অনলাইন ডেস্ক:
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে নারীর পাঁচ টুকরো লা’শ উদ্ধারের রহ’স্য উদ’ঘাটন করেছে পুলিশ। নিহত নারীর ছেলে মামলার বাদী হুমায়ুনই তার সাত সহযোগীকে নিয়ে মাকে হ’ত্যার পর লা’শের টুক’রো ধানক্ষেতে ফেলে রেখে যান বলে জানিয়েছে পুলিশ।
চাঞ্চ’ল্যকর এ ঘটনায় মামলা করেন মৃত নূরজাহানের ছেলে ঘাতক হুমায়ুন কবির। সেই মামলার সূত্র ধরে নোয়াখালী জেলা পুলিশ তদন্তে নেমে হত্যাকাণ্ডে সরাসরি সন্তানের জড়িত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়।বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, এ ঘটনায় আমরা সাত আসামির মধ্যে পাঁচজনকে আটক করেছি। এর মধ্যে দুজন আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। প্রধান আসামি মৃত নূরজাহানের ছেলে ও মামলার বাদী হুমায়ুন কবিরকে স্বীকারোক্তির জন্য আজ আদালতে তোলা হবে।
হত্যার বিষয়ে তিনি আরও জানান, হুমায়ুনের ভাই বেলাল মা’রা যাওয়ার সময় চার লাখ টাকা ঋণ রেখে যান। ওই ঋণের টাকা পরিশোধ করার জন্য হুমায়ুনকে চাপ দিলে তিনি তার মাকে বলেন। কিন্তু তার মা ওই ঋণের টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তিনি চাপ সহ্য করতে না পেরে মাকে হ’ত্যা করেন।উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর সুবর্ণচরে ধানক্ষেত থেকে নূরজাহান বেগম (৪২) নামে ওই নারীর পাঁচ টুক’রো লা’শ উদ্ধার করে পুলিশ।
ওই সময় নিহ’তের ছেলে হুমায়ুন কবির (২৮) জানিয়েছিলেন, ওইদিন ভোর থেকে তার মা নিখোঁ’জ ছিল। পরে স্থানীয় এক নারী বিকেলে ধানক্ষেতের আইলে শামুক খুঁজতে গিয়ে টুক’রো টুকরো ম’রদেহ দেখতে পান। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে তিনি মরদেহের পাশে শামুকের ব্যাগ দেখে মায়ের মরদেহ শনাক্ত করেন।
Leave a Reply