(মোঃ ফখরুল ইসলাম সাগর, দেবিদ্বার )

করোনায় আক্রান্ত অথবা উপসর্গ নিয়ে গুনাইঘর দক্ষিন ইউনিয়নে যে কোন ধর্মের কারোর মৃত্যু হলে করোনা সংক্রমণের ভয়ে কেউ লাশ দাফন না করে চাইলে তিনি নিজে লাশ দাফনের দায়িত্ব নিবেন বলে ঘোষনা দিয়েছিলেস সাম্প্রতিক এক সংবাদ সম্মেলনে। তারই লাশ দাফনের প্রতিশ্রতি অনুযায়ী গতকাল ওই ইউনিয়নের শাকতলা গ্রামে করোনা উপসর্গ নিয়ে হিন্দুসম্প্রদায়ের নিরঞ্জন শীল (৫৫)নামক এক ব্যাক্তির মঙ্গল বার দুপুরে মৃত্যু হলে দাফন করতে প্রতিবেশীরা এগিয়ে না আসলে এমন সংবাদ পেয়ে উপজেলার ১০নং গুনাইঘর দক্ষিন ইউনিয়ন পরিষদের জনবান্ধব চেয়ারম্যান এম এ হাকিম খাঁন ওই ব্যাক্তির লাশ মঙ্গলবার রাতে দাফন কাজ সম্পন্ন করেছেন।

এছাড়াও তিনি গত সপ্তাহে করোনা আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় আবদুল কাইয়ুম খোন মুন্সি(খোকন) এর মৃত্যু হলে তার লাশ দেবিদ্বার মাশিকাড়া গ্রামে তিনি ওই লাশ দাফান করেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মৃত্যু নিরঞ্জন শীল দীর্ঘ দিন দরেই শারীরিক ভাবে অসুস্থ ছিলেন, সে করোনা ভাইরাসের উপসর্গ জ¦র, ঠান্ডাসহ এ্যাজমা রোগে ভুগছিলো। গত ৫ মে (মঙ্গলবার) দুপরে করোনা উপসর্গ নিয়ে নিরঞ্জন শীল তার নিজ বাড়ি সাকতলা গ্রামে মৃত্যু বরন করলে তার শেষকৃত্যের জন্য তার পরিবার ও আসে পাশের কোন হিন্দু প্রতিবেশী এগিয়ে না আসাতে লাশটি তার ঘরে পরে ছিলো সরা বিকেল।

নিরঞ্চন শীলের মুত্যুর খবর পেয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম খান ও স্থানীয় মেম্বার মমিনুল হক মুন্নাসহ আরো কয়েকজন এলাকাবাসী চেয়ারম্যান হাকিম খানে নেতৃত্বে মৃত্যু নিরঞ্জ শীলের মৃত্যু দেহটিকে তার ঘর থেকে বের করে তার পরিবারের সদস্যদের অনুমতি ক্রমে লাশটিকে না পুড়ে রাতে দাফন কাজ সম্পন্ন করেন। এ বিষয়ে চেয়ারম্যান এম এ হাকিম খান বলেন, আমার ইউনিয়নের বাসিন্দা নিরঞ্জ শীল করোনায় উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হয়। সন্দেহ ভাবে নমুনা সংগ্রহ করেন দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ। তার মৃত্যুতে করোনা সংক্রামনের ভয়ে তার পরিবার ও কোন প্রতিবেশীই এগিয়ে আসে নাই লাশ দাফনের জন্য, যা অত্যান্ত দু:ক্ষজনক। তাই আমি এবং এই ওয়ার্ডের মেম্বার মমিনুল হক মুন্না’কে নিয়ে মৃত্যু ব্যাক্তি পরিবারের সদস্যদের অনুমতি নিয়ে আগুনে না পুড়ে রাতে মৃতু নিরঞ্জন শীলের লাশ শষানে দাফন সস্পন্ন করেছি। তিনি আরো বলেন আমি এই ইউনিয়নের জনগন আমাকে বিপুল ভোটে দুই দুই বার নির্বাচিত করেছেন। তাই আমি তাদের সেবক হিসাবে জনগনের পাশে থেকে কাজ করছি এবং এই সেবা অব্যাহ থাকবে।