1. jagocomilla24@gmail.com : jago comilla :
  2. weekybibarton@gmail.com : Amit Mazumder : Amit Mazumder
  3. sufian3500@gmaill.com : sufian Rasel : sufian Rasel
  4. sujhon2011@gmail.com : sujhon :
বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৫৯ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজঃ
যেভাবে ৩১ দিন পর মুক্ত হলো ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ! দলীয় মনোনয়ন না থাকায় উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীর জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে- এলজিআরডি মন্ত্রী সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করুন : প্রধানমন্ত্রী দেবিদ্বারে অপহরণের পর যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ; সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আটক দৈনিক আজকের জীবনের আয়োজনে কুমিল্লায় সাংবাদিকদের সম্মানে ইফতার মাহফিল কুমিল্লায় দরজা ভেঙ্গে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার ট্রেন দুর্ঘটনা: একসাথে ঈদের কেনাকাটা হলো না ১১ বন্ধুর, না ফেরার দেশে ৩ বন্ধু কুমিল্লায় নিখোঁজের ৩৩ দিন পর বস্তার ভেতর থেকে নৈশপ্রহরীর মরদেহ উদ্ধার কৃষককে অফিস থেকে বের করে দেওয়ায় দুই কৃষি কর্মকর্তাকে বদলি মুরাদনগর রামচন্দ্রপুর বাজারে ভয়াবহ আগুন, ১৫ দোকান পুড়ে ছাই!

বিশ্বের যেসব দেশে চলছে মাদকবিরোধী যুদ্ধ

  • প্রকাশ কালঃ বৃহস্পতিবার, ২৪ মে, ২০১৮
  • ৪২০

অনলাইন ডেস্ক:

প্রায় ৫০ বছর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন মাদককে জনগণের এক নম্বর শত্রু আখ্যায়িত করে শুরু করেছিলেন মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ। প্রায় ৫ দশকে এই যুদ্ধ ছড়িয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। সাম্প্রতিক সময়ে ফিলিপাইনের বন্দুকভক্ত প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুয়ার্তের মাদকবিরোধী যুদ্ধ রয়েছে সমালোচনার প্রথম সারিতে। যুক্তরাষ্ট্র, কলম্বিয়া, মেক্সিকো, ব্রাজিলসহ বিভিন্ন দেশে দীর্ঘদিনের মাদকবিরোধী যুদ্ধ এখনও চলমান রয়েছে। এসব দেশে এই যুদ্ধে ব্যাপক প্রাণহানি ঘটলেও সফলতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে খোদ জাতিসংঘ। বাড়ছে মাদকসেবীর সংখ্যা। জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ বিষয়ক সংস্থার প্রকাশিত সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুসারে, ২০১৫ সালে অন্তত একবার মাদক গ্রহণ করেছেন এমন মানুষের সংখ্যা ২৫ কোটি। এদের মধ্যে প্রায় তিন কোটি (২৯.৫ মিলিয়ন) মানুষ মাদকসংশ্লিষ্ট রোগে আক্রান্ত।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মাদকবিরোধী যুদ্ধ অব্যাহত থাকলেও কয়েকটি দেশে এই যুদ্ধ বড় আকারে পরিচালিত হয়েছে ও হচ্ছে। সেগুলোর মধ্যে কয়েকটির তথ্য তুলে ধরা হলো-

যুক্তরাষ্ট্র

মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ১৯৭১ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড এক ভাষণের মধ্য দিয়ে শুরু করেন। ওই সময় এর লক্ষ্য ছিল অবৈধ মাদকের ব্যবহার ও সেবন বন্ধ করা। দুই বছরের মাথায় নিক্সন নতুন লক্ষ্যের কথা ঘোষণা করেন। ড্রাগ পলিসি অ্যালায়েন্স নামের একটি জোটের দেওয়া হিসেব অনুয়ায়ী, মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিবছর ৫১ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করছে।

রিগ্যানের ঘোষণার পরই মাদকবিরোধী যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র অর্থ ও লোকবল নিয়োগ বাড়িয়ে দেয়। ১৯৮০ থেকে সালে দেশটিতে মাদকসংশ্লিষ্ট অপরাধে গ্রেফতারকৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় ৪ লাখের বেশি। ১৯৮৪ সালে মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধকে শুধু না বলুন প্রচারণায় রূপ দেন নিক্সনের স্ত্রী ন্যান্সি। মাদকের সরবরাহ বন্ধ করতে মেক্সিকো, কলম্বিয়াসহ বিভিন্ন দেশে অভিযান চালায় ও সহযোগিতা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।

২০০৯ সালে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামার প্রশাসন ‘মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’ শব্দবন্ধ ব্যবহার না করার ইঙ্গিত দেয়। ২০১১ সালে গ্লোবাল কমিশন অন ড্রাগ পলিসি মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, বিশ্বের মাদকবিরোধী যুদ্ধগুলো ব্যর্থ হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ব্যক্তি ও সমাজের বিপর্যয় ডেকে এনেছে।

সর্বশেষ গত বছর ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন পুনরায় মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছেন।

কলম্বিয়া

কোকেন উৎপাদনে বিশ্বের শীর্ষ দেশ কলম্বিয়া। এই মাদকের বিরুদ্ধে ও মাদকের কারণে গত তিন দশকের যুদ্ধে দেশটিতে যত সংখ্যক মানুষ নিহত হয়েছেন তা অন্য কোনও দেশে ঘটেনি। ১৯৯০ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত দেশটিতে মাদক সংশ্লিষ্ট হত্যাকাণ্ডের সংখ্যা সাড়ে চার লাখ ছাড়িয়েছে। শুধু নিহতের সংখ্যা দিয়ে দেশটির মাদকযুদ্ধের ব্যাপ্তি অনুধাবন করা যায় না। ১৯৮০-র দশক থেকে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে আড়াই থেকে চার মিলিয়ন মানুষ। নিরাপত্তার জন্য এসব মানুষ নিজেদের বাড়িঘর রেখে ছুটেছেন অন্যত্র। একই সময়ে কয়েক হাজার হেক্টর বন কেটে ফেলা হয়েছে। এসব বনে কোকা উৎপাদন ও কোকেন তৈরির কারখানা ছিল। প্রতি হেক্টর কোকা ক্ষেতের জন্য তিন হেক্টর বন ধ্বংস করা হয়েছে। আর দেশটির অর্থনীতিতে এই যুদ্ধের প্রভাব যে ছিল ভয়াবহ তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

কলম্বিয়ায় মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সরাসরি জড়িত যুক্তরাষ্ট্র। মধ্যপ্রাচ্যের বাইরে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সহযোগিতা পায় কলম্বিয়া এই যুদ্ধে। কিন্তু ১৪ বছর এবং ৯.৩ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ের পরও কলম্বিয়ায় কোকেন উৎপাদন বাড়ছে। এই শতাব্দীর শূন্য দশকের শুরুর দিকে কোকা উৎপাদন কিছুটা কমলেও ২০১৪ সালে বেড়েছে ৪৪ শতাংশ। ২০১৫ সালে তা আরও বেড়েছে। ধারণা করা হয়, দেশটির মাদ্রক সম্রাটদের হাতে ৫ মিলিয়ন হেক্টর ভূমি রয়েছে।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানায়, সবখানেই সরকার ঘোষিত ‘প্ল্যান কলম্বিয়া’ ব্যর্থ হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির মৌলিক পরিবর্তন ছাড়া কলম্বিয়ায় মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে না। তবে এই অবস্থানের বিরোধিতাকারীদের সংখ্যাও কম না।

মেক্সিকো

মাদকের বিরুদ্ধে আলোচিত যুদ্ধের একটি চলমান রয়েছে মেক্সিকোতে। ২০০৬ সালে দেশটিতে মাদকবিরোধী যুদ্ধে নামানো হয় সেনাবাহিনীকে। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ফেলিপ চালডেরন ২০০৬ সালের শেষ দিকে সাড়ে ছয় হাজার সেনা সদস্যকে মিচোয়াচান রাজ্যে মোতায়েন করেন। সরকারি তথ্য অনুসারে, ওই বছর ১১ হাজার ৮০৬টি হত্যাকাণ্ড ঘটে, ২০১৬ সালে গুমের সংখ্যা ছিল ২৫ হাজার ৩৪০টি। অপরাধীচক্র, সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে গুমের অভিযোগ রয়েছে। ২০১৭ সালে গুমের সংখ্যা ছিল ৩০ হাজার। মেক্সিকোর জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের মতে, গুম হওয়া ব্যক্তিদের জীবিত বা মৃত খুঁজে পাওয়ার ছিল তখন মাত্র ২৫ শতাংশ।

প্রেসিডেন্ট ফেলিপের শাসনামলে (১ ডিসেম্বর, ২০০৬- ৩০ নভেম্বর, ২০১২) মেক্সিকোর মাদকযুদ্ধে নিহতের সংখ্যা অন্তত ৬০ হাজার। ২০১৩ সালে নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার। আর নিখোঁজ হয়েছেন ২৭ হাজার।

ব্রাজিল

যুক্তরাষ্ট্রের দেখানো পথে ও চাপে ব্রাজিলেও ১৯৭০-এর দশকে মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু হয়। কিন্তু এখানেও সাফল্য আসেনি। ২০১৪ সালে দেশটিতে প্রায় ৬০ হাজার হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে কতটি হত্যাকাণ্ড মাদকসংশ্লিষ্ট তা নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। তবে রিও ডি জেনিরো শহরের ৪৮০টি হত্যাকাণ্ডের মধ্যে ৪০০টিই ছিল মাদক সংশ্লিষ্ট।

মার্কিন মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতে, ব্রাজিলে মাদকবিরোধী যুদ্ধের পুলিশের অভিযান মানেই মৃত্যু। সরকারি তথ্য অনুসারে, ২০১৪ সালেই ব্রাজিল পুলিশ ৩ হাজার মানুষকে হত্যা করেছে। যদিও পুলিশ বরাবরই দাবি করে এসব হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে অপরাধী চক্রের দ্বন্দ্ব ও সংঘাতের জের ধরে।

মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতারের বিষয়ে ব্রাজিলের সামরিক পুলিশের মেজর রবার্তো ভ্যালেন্টে জানান, যদি আমরা নিচের সারির একজন কর্মীকে গ্রেফতার করি তাহলে কারাগার থেকে বের হওয়ার তাকে মাদকচক্রের পক্ষ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে পদোন্নতি দেওয়া হয়। শীর্ষ পাচারকারীরা কারাগার থেকেই তাদের ব্যবসা চালায়। পুলিশ যদি তাদের হত্যা করে তাহলে লাশ সরানোর আগেই নতুন কেউ দায়িত্ব নিয়ে নেয়।

ফিলিপাইন

প্রায় দুই বছর আগে ফিলিপাইনের ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করেন প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুয়ার্তে। তার এই যুদ্ধ ছিল অবৈধ মাদকের বিরুদ্ধে। এই যুদ্ধের নিহতের সঠিক সংখ্যা এমনকি পুলিশও জানে না। সন্দেহভাজন মাদকসেবী ও বিক্রেতার লাশ অন্ধকারে, ব্রিজের নিচে ও ময়লার স্তূপে পড়ে থাকে। অনেক সময় নিহতের গলায় কার্ডবোর্ডে লেখা থাকে, ‘আমি একজন মাতাল। আমাকে পছন্দ করবেন না।’

লাশের সংখ্যা বাড়ছে কালুকান, মালাবন, নাভোটাস ও ভালেনজুয়েলা জেলায়। রাজধানী ম্যানিলা থেকে দূরে ঘনবসতিপূর্ণ এসব জেলা আবাসিক ও শিল্প এলাকা হলেও হত্যাক্ষেত্র হিসেবেই পরিচিতি পেয়েছে।

ফিলিপাইনে মাদকবিরোধী যুদ্ধে এ পর্যন্ত কতজন নিহত হয়েছেন তা নিয়ে গ্রহণযোগ্য কোনও তথ্য নেই। মানবাধিকার সংগঠন ও নিহতের পরিবারগুলো ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছে।

মাদকযুদ্ধে শুরুর পর পুলিশ যখন সমালোচনায় পড়ে তখন তাদের সমর্থনে দুয়ার্তে ঘোষণা দিয়েছিলেন, আপনারা নিজেদের দায়িত্ব পালন করুন। দায়িত্ব পালনের সময় আপনারা যদি ১ হাজার মানুষকেও হত্যা করেন তাহলে আমি আপনাদের রক্ষা করবো।

ফিলিপাইনে মাদকসেবী ও মাদক ব্যবসায়ীদের ধরে ধরে হত্যা করা হচ্ছে। কোনও গ্রেফতার বা বিচারের মুখোমুখি করা হচ্ছে না তাদের।

মানবাধিকার গোষ্ঠী, সংবাদমাধ্যম ও পুলিশের নিহতের সংখ্যা নিয়ে পৃথক পরিসংখ্যান রয়েছে। সরকার নিজেই জানিয়েছে, ২০১৬ সালের জুলাই থেকে মাদক সংশ্লিষ্ট হত্যাকাণ্ডের সংখ্যা ছিল ২০ হাজারের বেশি। এর মধ্যে ১৬ হাজার ৩৫৫টি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত চলছে এবং ৩ হাজার ৯৬৭টি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে পুলিশি অভিযানে।

দেশটির সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, ২০১৬ সালের ১ জুলাই থেকে ২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত মাদকবিরোধী যুদ্ধে নিহতের সংখ্যা ২০ হাজার ৩২২টি। গড়ে প্রতিদিন ৩৯.৪৬ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।

বাংলাদেশ:

বাংলাদেশে মাদক ব্যবসায়ের বিস্তৃতি তীব্রতর হওয়ায় এ বছরের ১৪ মে র‌্যাবের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে মাদকের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক প্রতিরোধের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং এ বিষয়ে জিরো টলারেন্স দেখানোর জন্য র‌্যাবসহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি নির্দেশ দেন। এ ঘোষণার পর গত ১৪ মে থেকে আজ ২৩ মে পর্যন্ত র‌্যাব ও পুলিশের অভিযানের সময় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ৪৬ ব্যক্তি নিহত হয়েছে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দাবি এরা সবাই মাদক ব্যবসায়ের সঙ্গে জড়িত এবং পুলিশ বা র‌্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ার কারণে পাল্টা হামলায় নিহত হয়েছে।

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান, আল জাজিরা, ওয়াশিংটন পোস্ট, ডয়চে ভেলে, আইরিশ টাইমস।

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুনঃ

© All rights reserved © 2024 Jago Comilla
Theme Customized By BreakingNews