অনলাইন ডেস্ক:
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর নতুন মন্ত্রী সভার শপথের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী সোমবার (৭ জানুয়ারী) নতুন মন্ত্রীসভার শপথ অনুষ্ঠিত হবে। বিকাল সাড়ে ৩ টায় এই শপথ গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশের মন্ত্রীসভা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সর্বোচ্চ শাসনিক প্রতিষ্ঠান। প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রীসভার প্রধান। প্রধানমন্ত্রী ও ৩৩ জন মন্ত্রী, ১৮ জন প্রতিমন্ত্রী ও ২জন উপমন্ত্রী নিয়ে মন্ত্রীসভা গঠিত। এ ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর ৫ জন উপদেষ্টা আছে যারা মন্ত্রী পদমর্য়াদা ভোগ করেন।
এবার মন্ত্রিসভায় জায়গা পেতে পারেন এমন আইনজীবীদের মধ্যে রয়েছেন- আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুল মতিন খসরু ও সাহারা খাতুন। দলের আইন বিষয়ক সম্পাদক শ ম রেজাউল করিম। বর্তমান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। বর্তমান সাংসদ শেখ ফজলে নূর তাপস এবং নব নির্বাচিত এমপি নুরুল ইসলাম সুজন।সাবেক আইনমন্ত্রী ও দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুল মতিন খসরু। তিনি কুমিল্লা-৫ আসন থেকে পাঁচ বার এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। এর আগেও এক মেয়াদে তিনি আইনমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ও আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক শ ম রেজাউল করিমের নামও শোনা যাচ্ছে জোরেশোরে। তিনি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পিরোজপুর-১ আসন থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন। নব নির্বাচিত এই আইনজীবী ভূমিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেতে পারেন।বর্তমান আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক নির্বাচিত হয়েছেন (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪) আসন থেকে। তিনিও থাকতে পারেন নতুন মন্ত্রিসভায়। তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার আইনজীবী হিসেবে তিনি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন।
আওয়ামী লীগের কার্য নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। তিনি নির্বাচিত হয়েছেন ঢাকা-২ আসন থেকে। নবম জাতীয় সংসদে আইন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে এবং দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খাদ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছন। এবারও মন্ত্রিপরিষদে তার থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহারা খাতুন। তিনি নির্বাচিত হয়েছেন ঢাকা-১৮ আসন থেকে। মন্ত্রিপরিষদের তারও থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ঢাকা-১০ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। পর পর তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি নির্বাচিত হয়েছেন। ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিজয়ী এই আইনজীবী মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পাবেন বলে আশা করছেন হাইকোর্টের অনেক আইনজীবী।
সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক নুরুল ইসলাম সুজন। পঞ্চগড়-২ আসান থেকে একটানা তিন বার সংদস্য সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এই আইনজীবী নেতা এবারের মন্ত্রিপরিষদে আসতে পারেন বলে আলোচনা চলছে। সুপ্রিম কোর্টের আওয়ামী লীগপন্থী সিনিয়র বেশ কয়েকজন আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। জানতে চাইলে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কেএম আমিন উদ্দিন মানিক প্রিয়.কমকে বলেন, ‘আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীই জানেন আইনজীবীদের মধ্য থেকে কয়জনকে মন্ত্রিপরিষদে নেওয়া হবে। আইনমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী আইনজীবীদের মধ্য থেকেই দেওয়া হবে। কারণ এ দুইটি পদের মন্ত্রী আইন ও বিচার বিভাগ নিয়ে কাজ করবেন। আবার অন্য মন্ত্রীর দায়িত্বও দেওয়া হতে পারে।
তিনি বলেন, ‘খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামকে আইন অঙ্গন থেকে নেওয়া হয়েছিল। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শামসুল হক টুকুকেও আইন অঙ্গন থেকে নেওয়া হয়েছিল।’ আরেকজন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল্লা আল মাহমুদ বাশার বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীদের মধ্য থেকে কয়েকজন আইনজীবীকে মন্ত্রিপরিষদে নেওয়া হতে পারে। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বিগত সময়ে আইন বিচার বিভাগ নিয়ে ভালো দায়িত্ব পালন করেছেন। তাকে এ মন্ত্রণালয়েরই দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। কামরুল ইসলামও জজ কোর্টের একজন ভালো আইনজীবী। তিনি গত দুই টার্মে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাকেও এবার আমাদের প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব দিতে পারেন। এ ছাড়া নুরুল ইসলাম সুজন, ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস একটানা তিন বার এমপি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাদেরকে মন্ত্রীত্ব দেওয়া হবে বলে আমাদেরর আইনজীবী সমাজে অনেক আলোচনা চলছে।’
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল রোকেয়া আখতার প্রিয়.কমকে বলেন, ‘শ ম রেজাউল কমির স্যারের নাম জোরেশোরে শোনা যাচ্ছে। তিনি এবারের মন্ত্রিপরিষদে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পাবেন বলে আমাদের আইনজীবী সমাজে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে।’ বৃহস্পতিবার (৩ জানুযারি) জাতীয় সংসদ ভবনে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে নব নির্বাচিত এমপিরা শপথ নিয়েছেন।
গত ৩০ ডিসেম্বর ’১৮ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল (২ জানুয়ারি) নব নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের নামের তালিকা গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন।
Leave a Reply