অনলাইন ডেস্ক:

‘এসেছে এসেছে আবার ইলেকশন, জিতবে নৌকা জিতবে জনগণ/ষোল কোটি মানুষের একটাই ডিসিশন, জিতবে নৌকা নেই কোন টেনশন/জয় বাংলা, জিতবে এবার নৌকা’ এমন কথার এই গানটি এখন হাটে মাঠে ঘাটে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে।

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী থিম সং এই ‘জয় বাংলা জিতবে আবার নৌকা/ শেখ হাসিনার সালাম নিন, জয় বাংলা নৌকা মার্কায় ভোট দিন’ এই গানের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সাফল্য তুলে ধরা হয়েছে। গেল বেশ কয়েকদিন ধরে সবচেয়ে আলোচিত গান এটি।

গানটি সারাদেশে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। দেশের আনাচে কানাচে কোথাও বাদ নেই, দেশের সর্বত্রই বাজছে আওয়ামীলীগের এই নির্বাচনী থিম গানটি। অনেকে এটিকে রিংটোন হিসেবেও ব্যবহার করছেন। এরই মধ্যে গানটি তরুণ প্রজন্মের কাছে প্রিয় গানে পরিণত হয়েছে।

মাত্র কয়েকদিন ধরেই প্রকাশিত হওয়া এই গানটি ইউটিউবে অসংখ্য চ্যানেল থেকে নানারকম ভিডিও করে আপলোড করা হচ্ছে। অল্প কয়েকদিনেই গানটি ১০ মিলিয়নেরও বেশিবার দেখা হয়েছে। আর আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা গানটি প্রচারণার জন্য ব্যবহার করছেন। প্রত্যেক এলাকায় বেশ আয়োজন করে নির্বাচনী প্রচারণা চলছে আর তাদের ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক হিসেবে এই গানটি বাজছে প্রতিনিয়ত। এছাড়াও বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গানটির সঙ্গে নেচে ফ্লাশমব তৈরি করেছেন।

হঠাৎ করে জনপ্রিয় হওয়া এই গান নিয়ে কৌতুহলেরও শেষ নেই। সবাই এই গানের সঙ্গে মেতেছেন কিন্তু অনেকেরই জানা নেই এই গানের পেছনের কারিগর সম্পর্কে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেল, ‘জয় বাংলা-জিতবে এবার নৌকা’ শীর্ষক গানটির কথা লিখেছেন তৌহিদ হোসেন। আর এই গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন যৌথভাবে সরোয়ার ও জিএম আশরাফ। এর সংগীতায়োজন করেছেন ডিজে তনু ও এলএমজি বিটস। সম্পাদনা ও কালার সমন্বয়ে ছিলেন হৃদয় হোসেন। গানটির ভিডিওচিত্র প্রযোজনায়ও ছিলেন তৌহিদ হোসেন।

তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে নিয়ে ভিন্ন কিছু একটা করার পরিকল্পনা মাথায় ঘুরছিলো। সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এই গানটি করেছি। গানটি আমরা নিজেদের ভালো লাগার জায়গা থেকে তৈরি করে ইউটিউবে প্রকাশ করেছিলাম। বাকীটা ইতিহাস। দ্রুতই এটি ছড়িয়ে যায় সর্বত্র। এমন অভাবনীয় সাড়া পাবো ভাবতেই পারিনি। আওয়ামী লীগের অনেক জনপ্রিয় নেতারাও এটিকে শেয়ার দিয়েছেন, ফোনের রিংটোন করে নিয়েছেন। অন্য দলের বন্ধুরাও গানটির প্রশংসা করছেন। এটা সত্যি আনন্দের। তরুণ প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত করতে গানটি ভালো ভুমিকা রাখছে বলে আমি বিশ্বাস করি।’

তৌহিদ হোসেনের মতে, এক গানে সরকারের সাফল্য তুলে ধরা সম্ভব নয়। তবুও তিনি চেষ্টা করেছেন এবং সে চেষ্টাকে দেশবাসী সাদরে গ্রহণ করেছে।