুষ যেভাবে এগিয়ে এসেছে তা আমি মুখে বলে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারবো না।’

নিজেদের সুস্থতার ব্যাপারে ঊর্মি বলেন, ‘বাবা সুস্থ হতে ছয় মাসের মতো লাগতে পারে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আমার সুস্থ হতে তিন মাসের মতো লাগবে।’

বাবাকে লিভারের অংশ বিশেষ দেয়ার ব্যাপারে ঊর্মি জানান, ‘বাবাকে লিভার দান ছিল আমার কর্তব্যের অংশ। আর সকলের সহযোগিতা করার আগ্রহ আমার সাহসিকতাকে কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। সবকিছুর জন্য সৃষ্টিকর্তার প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা।’

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুনঃ

© All rights reserved © 2024 Jago Comilla
Theme Customized By BreakingNews