1. jagocomilla24@gmail.com : jago comilla :
  2. weekybibarton@gmail.com : Amit Mazumder : Amit Mazumder
  3. sufian3500@gmaill.com : sufian Rasel : sufian Rasel
  4. sujhon2011@gmail.com : sujhon :
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৫৯ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজঃ
কুমিল্লার কৃতি সন্তান জাতীয় পতাকার নকশাকার  শিব নারায়ণ দাস আর নেই! যেভাবে ৩১ দিন পর মুক্ত হলো ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ! দলীয় মনোনয়ন না থাকায় উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীর জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে- এলজিআরডি মন্ত্রী সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করুন : প্রধানমন্ত্রী দেবিদ্বারে অপহরণের পর যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ; সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আটক দৈনিক আজকের জীবনের আয়োজনে কুমিল্লায় সাংবাদিকদের সম্মানে ইফতার মাহফিল কুমিল্লায় দরজা ভেঙ্গে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার ট্রেন দুর্ঘটনা: একসাথে ঈদের কেনাকাটা হলো না ১১ বন্ধুর, না ফেরার দেশে ৩ বন্ধু কুমিল্লায় নিখোঁজের ৩৩ দিন পর বস্তার ভেতর থেকে নৈশপ্রহরীর মরদেহ উদ্ধার কৃষককে অফিস থেকে বের করে দেওয়ায় দুই কৃষি কর্মকর্তাকে বদলি

কুমিল্লা টাওয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে কলেজ ছাত্রীকে যৌন হয়রানি; ভিডিও ভাইরাল! 

  • প্রকাশ কালঃ সোমবার, ২১ নভেম্বর, ২০২২
  • ২৩৬

আবদুল্লাহ আল মারুফ:
কুমিল্লার টাওয়ার( মেডিকেল সেন্টার) হাসপাতালের আইসিইউতে (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) এক কলেজ শিক্ষার্থীর (১৭) যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে এক ওয়ার্ড বয়ের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার দিবাগত রাতে। ঘটনার পর অসুস্থ ওই শিক্ষার্থী বাড়ি ফেরার পর আবার মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে পূনরায় অন্য আরেকটি প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। রবিবার সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এই অভিযোগ করেন ওই কলেজ ছাত্রীর বড় ভাই। ভিডিওটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে ফেসবুক ব্যবহারকারী ও কুমিল্লার নেটিজেনদের মধ্যে সমালোচনার ঝড় উঠে। এদিকে ঘটনার পর ওই ওয়ার্ড বয়কে হাসপাতাল থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এবং ঘটনার সময় আইসিইউতে থাকা চিকিৎসক ও নার্সদেরও শোকজ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। 

অভিযুক্ত ওয়ার্ড বয়ের নাম দ্বিপক চন্দ্র দাস। দ্বিপক কুমিল্লার চাপাপুর এলাকার বাজগড্ড গ্রামের অনিল চন্দ্র দাসের ছেলে। ঘটনার পর থেকে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।

এই ঘটনার বর্ণনা দিয়ে শিক্ষার্থীর বড় ভাই ফেসবুকের ভিডিওতে ঘটনার বিচার দাবি করেন। ৭ মিনিট ৯ সেকেন্ডের ভিডিওতে তিনি বলেন, কুমিল্লা টাওয়ার হাসপাতালে ঘটে যাওয়া এক ভয়ঙ্কর ঘটনা আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। শেষ রাতের দিকে আমার বোন যখন কান্নাকাটি করতে থাকে ভেতর থেকে আমাদের তার সাথে দেখা করতে বললে আমরা দেখা করতে যাই। তখন সে কান্না করতে করতে আমাদের জানায় দিপক নামের এক ওয়ার্ড বয় তার শরীরে একাধিকবার স্পর্শ করে। আমার পক্ষে আসলে এটা বর্ণনা করা সম্ভব নয়। তারপর আমরা ঘটনাটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানাই। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যেন একটা দায়সারা ভাবে আছে। তারা এমন ভাব করছে যেন এমন ঘটনা অহরহ ঘটছে আমরাই শুধু রিয়েক্ট করলাম। এসময় তিনি আরও বলেন ২০১৩ সাল থেকে এই দিপক চাকরি করছে। যদি দ্বিপক অরথম দিক থেকে আইসিইউতে থেকে থাকে তাহলে সে রেগুলারই এই কাজ গুলা করে গেছে। এই দ্বিপকরা অন্য যেসকল হসপিটালেও আছে। আমার মা বোনেরা হয়তো তাদের অত্যাচার অনাচারের শিকার হচ্ছেন। তাই আমার এই ভিডিওর মাধ্যমে সতর্ক করাই মূল উদ্দ্যেশ্য। 

ওই কলেজ শিক্ষার্থীর আরেক বড় ভাই নাম প্রকাশ না করা শর্তে বলেন, আমার বোন শুক্রবার অসুস্থ হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে আমরা তাকে কুমিল্লা মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালের (টাওয়ার হাসপাতালের) ইমার্জেন্সি ইউনিটে নিয়ে যাই। সেখানে একজন কর্তব্যরত চিকিৎসক আমাদের বলেন বোনকে যেন আইসিইউতে নিয়ে যাই। তখন আমরা ওই হাসপাতালের (কুমিল্লা মেডিকেল সেন্টার/টাওয়ার হাসপাতাল) আইসিইউতে নিয়ে যাই। সেখানে বিকেল থেকে পরদিন শনিবার সকাল পর্যন্ত ছিল সে। শেষ রাতের দিকে তার কান্নার কথা জানিয়ে দায়িত্বরতরা আমাদের ভেতরে যেতে দেন। ভেতরে গেলে সে আমাদের জানায় আইসিইউতে শেষ রাতের দিকে এক ব্যক্তি তার শরীরের বিভিন্নস্থানে স্পর্শ করে। তার নাম দিপক। সে ওই হাসপাতালের ওয়ার্ড বয়। এই কারণেই সেখানে অসুস্থ বোন আমার কান্না করছিল। সে আজ (রবিবার) আবার অসুস্থ হয়ে গেলে তাকে আবার হাসপাতালে নিতে হয়েছে। সে এই বিষয়টা মেনে নিতেই পারছে না। 

তিনি আরও বলেন, টাওয়ার হাসপাতালে আমরা অভিযোগ দিয়েছি। তারা আমাদের সাথে যোগাযোগ করেছে এবং তারা নাকি তদন্ত কমিটিও করছে। 

এই বিষয়ে জানতে কুমিল্লা মেডিকেল সেন্টার (টাওয়ার হাসপাতালের) পরিচালক নুরুদ্দিন মজুমদারকে কল দিলে তিনি কোন কথা না বলে ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহাঙ্গীর হোসেনের সাথে কথা বলতে বলেন।

এ বিষয়ে কথা হয় পরে জাহাঙ্গীর হোসেনের সাথে। তিনি জানান, ঘটনার পর ওই ওয়ার্ড বয়কে হাসপাতাল থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এছাড়াও যারা ওই সময় আইসিইউতে দায়িত্বশীল ছিলেন সবাইকে শোকজ করা হয়েছে।

ওয়ার্ড বয় কিভাবে আইসিইউতে গেছেন এমন প্রশ্নে জাহাঙ্গীর বলেন, আইসিইউতে ডাক্তার ও নার্স আলাদা রয়েছে। দ্বিপক তাদের সাহায্যে নিয়োজিত ছিল। সে শুধু ডাক্তার ও নার্সদের সাহায্যের জন্যই সেখানে থাকতো। হাসপাতাল সিসিটিভি ক্যামেরার নিয়ন্ত্রণে থাকলেও আমাদের আইসিইউ বেড গুলোতে কোন সিসিটিভি নেই। তবে প্রবেশ ও বাহির হওয়ার পথে তা আছে।

কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহাম্মদ সনজুর মোর্শেদ বলেন, এ বিষয়ে এখনও কোন অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ঘটনায় অভিযুক্ত দ্বিপক চন্দ্র দাসের মোবাইলে একাধিক কল দিলেও তার মোবাইল বন্ধ থাকায় কোন বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। 

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুনঃ

© All rights reserved © 2024 Jago Comilla
Theme Customized By BreakingNews