স্টাফ রিপোর্টার
:কুমিল্লায় সাবেক সরকারী কর্মকর্তাকে পাগল বানিয়ে সম্পত্তি আত্মসাতের পায়তারা করছে একটি মহল। এরই প্রেক্ষিতে আজ ৫ই নভেম্বর বিকাল ৫.৩০ মিনিটে এ কে এম হুমায়ুন কবিরের মেয়ে শামীমা শাম্মী কুমিল্লা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
শামীমা শাম্মী জানান, গত ২৭ অক্টোবরে তার বাবা এ কে এম হুমায়ুন কবির দুপুর ১২টায় বাসা থেকে পুলিশ লাইন চৌমুহনীর উদ্দেশ্যে বের হয়। বাসা থেকে বের হওয়ার ৩/৪ ঘন্টা হলেও তার বাবা বাসায় না আসলে তার ব্যবহৃত দুটি মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করলে তার নাম্বার দুটি বন্ধ পাওয়া যায়। মোবাইল নাম্বার বন্ধ থাকার কারণে তাদের প্রতিবেশী আত্মীয় স্বজনসহ আশপাশের সকলের সাথে যোগাযোগ করলে কেউ সন্ধান দিতে পারেনি। তিনি আরো জানায়, উপায়ান্তর না পেয়ে তিনি গত ২৯ অক্টোবর কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন।
কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল হক বিষয়টি তদন্তের জন্য কুমিল্লা কান্দিরপাড় ফাঁড়ির এস আই আব্দুর রহিম কে দায়িত্ব প্রদান করেন। অভিযোগকারী জানান, তিনি বার বার এস আই আব্দুর রহিম এর সাথে যোগাযোগ করে সমস্যাটি সমাধান করার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু এস আই আব্দুর রহিম বিষয়টি দুই পক্ষের আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করার আশ্বাস দেন। বিষয়টি কালক্ষেপণ করায় উপায়ান্তর না পেয়ে আমি সংবাদ সম্মেলন করতে বাধ্য হই।
শামীমা শাম্মী জানান, আমার বাবা একজন সাবেক সরকারী কর্মকর্তা। অভিযুক্ত গংদের সহযোগীতায় এ.কে.এম হুমায়ুন কবির কে মারধর এবং মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন করে আটকে রেখে তার শরীরে বিষাক্ত ইনজেকশন পুশ করে পূর্ণতা মাদক আসক্ত নিরাময় কেন্দ্র হাউজিং এষ্টেট হস্তান্তর করে। যা আমি স্বচক্ষে দেখতে পাই।
দেখা করার পর আমার বাবা জানান, নিম্নোক্ত তিন জন (১) তানিমুল কবির (৩৬) পিতা: এ.কে.এম হুমায়ুন কবির ১০২৮/২ আজিজ ফয়জুন্নেসা টাওয়ার (৫ম তলা) ঝাউতলা, কুমিল্লা। (২) শোহেবুর রহমান (৩৩) পিতা: জাহাঙ্গীর কবির ১০২৮/২ আজিজ ফয়জুন্নেসা টাওয়ার (৪র্থ তলা) ঝাউতলা, কুমিল্লা। (৩) এ.কে.এম ইকবাল কবির (৬৫) পিতা: মৃত আজিজুর রহমান ১০২৮/২ আজিজ ফয়জুন্নেসা টাওয়ার (৪র্থ তলা) ঝাউতলা, কুমিল্লা। আমার বাবা এ কে এম হুমায়ুন কবির আমাকে দেখে আত্নচিৎকার করতে থাকে এবং বলতে থাকে আমার সকল স্থাবর,অস্থাবর সম্পওি আত্নসাৎ করার জন্য উপরোক্ত তিনজন নির্মমভাবে নির্যাতন করে, অন্যায়ভাবে আমাকে পূর্নতা মাদক নিরাময় কেন্দ্রে দিয়ে গেছে। আমার বাবা আমাকে দেখে চিৎকার করে বলতে থাকে , যে কোন মূল্যে তুমি আমাকে এখান থেকে ছাড়িয়ে নাও, না হয় তারা আমাকে হত্যা করে ফেলবে ।
এই অবস্থার প্রেক্ষিতে: কুমিল্লার বিজ্ঞ জেলা ম্যজিস্ট্রেট – আবুল ফজল মীর, কুমিল্লা পুলিশ সুপার-সৈয়দ নুরুল ইসলাম, কুমিল্লা র্যাব ১১ কোম্পানী কমান্ডার-মেজর তালুকদার নাজমুস সাকিব, কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-আনোয়ারুল হক আপনাদের মাধ্যমে প্রশাসনিক ও আইনি সহযোগিতা কামনা করি এবং দ্রুত আমার বাবাকে উদ্ধার করতে না পারলে তাকে হত্যা করে ফেলবে।
শাম্মী জানান, আমার ভাই , চাচা, চাচাতো ভাই সহ আরো অনেকে আমার বাবার সম্পত্তির লোভে গত ২০০৮ সাল থেকে বিভিন্ন হামলা, মামলা সহ অমানবিক নির্যাতন করে আসছে । তাই কুমিল্লার সাংবাদিকদের মাধ্যমে কুমিল্লা প্রশাসনের কাছে আইনি সহযোগিতা কামনা করছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে,কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাংবাদিকদের জানান, বিষয়টির তদন্ত প্রক্রিয়াধীন শীঘ্রই আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply