নিজস্ব প্রতিবেদক:
সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ থেকে লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পে (এলইডিপি) জেলা পর্যায়ে সেরা প্রশিক্ষণার্থী নির্বাচিত হয়েছেন তরুণ ফ্রিল্যান্সার অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগো কুমিল্লা ডট কমের সম্পাদক অমিত মজুমদার।
সোমবার দুপুরে ঢাকা আইসিটি টাওয়ার এলইডিপি প্রকল্প অফিসে অমিত মজুমদারের হাতে ল্যাপটপ তুলে দেন তথ্যপ্রযুক্তি ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের এলইডিপি’র আইটি স্কিল কনসালট্যান্ট এস এম রাফায়েত হোসেন। অমিত মজুমদার বরুড়া উপজেলার গালিমপুর গ্রামের ডা: শিবেন মজুমদারের ছেলে।
সম্প্রতি সারাদেশের লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং প্রকল্পের ৬৫০টি ব্যাচের ১৩ হাজার প্রশিক্ষণার্থীর মধ্যে প্রতি ব্যাচে দুই প্রশিক্ষণার্থী এবং আটটি বিভাগের ২৫ জন সেরা প্রশিক্ষণার্থীর নাম ঘোষণা করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। এ সময় আনুষ্ঠানিক ভাবে ঢাকার আইসিটি টাওয়ারে বিসিসি মিলনায়তনে কয়েকজনকে ল্যাপটপগুলো তুলে দেওয়া হয়েছিল।
ল্যাপটপ বিজয়ী কুমিল্লা জেলার ৩৮২ ব্যাচের সেরা প্রশিক্ষণার্থী অমিত মজুমদার বলেন, সারাদেশে ১ লাখ ২৩ হাজারের বেশি তরুণ-তরুণী এই কোর্সে ভর্তি হওয়ার জন্য আবেদন করে। পরবর্তীতে অনলাইনে ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে বাছাই শেষে ১৩ হাজার তালিকায় আসি। সেই ১৩ হাজার প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে সেরা হয়ে ল্যাপটপ বিজয়ী হওয়া সত্যিই গর্বের বিষয়।
তিনি আরও বলেন, তথ্য প্রযুক্তি খাতে আমার পথ চলা মাত্র শুরু। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় স্যার, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমদ পলক স্যার আমাকে এই ল্যাপটপ উপহার দিয়ে দায়িত্ব কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার জন্য তরুণ প্রজম্মকে সাথে নিয়ে অনেক দূর এগিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা রয়েছে। ফ্রিল্যান্সিং কার্যক্রমের মাধ্যমে এরই মধ্যে বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। বেশ কিছু ক্ষেত্রে আরো উন্নয়নের মাধ্যমে এই খাতে আমরা বিশ্বে প্রথম স্থান অর্জন করার চেষ্টা করবো।
উল্লেখ্য ডিজিটাল বাংলাদেশে তরুণদের আত্মনির্ভরশীল করে তোলার লক্ষ্য নিয়ে ২০১৬ সালে যাত্রা শুরু করে সরকারের আইসিটি বিভাগের ‘লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট’ (এলইডিপি)। ২০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের পরিকল্পনা নিয়ে শুরু হওয়া এই প্রকল্পের মাধ্যমে ২০২১ সালের মধ্যে প্রায় ৫০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স অর্জনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। আয়ের সুব্যবস্থা এবং কাজের স্বাধীনতার কারণেই তরুণরা আউটসোর্সিংয়ের প্রতি বেশি আকৃষ্ট হচ্ছে। তরুণদের এই আগ্রহ যেন নষ্ট না হয় সে কারণেই প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্বে ৪০ হাজার তরুণ-তরুণীকে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। প্রাথমিক প্রশিক্ষণের পর তাদের পেশাদার প্রশিক্ষণও দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
Leave a Reply