শনিবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০১:২৯ অপরাহ্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক:

কুমিল্লায় সৌদি প্রবাসীদের ইয়াবা ব্যবসা সিন্ডিকেটের দুই ভাইসহ ৬ সদস্যাকে গ্রেফতার করেছে ( র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটিলিয়ন) র‌্যাব। মাদক বিক্রির নগদ অর্থসহ ২৭ হাজার ৮৩৫ পিস ইয়াবাসহ পিস উদ্ধার করা হয়।

রবিবার ( ৮ আগষ্ট) দুপুরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেন র‌্যাব-১১, সিপিসি-২ কার্যালয়ে কোম্পানী কমান্ডার মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন। ।শনিবার দিনভর জেলার আদর্শ সদর উপজেলার বাখরাবাদ ও ধনুয়াখোলা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীরা হলো- সদর উপজেলার বাখরাবাদ গ্রামের মৃত রস্তম আলীর ছেলে এমদাদুল হক (৪০), আবু কাউছার (২৬), ধনুয়াখোলা গ্রামের মোবারক হোসেনের ছেলে তৌহিদুল ইসলাম (২৮), নুরুল ইসলামের ছেলে জাকারিয়া (২৭), তাজুল ইসলামের ছেলে মোঃ আলাউদ্দিন (২৭) ও বড়দৌল গ্রামের মৃত আব্বাছ আলীর ছেলে এবং গ্রেফতারকৃত এমদাদুল হকের শ্বশুর আব্দুল মতিন (৬২)।

প্রেস ব্রিফিংয়ে কোম্পানী কমান্ডার মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন জানান, সদর উপজেলার কয়েকটি পরিবারের সদস্য সৌদি আরবে চাকুরী বা ব্যবসা করার পাশাপাশি তারা বিভিন্ন সময়ে দেশে এসে বড় পরিসরে মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে। দেশে স্বল্প সময়ের জন্য এসে মাদকের বড় ধরনের চালানের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করে পুনরায় তারা প্রবাসে চলে যায় ।

গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আমরা জানতে পারি গত সপ্তাহে ইয়াবারএকটি বড় চালান বিক্রি করে মোঃ লিটন দু-এক দিনের মধ্যে সৌদি আরবে পাড়ি জমাবে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্যসহ তাদের আটক করা হয়। অভিযানে তাদের থেকে সর্বমোট ২৭ হাজার ৮৩৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ২ বোতল ফেন্সিডিল, ১ বোতল বিদেশী মদ, ২ কেজি গাঁজা ও মাদক বিক্রয়ের নগদ ১ লাখ ৪৬ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

এই পরিবারের সদস্যরা সৌদি প্রবাসে থাকে এবং তারা স্বল্প সময়ের ছুটিতে বাংলাদেশে আসে। তারা প্রবাসে থাকার কারণে এলাকার কেউ সন্দেহ না করার সুযোগ কাজে লাগিয়ে মাদক ব্যবসার পরিচালনা করে । বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়ে পুনরায় সৌদি আরবে পারি জমায়। গ্রেফতারকৃত ও পলাতক আসামীদের বিরুদ্ধে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়েরে প্রস্তুতি চলছে। পর্দার আড়ালে থাকা এ সমস্ত মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অতি শীঘ্রই আরো কিছু অভিযান পরিচালনা করা হবে।

আরও পড়ুন

%d bloggers like this: