অনলাইন ডেস্ক:
শুক্রবার সকালে মুজিবনগর পর্যটন মোটেলে আয়োজিত মুজিবনগর মুক্তিযু’দ্ধ স্মৃতিকেন্দ্র প্রকল্পের স্থাপত্য নকশা অনুমোদন সংক্রান্ত সভায় মুক্তিযু’দ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক বলেছেন, হাইকোর্টের একটি নিষেধা’জ্ঞা থাকায় আমরা রা’জাকার ও যু’দ্ধাপরাধীদের তালিকা প্রকাশ করতে পারিনি।
মন্ত্রী বলেন, আশা করছি ডিসেম্বরের মধ্য আমরা এদের তালিকা প্রকাশ করতে পারব। প্রতিটা ইউনিয়ন পরিষদসহ বিভিন্ন স্থানে রা’জাকার ও যু’দ্ধাপরাধীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে।
তিনি বলেন, মুজিবনগরকে আমরা আর্ন্তজাতিকমানের মুক্তিযু’দ্ধ তীর্থস্থান হিসেবে গড়ে তুলব। ইতিমধ্যে আমরা ৩৭ একর জমি অধিগ্রহণ করেছি। আগামী তিন মাসের মধ্যে নতুন প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। বেশ কিছু ভাস্কর্য পরিবর্তন করা হবে।
মুক্তিযু’দ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও মেহেরপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন।
সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযু’দ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এস এম আরিফ-উর রহমান। উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা প্রশাসক আতাউল গনি, পুলিশ সুপার এস এম মোরাদ আলীসহ সরকারি উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
অনলাইন ডেস্ক:
ডেঙ্গু মশা নিধনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) ইতিমধ্যে একটি বিদেশি ওষুধ সংগ্রহ করেছে। যা ডেঙ্গু মশা নিধনে কার্যকর ওষুধ বলে বিবেচ্য হবে। তবে এর জন্য তিন ধাপে কয়েকটি টেস্টে উত্তীর্ণ হতে হবে নমুনা ওষুধকে।
শুক্রবার দুপুরে ডিএসসিসি’র নগর ভবনের বারান্দায় বিশেষজ্ঞদের উপস্থিতিতে ওই ওষুধ কতটা কার্যকর তা পরীক্ষা করে দেখা হয়। প্রথমে ওষুধের নমুনা সংগ্রহ করে দুই বর্গ স্কয়ার ফুটের তিনটি মশারির খাঁচায় ৫০টি করে মশা রাখা হয়। এরপর মাত্র এক হাত দূর থেকে এর চারপাশে একবার করে বিদেশি ওষুধটি ছিটানো হয়।
ফলাফলে দেখা গেল, মাত্র এক হাত দূর থেকে ফগিং (ছিটানো) করার পরও খাঁচায় থাকা মশাগুলো মরেনি। মাত্র ২৪ শতাংশ মশা অচেতন অবস্থায় পড়েছিল। তিনটি খাঁচার প্রথমটি ৫০টি মশার মধ্যে ১৩টি, ২য়টিতে ১৪টি এবং তৃতীয়টিতে ৯টি মশা জ্ঞান হারিয়েছিল।
প্রথম পরীক্ষায় সন্তুষ্ট না হতে পারলেও জানা গেছে শনিবার আবার এই খাঁচাগুলো দেখা হবে। কয়টি মশা মরেছে তা গোনা হবে। যদি মৃতের সংখ্যা ৮০ শতাংশ হয় তাহলে ধরে নেয়া হবে এই ওষুধের মান ঠিক রয়েছে।
এটাই শেষ নয়, দ্বিতীয় পরীক্ষার জন্য ওষুধের নমুনাটি পাঠানো হবে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) ও খামার বাড়ির কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে।
সেখানেও দুটি পরীক্ষায় ওষুধটি উত্তীর্ণ হলে তা ছিটানোর কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়া হবে। তবে ওষুধটির প্রথম পরীক্ষার ফলাফলে খুশি হননি সিটি করপোরেশনের শীর্ষ কর্মকর্তা।
এ বিষয়ে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোস্তাফিজুর রহমান ও প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা তো আর টেকনিক্যাল পারসন না। পরীক্ষার কাজে যারা নিয়োজিত, তারাই ভালো বলতে পারবেন।’
রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সাবরিনা বলেন, ‘পরীক্ষায় যেই মশা মরবে সেটি মাঠ পর্যায়েও মরার কথা। এখানেই যদি না মরে তাহলে সেটি বাইরে দিব্যি বেঁচে থাকবে।
পরীক্ষাতে সময় নেয়া হচ্ছে ২৪ ঘণ্টা। আর একটি পরিপূর্ণ মশা না খেয়ে পাঁচ দিন পর্যন্ত থাকতে পারে। সে হিসেবে ২৪ ঘণ্টা কিছুই না। তবে ২৪ ঘণ্টায় যদি মশা মরে সেটি মাঠ পর্যায়েও মারা যাবে।’
Leave a Reply