অনলাইন ডেস্ক:
কুমিল্লার চাঁনপুরে রাসেদুল ইসলাম শাওন (১৯) নামে এক তরুণকে কুপিয়ে-পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে হুমায়ুন নামে এক ব্যক্তি ও তার ছেলেদের বিরুদ্ধে। তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে বাকবিতণ্ডার জেরে দুই ছেলে রাজিব ও সাকিব এবং প্রতিবেশী সজিবের সহায়তার শাওনকে কুপিয়ে-পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়।
সোমবার (২০ জুলাই) ভোরে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় শাওন। তার বাড়ি কুমিল্লার পাঁচথুবী ইউনিয়নের চাঁনপুর ডুমুরিয়া এলাকায়। অভিযুক্ত হুমায়ুন চাঁনপুরের কুখ্যাত খুনি হাজী বিল্লাল বাহিনীর শীর্ষ নেতা ছিলেন। বাকি অভিযুক্তরাও একই এলাকার বাসিন্দা।
নিহত শাওনের চাচা মো. শহীদুল ইসলাম জানান, শুক্রবার সকালে শাওন একটি পুরনো মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে শহরে যাচ্ছিলো। পথে হুমায়ুনের ছেলে রাজিব ও শ্যামলের ছেলে সজিব তাকে পুরনো মোটরসাইকেল চালানো নিয়ে গালি দেয়। প্রতিবাদ করলে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়।
ওইদিন বিকেলে শাওনকে রাস্তায় একা পেয়ে মারধর করে হুমায়ুনের ছেলেরাসহ তার বাহিনী। একপর্যায়ে শাওন দৌড়ে বাড়িতে গেলে হত্যাকারীরা তার বাড়িতে গিয়ে হামলা চালিয়ে বাড়ি-ঘর ভাংচুর করে। পরদিন (শনিবার) রাতে শাওন বাড়ি ফেরার পথে চাঁনপুর আলী আকবর মাজারের কাছে তার ওপর আবার হামলা চালায় অভিযুক্তরা।
“হুমায়ুন, তার ছেলে রাজিব, সাকিব ও প্রতিবেশী সজিবসহ ৬-৭ জন মিলে তার মাথায় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে এবং স্ট্যাম্প দিয়ে হাত, পাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকদের পরামর্শে কুমিল্লা থেকে রবিবার তাকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।”
সোমবার ভোরে ঢাকার ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শাওন মারা যায়।শাওনের বাবা জাহাঙ্গীর আলম জানান, হামলার পরদিন মামলার জন্য কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। কিন্তু পুলিশ মামলা নেয়নি।
তবে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল হক জানান, “মারধরের পর মৃত্যুর ঘটনায় তার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা নেওয়া হচ্ছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হুমায়ুনসহ অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছে।”
Leave a Reply