1. jagocomilla24@gmail.com : jago comilla :
  2. weekybibarton@gmail.com : Amit Mazumder : Amit Mazumder
  3. sufian3500@gmaill.com : sufian Rasel : sufian Rasel
  4. sujhon2011@gmail.com : আশিকুজ্জামান : আশিকুজ্জামান
‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি খাবো কি ?’ না খেয়ে মরতে হবে !
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:৫৬ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজঃ
বরুড়ায় মরহুম আবু তাহের স্মৃতি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বৃত্তি প্রদান কৃষি কর্মকর্তার উপর হামলার প্রতিবাদে কুমিল্লায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা দলীয় মনোনয়ন ঘিরে সহিংসতা ও অবরোধ; ৪ নেতাকে বহিষ্কার করল বিএনপি কুমিল্লার ৯টি আসনে ধানের শীষের প্রার্থীর নাম ঘোষণা বিপিএলের চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়ল নোয়াখালি  কুমিল্লার সদর দক্ষিণে ইয়াবাসহ নারী মাদক ব্যবসায়ী আটক কুমিল্লায় রাসোৎসব ৩রা নভেম্বর থেকে শুরু ! লন্ডনে আন্তর্জাতিক কারাতে প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছেন কুমিল্লার মাহিন পুত্র সন্তানের বাবা হলেন এনসিপি নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ প্রথমবার ওয়ানডেতে ডাক পেলেন কুমিল্লার ছেলে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন

‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি খাবো কি ?’ না খেয়ে মরতে হবে !

  • প্রকাশ কালঃ মঙ্গলবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২০
  • ১০০৬

অনলাইন ডেস্ক:

সম্প্রতি চড়াদামে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য। দিনদিন সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে প্রায় প্রতিটি পণ্যের দাম। ফলে পরিবার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে নিম্ম আয়ের মানুষদের। এ যেন নুন আনতে পান্তা ফুরোয়। করোনাকালে বাড়িতে ছিল শিক্ষাথীরা। কিস্তু আর কত! নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বৃদ্ধিতে খেয়ে বেচেঁ থাকাটা নিজের জন্য কষ্টকর। তাই উপায় না দেখে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাকিব নামে এক শিক্ষাথী দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ায় প্ল্যাকার্ড নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

সাকিবের সাথে কথা হলে তিনি জানান, ক্যাম্পাস বন্ধে বাড়িতে ছিলাম। এদিকে টিউশন, নিজের পড়াশোনা অন্যদিকে আর কতদিন বাড়িতে থাকা যায়। তার উপর আবার বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সাথে সাথে ফাইনাল পরীক্ষা। সবকিছু চিন্তা করে ক্যাম্পাসের পাশে মেসে চলে আসি। কিন্তু এখানেও এসেও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যেমূল্যের উর্ধ্বগতি। ফলে টিউশন আর বাড়ি থেকে পাঠানো টাকা দিয়ে চলতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

সাকিব বলেন, আমি একজন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্ব গতির কারণে আমার স্বাভাবিক জীবন নির্বাহ করতে কষ্ট হচ্ছে। আমার চেয়ে যাদের অবস্থা খারাপ তারা কিভাবে খেয়ে বেঁচে থাকবে। তাই নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম না কমালে সাধারণ মানুষকে না খেয়ে মরতে হবে।

শুধু সাকিব নয় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে দামের ঊর্ধ্বগতিতে নাভিশ্বাস উঠেছে সাধারণ মানুষ। অল্প বেতনে চাকরীর করার ফলে অনেকের মুখে হতাশার চাপ। বাড়ি ভাড়াসহ আনুষঙ্গিক খরচে সাথে দ্রব্যমূল্যে বৃদ্ধি পাওয়ায় এ যেন মরার উপর খাড়ার ঘা।

কুমিল্লার আশপাশের বাজারগুলো ঘুরে দেখা যায়, চাল, ডাল, পিয়াজ, তেল ও সবজিসহ সবধরনের পণ্যের বাজার এখনো চড়া। সপ্তাহের ব্যবধানে কয়েকটি সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। বাজারে প্রতি কেজি আলু ৫০ টাকা, ঢেডঁস ৭০-৮০ টাকা, বেগুন ৮০ টাকা, পিয়াজ ১০০ টাকা, তেল ১২০ টাকা। চালের বাজার তো আগে থেকেই চড়া এখন কেজি ৫৫-৬০ টাকা,কাঁচামরিচের কেজি দীর্ঘদিন ধরেই ২২০ টাকার ওপরে। গাজর ৭০-৯০, বরবটি ৮০-১০০, করলা ৭০-৮০, পটোল ৭৫-৯০ ঢেঁড়স ৭০-৮০, শসা ১০০-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শিম বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৬০ টাকায়। এছাড়া প্রতি কেজি টমেটো ১০০-১২০টাকা।

বিশেষজ্ঞরা বলছে, প্রতিদিনের ভোগ্য পণ্যের দাম বৃদ্ধি সাধারণ মানুষের জীবন যাপনের ওপর দারুণ প্রভাব ফেলে। ইকোনমিক পলিসির বড় কাজ হলো অর্থকে নিয়ন্ত্রণ করা, যাতে গোটা অর্থনীতি স্থিতিশীল অবস্থায় থাকে। অর্থের অবমূল্যায়ন মাত্রা ছাড়িয়ে গেলে যেমন অর্থনীতির জন্য ভালো নয়, তেমনি একেবারে অবমূল্যায়ন না থাকাও কাম্য নয়। কেননা তখন সরকারের ব্যয় অনেক বেড়ে যায়। অতিরিক্ত অবমূল্যায়ন মানুষের জীবনযাত্রার ওপর প্রভাব ফেলে।

সাধারণ ক্রেতারা অভিযোগ করে বলেন, ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে পণ্যের দাম বাড়িয়েছে। অনেকে আবার মুনাফা বেশি পাওয়ার আশায় পণ্যদ্রব্যগুলো সিন্ডিকেট করে ফেলে। প্রশাসনের তদারকি করা দরকার বলে জানান অনেকে।

এদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রথম দফায় বন্যার কারণে সবজির দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যায়। এখন আবার বন্যার পানি ও টানা বৃষ্টির কারণে বাজারে সবজির সরবরাহ কমে আসায় দাম বাড়ছে। সূত্র: পূর্ব পশ্চিম

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুনঃ

© All rights reserved © 2024 Jago Comilla
Theme Customized By BreakingNews