1. jagocomilla24@gmail.com : jago comilla :
  2. weekybibarton@gmail.com : Amit Mazumder : Amit Mazumder
  3. sufian3500@gmaill.com : sufian Rasel : sufian Rasel
  4. sujhon2011@gmail.com : sujhon :
সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ০১:৩২ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজঃ
খালেদা জিয়ার আজ ৮১তম জন্মদিন ইতিহাসের এই দিনেই সপরিবারে হত্যা করা হয় বঙ্গবন্ধুকে! বিএনপি নেতা ইসতিয়াক সরকার বিপুর বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন ঢাকাস্থ বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়াবাসীদের উন্নয়ন সংস্থার মতবিনিময় সভা নাঙ্গলকোটে সাবেক ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা কুমিল্লার গোমতী নদীর তীরে সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ  হাইকোর্টের বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি কুমিল্লা জেলা শাখার প্রথম কার্যকরী কমিটির সভা  উত্তরায় বিমান বিধ্বস্ত; চারদিন পর না ফেরার দেশে কুমিল্লার মাহাতাব বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায়  নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৭ বছরের পর বছর নিরাপত্তাহীনতায় শুভ্র, প্রশাসন হার্ড লাইনে

কুমিল্লায় ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৬০ জনে ; সতর্ক থাকার আহবান!

  • প্রকাশ কালঃ বুধবার, ৩১ জুলাই, ২০১৯
  • ১৬৩৯


অনলাইন ডেস্ক:

কুমিল্লায় ডেঙ্গু আক্রান্ত বিভিন্ন হাসপাতালে ৬০ জন রোগী রয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমান।

বুধবার দুপুরে কুমিল্লা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে
ডেঙ্গু জ্বর ও আমাদের করণীয় উপলক্ষে মতবিনিময় সভায় তিনি এই কথা জানান। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো: আবুল ফজল মীর।

গত এক সাপ্তাহের ব্যবধানে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা তিন গুন বেড়েছে।কুমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা. স্বপন কুমার অধিকারী জানান, আমাদের এখানে যেসব ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছেন সকলে সঠিক সেবা পাচ্ছেন। ডেঙ্গুর চিকিৎসা দেওয়ার জন্য সকল ব্যবস্থা আমাদের এখানে রয়েছে।

কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমান জানান, ৬০জন ডেঙ্গু রোগী এখন পর্যন্ত সবাই আশঙ্কামুক্ত। ডেঙ্গু মুক্ত সমাজ গড়তে হলে সবাইকে সচেতন হতে হবে। বাড়ির আঙ্গিনা পরিষ্কার রাখতে হবে। এই সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।

এখন পর্যন্ত যারা ডেঙ্গু আক্রান্তের খবর পেয়েছি, কেউ কুমিল্লায় আক্রান্ত হননি। বেশির ভাগই ঢাকা থেকে আক্রান্ত হয়ে কুমিল্লায় চিকিৎসাধীন আছেন।

ডেঙ্গু জ্বর: প্রতিরোধের উপায়

ডেঙ্গুর কোনো ভ্যাক্সিন নেই। যেহেতু ডেঙ্গু ভাইরাস চার টাইপের, তাই এই চারটি ভাইরাসের প্রতিরোধে কাজ করে, এমন ভ্যাক্সিন আবিষ্কৃত হয়নি। তাই ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধের মূলমন্ত্রই হলো এডিস মশার বিস্তার রোধ এবং এই মশা যেন কামড়াতে না পারে, তার ব্যবস্থা করা।

মনে রাখতে হবে, এডিস একটি ভদ্র মশা, অভিজাত এলাকায় বড় বড় সুন্দর সুন্দর দালান কোঠায় এরা বাস করে। স্বচ্ছ পরিষ্কার পানিতে এই মশা ডিম পাড়ে। ময়লা দুর্গন্ধযুক্ত ড্রেনের পানি এদের পছন্দসই নয়। তাই ডেঙ্গু প্রতিরোধে এডিস মশার ডিম পাড়ার উপযোগী স্থানগুলোকে পরিষ্কার রাখতে হবে এবং একই সাথে মশক নিধনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। এই রোগ থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হলো ব্যক্তিগত সতর্কতা এবং এডিস মশা প্রতিরোধ।

ব্যক্তিগত সতর্কতা: ডেঙ্গু প্রতিরোধে ব্যক্তিগত সতর্কতার গুরুত্ব অপরিসীম। মনে রাখতে হবে এডিস মশা মূলত দিনের বেলা, সকাল ও সন্ধ্যায় কামড়ায়, তবে রাত্রে উজ্জ্বল আলোতেও কামড়াতে পারে। তাই…দিনের বেলা যথাসম্ভব শরীর ভালোভাবে কাপড়ে ঢেকে রাখতে হবে, পায়ে মোজা ব্যবহার করা যেতে পারে।বাচ্চাদের হাফপ্যান্টের বদলে ফুলপ্যান্ট বা পায়জামা পড়াতে হবে।মশার কামড় থেকে বাঁচার জন্য দিনে ও রাতে মশারী ব্যবহার করতে হবে। দরজা-জানালায় নেট লাগাতে হবে।প্রয়োজনে মসকুইটো রিপেলেন্ট, স্প্রে, লোশন বা ক্রিম, কয়েল, ম্যাট ব্যবহার করা যেতে পারে।
বসতবাড়ির মশা নিধন: যেহেতু এডিস মশা মূলত এমন বস্তুর মধ্যে ডিম পাড়ে যেখানে স্বচ্ছ পানি জমে থাকে, তাই-

ফুলদানি, অব্যবহৃত কৌটা, বাড়িঘরে এবং আশপাশে যেকোনো পাত্র বা জায়গায় জমে থাকা পানি ৩ থেকে ৫ দিন পরপর ফেলে দিলে এডিস মশার লার্ভা মারা যাবে।
পাত্রের গায়ে লেগে থাকা মশার ডিম অপসারণে পাত্রটি ঘষে পরিষ্কার করলে ভালো ।
ঘরের বাথরুমে কোথাও জমানো পানি ৫ দিনের বেশি যেন না থাকে।
একুরিয়াম, ফ্রিজ বা এয়ার কন্ডিশনারের নিচে এবং মুখ খোলা পানির ট্যাংকে যেন পানি জমে না থাকে সে ব্যবস্থা করতে হবে।
বাড়ির ছাদে অনেককে বাগান করতে দেখা যায়, সেখানে টবে বা পাত্রে যেনো জমা পানি ৫ দিনের বেশি না থাকে, সেদিকেও যত্নবান হতে হবে।
বাড়ির আশপাশের ঝোপঝাড়, জঙ্গল, জলাশয় ইত্যাদি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
বসতবাড়ির বাইরে মশার বংশ বিস্তার রোধ: এই কাজগুলোর দায়িত্ব বর্তায় প্রশাসনে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গের।
ঘরের বাইরে মাঝে মাঝে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হওয়ার ফলে পানি জমতে পারে। যেমন: ফুলের টব, প্লাস্টিকের পাত্র, পরিত্যক্ত টায়ার, প্লাস্টিকের ড্রাম, মাটির পাত্র, টিনের কৌটা, ডাবের খোসা, কন্টেইনার, মটকা, ব্যাটারির শেল, পলিথিন/চিপসের প্যাকেটে জমে থাকা পানি পরিষ্কার করতে হবে।

মশা নিধনের জন্য স্প্রে বা ফগিং করতে হবে।
বিভিন্ন রাস্তার আইল্যান্ডে সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য ফুলের টব, গাছপালা, জলাধার ইত্যাদি দেখা যায়। এখানে বৃষ্টির পানি জমে থাকতে পারে। সেগুলোতেও যেনো পানি জমে না থাকে, সে ব্যাপারে যত্নবান হতে হবে।
পরিশেষে বলা যায়, ডেঙ্গু জ্বর হয়তোবা নির্মূল করা যাবেনা, এর কোনো ভ্যাক্সিন কিংবা কার্যকরী ওষুধও আবিষ্কৃত হয়নি। ডেঙ্গু জ্বরের মশাটি আমাদের দেশে আগেও ছিল, এখনও আছে, মশা প্রজননের এবং বংশবৃদ্ধির পরিবেশও আছে। তাই ডেঙ্গু জ্বর ভবিষ্যতেও থাকবে। একমাত্র সচেতনতা ও প্রতিরোধের মাধ্যমেই এর হাত থেকে মুক্তি সম্ভব।

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুনঃ

© All rights reserved © 2024 Jago Comilla
Theme Customized By BreakingNews